ঢাকায় সিভিএফের মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠক পিছিয়ে নভেম্বরে

লবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জোটের (ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম-সিভিএফ) বৈঠক পরিবর্তিত সময়সূচি অনুযায়ী ঢাকায় আগামী ১৩ ও ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। এর আগের সূচি অনুযায়ী আগামী ১৪ ও ১৫ অক্টোবর এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা গতকাল শনিবার কালের কণ্ঠকে এ কথা জানান।উল্লেখ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিভিএফের বৈঠক পেছানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

ওই বৈঠকের প্রস্তুতি নিয়ে মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে সভার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেছিলেন, সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক থাকায় সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিদের কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া না গেলে সিভিএফের বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা গতকাল শনিবার বলেন, পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১৩ নভেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জোটের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বৈঠক। পরদিন ১৪ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে জোটের মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকের উদ্বোধন করবেন। বৈঠক শেষে ঢাকা ঘোষণার মধ্য দিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দাবি বিশ্বের কাছে নতুন করে জানানো হবে।
ওই কর্মকর্তা বলেন, সিভিএফ সদস্যরা নিজেদের স্বার্থরক্ষার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন ও প্রযুক্তি পেতে সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ দিতে চায়। এরই আলোকে বাংলাদেশ সিভিএফের তৃতীয় মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকের আয়োজন করছে। আগামী ২৮ নভেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে অনুষ্ঠেয় জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আগে ঢাকার বৈঠকেই ইতিবাচক আবহ সৃষ্টির সুযোগ বাংলাদেশ কাজে লাগাতে চায়। ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক আলোচনায় সংকল্পবদ্ধ অংশগ্রহণকারী। ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর অধিকার আদায়ে বাংলাদেশ নেতৃত্ব দেয়। বাংলাদেশ মনে করে, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মধ্যে নিয়মিত আলাপ-আলোচনা হওয়া উচিত এবং যৌক্তিক দাবি আদায়ে এক সুরে কথা বলা উচিত। জানা গেছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করছে।

No comments

Powered by Blogger.