নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণা আজ

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে মেয়র পদপ্রার্থীর দলীয় সমর্থন চূড়ান্ত করতে আজ রবিবার শামীম ওসমান ও ডা. সেলিনা হায়াত আইভীর সঙ্গে আবারও বৈঠক করবে আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী এ বৈঠকে নেতৃত্ব দেবেন। সেখানে কাকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত হবে। এরপর ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ নারায়ণগঞ্জে দল-সমর্থিত প্রার্থী ঘোষণা করবেন।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বৈঠকের পর এ কথা বলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।

এর আগে বিকেল সোয়া ৪টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। গত বছরের ৯ অক্টোবর শেখ হাসিনা তাঁর সর্বশেষ রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান। দুই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে দলের যুগ্ম সম্পাদক হানিফ বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নিয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি।
আজ রবিবার সকাল ১০টায় সভাপতির ধানমণ্ডির কার্যালয়ে দুই প্রার্থীকে নিয়ে সংসদ উপনেতা বসবেন। এ বৈঠকে দলীয় সমর্থন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে। ২ অক্টোবর নবগঠিত এ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ও সাবেক পৌর মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গত ২ অক্টোবর গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসেও নিজেদের মধ্যে সমঝোতায় পেঁৗছাতে পারেননি দুই প্রার্থী। কর্মী-সমর্থকদের মুহুর্মুহু করতালি ও স্ল্লোগানের মধ্যে ধানমণ্ডির আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। দলীয় প্রধানকে স্বাগত জানাতে মন্ত্রিসভার সদস্য, স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং দলের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যরা ওই বৈঠকে ছিলেন।
তৃণমূল ঢেলে সাজানোর নির্দেশ
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হানিফ জানান, আওয়ামী লীগ সভাপতির আজ কোনো আনুষ্ঠানিক বৈঠক ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার অবহিত করেছিলেন শনিবার বিকেলে ধানমণ্ডিতে অফিস করতে চান তিনি।
হানিফ জানান, বৈঠকে বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন শেখ হাসিনা। তৃণমূল থেকে দলকে ঢেলে সাজানোর পরামর্শ এবং দলকে শক্তিশালী করার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। হানিফ বলেন, বিএনপির অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের জবাব দিতে সরকারের গত আড়াই বছরের সফলতা তুলে ধরতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'বিএনপি যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে, এবং খালেদা জিয়ার দুর্নীতিবাজ দুই ছেলেকে রক্ষা করতে চায়, আমরা বিষয়টা তুলে ধরতে চাই।' এ ছাড়া বৈঠকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী জেলা ও মহানগর, সিলেট জেলা ও মহানগর কমিটির অনুমোদন করেছেন শেখ হাসিনা। বিএনপির রোডমার্চের বিষয়ে সাংবাদিকদের হানিফ বলেন, 'আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। আমরা শান্তির রাজনীতির বিরুদ্ধে নই। আমরা চাই বিএনপিও শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কর্মসূচি পালন করুক।' হানিফ আরো জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ৯০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোয় শেখ হাসিনা দুঃখ পেয়েছেন। উল্লেখ্য, গতকাল এ অনুষ্ঠান হয়। প্রধানমন্ত্রী এই বিভাগের ছাত্রী ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.