কন্যাসন্তান নষ্ট করায় পুত্রসন্তানের বিপদ

প্রযুক্তির কল্যাণে এখন চাইলে গর্ভাবস্থার একটি পর্যায়ে অনাগত সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা জেনে নিতে পারেন মা-বাবা। কিন্তু প্রযুক্তির এই আশীর্বাদ ক্ষেত্রবিশেষে অভিশাপ হয়ে দেখা দিচ্ছে। কন্যাসন্তান নিতে অনিচ্ছুক দম্পতিরা সন্তান নষ্ট করে ফেলছেন। আর এতে জনসংখ্যায় নারী-পুরুষের হারের ক্ষেত্রে চরম অসংগতি সৃষ্টি হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার ভিয়েতনামের হ্যানয়ে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) আয়োজিত এক সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়েছে। সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা জানান, নারী ও পুরুষের সংখ্যার বৈষম্যের হার এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারত ও চীনে। এই সব দেশে এখন পুরুষদের বিয়ের জন্য কনের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। শুধু এশিয়াতেই এখন পুরুষের চেয়ে নারী কম ১১ কোটি ৭০ লাখ। এ সমস্যায় আক্রান্ত দেশগুলো ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এর প্রভাবের শিকার হবে।
সম্মেলনে উত্থাপিত গবেষণাপত্রে বলা হয়, আলট্রাসাউন্ডের মতো লিঙ্গনির্ধারণকারী প্রযুক্তির কারণে নারী ও পুরুষের সংখ্যার মধ্যে এই পার্থক্যের সৃষ্টি হচ্ছে। ফরাসি বিশেষজ্ঞ ক্রিস্তফ গুইলমোতো বলেন, লিঙ্গ নির্ধারণের প্রযুক্তির সুবিধা নিয়ে অনেক মা-বাবা ‘পছন্দমতো’ গর্ভপাত ঘটান।
জাতিসংঘের গবেষণা অনুযায়ী, বেশির ভাগ দেশে ১০০ মেয়েশিশুর বিপরীতে ১০৪ থেকে ১০৬টি ছেলেশিশু জন্ম নেয়। কিন্তু এশিয়ার কয়েকটি দেশে বিশেষ করে, ভারত ও চীনে গত ২৫ বছরে এর পার্থক্য ধীরে ধীরে বাড়ছে।
গত কয়েক বছরের হিসাব অনুযায়ী, চীনে প্রতি ১০০ মেয়েশিশুর বিপরীতে জন্ম নিচ্ছে ১১৮ দশমিক ১টি ছেলেশিশু। ১০০ মেয়েশিশুর বিপরীতে ছেলের সংখ্যা ভারতে ১১০ দশমিক ৬, আজারবাইজানে ১১৭ দশমিক ৬ ও ভিয়েতনামে ১১১ দশমিক ২

No comments

Powered by Blogger.