সিরতের দখল নিতে এনটিসির চূড়ান্ত হামলা

লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত নেতা কর্নেল গাদ্দাফির জন্মস্থান সিরত শহরের পূর্ণ দখল নিতে চূড়ান্ত লড়াই শুরু করেছে বিদ্রোহীদের জাতীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের (এনটিসি) বাহিনী। এর আগে তারা দাবি করেছিল, সিরতের বেশির ভাগ এলাকার নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে এসেছে। এবার বাকি অংশেরও দখল নিতে চূড়ান্ত অভিযান শুরু করা হয়েছে। কয়েক ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর গতকাল শনিবার এ অভিযান শুরু হয়।বিদ্রোহীরা সিরতে গাদ্দাফির অনুগতদের লক্ষ্য করে রকেটচালিত গ্রেনেড ও বিমান বিধ্বংসী গোলা ছুড়ছে। দুই পক্ষের তুমুল লড়াই চলছে মূলত সিরতের কেন্দ্রে উয়াগাদুগু সম্মেলন কেন্দ্র ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায়। ওই এলাকা এখনো গাদ্দাফি অনুগতদের দখলে রয়েছে।

সেখান থেকে মাঝেমধ্যে মর্টার ও হালকা গোলার মাধ্যমে বিদ্রোহীদের ভারী অস্ত্রের গোলার জবাব দিচ্ছে গাদ্দাফি বাহিনী।
এনটিসি বাহিনীর কমান্ডার নাসের আবু জিয়ান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, 'আমরা তাদের (গাদ্দাফি বাহিনী) শহরের কেন্দ্রে মাত্র কয়েক বর্গকিলোমিটার এলাকায় ঘিরে রেখেছি।' গত শুক্রবার এনটিসি বাহিনী সিরতে ৭০০ বাড়ির একটি কমপ্লেঙ্ দখলে নেয়। তারা মর্টার, মেশিনগান, স্নাইপার রাইফেল নিয়ে অভিযান চালায়। সাংবাদিকরা জানান, এ সময় ন্যাটো হেলিকপ্টাগুলো মাথার ওপর টহল দিতে থাকে। উয়াগাদুগু থেকে থেমে থেমে গোলাগুলির শব্দ আসছিল। সেনাবাহিনী জানায়, এদিন এনটিসির ১২ সদস্য নিহত ও ১৯৩ জন আহত হয়েছে।
সাংবাদিকরা জানান, এনটিসি বাহিনী গতকাল নতুন করে হামলা শুরু করেছে। এর আগে বালুঝড়ের কারণে তাদের অভিযান কয়েক ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখা হয়। লোকজন আতঙ্কে এলাকা ছাড়ার চেষ্টা করছে। এনটিসি বাহিনী ওই এলাকা থেকে পলায়নরত লোকজনকে তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে। সাংবাদিকরা জানান, কোলে শিশু নিয়ে এক মহিলা ও তাঁর সঙ্গে বোঁচকাবাহী এক পুরুষ এলাকা ছাড়ছিলেন। তাঁরা নিজেদের সুদানি শ্রমিক বলে পরিচয় দেন। আবদুল রহিম কাবাশ নামের ওই শ্রমিক বলেন, 'নিরাপদ কোনো জায়গায় আমরা যেতে চাইছি। আমাদের বাড়িঘরের চারপাশে গত তিন সপ্তাহে প্রচুর গোলাগুলি হয়েছে। এলাকার বহু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।'
সিরতের পূর্বদিকে যুদ্ধরত এনটিসি বাহিনীর সদস্যরা জানান, তাঁরা আয়তক্ষেত্রাকার উয়াগাদুগুকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। বাহিনীর এক সদস্য বলেন, 'সেখানকার কংক্রিটের বাঙ্কারটি বেশ সুদৃঢ়। কয়েক দিন ধরে কামানের গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। সূত্র : এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.