আন্তর্জাতিক- আমি স্বাধীনতা চাই না: রমজান কাদিরভ

সাবেক চেচেন প্রেসিডেন্ট আকমদ কাদিরভ ২০০৪ সালে গুপ্তহত্যার শিকার হলে ক্ষমতায় আসেন তাঁর ছেলে রমজান কাদিরভ। সমালোচকেরা বলেন, অপশাসনে তিনি বাবাকেও ছাড়িয়ে গেছেন। সম্প্রতি রমজান কাদিরভ নিউজউইককে এ সাক্ষাৎকারটি দেন:
চেচনিয়ায় ইসলামের পুনরুজ্জীবনে কারা অর্থায়ন করছেন?
আমি, আমার বন্ধুরা, আমাদের পরিচিত লোকজন—আমরা সবাই মিলে টাকা দিই। ব্যবসায়ীরা সাহায্য করেন। মুফতিদের বেতন হিসেবে মস্কো আমাদের কিছু অর্থ দেয়।
রাশিয়ায় ইসলাম সংস্কারের ব্যাপারে ক্রেমলিনের পরিকল্পনায় কি আপনি সন্তুষ্ট?
মস্কোতে একজন নারী পুরোপুরি শরীর ঢেকে রাস্তায় বের হলে, একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমানের যেটা করা উচিত, তাকে তৎক্ষণাৎ সন্ত্রাসী বা আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী হিসেবে সন্দেহ করা হয়। পুলিশ এ ধরনের নারীদের কাগজপত্র পরীক্ষা করে এবং তাদের হয়রানি করে। এটা ঠিক নয়। কর্তৃপক্ষের উচিত, সঠিক ধর্মমত প্রচারের জন্য অনুগত ইমামদের নিয়োগ করা।
জনগণকে শরিয়ামতো জীবন যাপন করার ব্যাপারে পরামর্শ দিতে সম্প্রতি আপনি নৈতিক পুলিশ প্রতিষ্ঠা করেছেন?
এটার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আধ্যাত্মিক ও নৈতিক উন্নয়নকেন্দ্র’। আমরা এখানে উচ্চশিক্ষিত ব্যক্তিদের নিয়োগ করেছি। তারা কাউকে মারধর বা ভর্ৎসনা করে না। শুধু লোককে উগ্রবাদ ও মাদকাসক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক করে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় শিক্ষা কি অতিরিক্ত উদার?
রাশিয়ার দুমার (পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ) সদস্যরা বলেন, স্কুলে কনডম সরবরাহ করা উচিত। আমাদের এ ধরনের গণতন্ত্রের কী দরকার? আমরা আমাদের সন্তানদের শিক্ষার জন্য স্কুলে পাঠাই। আমি মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞানের ভান্ডার, ফ্যাশন প্রদর্শনের জায়গা নয়।
আপনি মস্কো থেকে কতটা স্বাধীন?
স্বাধীনতা আমাদের জন্য সমস্যা ছাড়া আর কিছুই সৃষ্টি করেনি। রাশিয়ার কাছ থেকে চেচনিয়া স্বাধীন হোক তা আমি চাই না। মস্কোর কাছে আমার শুধু একটিই দাবি, আমাকে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে লড়াই করার স্বাধীনতা দিক।
রাশিয়ার সমস্যাগুলোর জন্য সমাধান কী?
সুরা-আসক্তি রাশিয়ায় একটা ভয়াবহ সমস্যা। চীন এক সন্তানের বেশি চায় না। সেখানে রাশিয়া নারীদের বেশি সন্তান জন্মদানের জন্য টাকা দেয়। শো বিজনেস হয়ে উঠেছে এ দেশের রাষ্ট্রীয় সংস্কৃতি। রাশিয়ায় সুরাপান নিষিদ্ধ করার কথা বললে অভিযোগ ওঠে কাদিরভ শরিয়া আইন জারি করতে চান। কিন্তু রাশিয়ায় চেচনিয়াতেই অপরাধ সবচেয়ে কম। এর কারণ আমাদের ধর্মীয় বিশ্বাস।
ভক্তরা চায় আপনি রাশিয়ার নির্বাচনে দাঁড়ান। আপনি নিজে ২০১২ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাকে দেখতে চান?
আমার আদর্শ ভ্লাদিমির পুতিন। আমি চাই তিনি যত দিন বেঁচে আছেন, তত দিনই প্রেসিডেন্ট থাকুন। আমি তাঁকে খুব ভালোবাসি। পুতিন এক কথার মানুষ। তিনি চেচনিয়ায় শান্তি এনেছেন।
==============================
সাহিত্যালোচনা- 'মৃত্যুশতবার্ষিকীর তলস্তয়' by আন্দালিব রাশদী  গল্পসল্প- 'দুঃখটাকে ভাগাভাগি করি' by মুহম্মদ জাফর ইকবাল  গল্প- 'দাদার দোকানে শূন্য দশক' by সালাহউদ্দিন  শিল্পি- 'সফিউদ্দিন আহমেদের সৃষ্টিসমগ্র-অশেষ আলোর আলোর আধার' by সৈয়দ আজিজুল হক  নিবন্ধ- 'সব শিল্পই যাবে প্রকৃতির কাছে। by খান মিজান  গল্পসল্প- 'কাউন্ট লিও তলস্তয়' by আন্দালিব রাশদী  আলোচনা- 'সেই আমি এই আমি' by আতিকুল হক চৌঁধুরী  ইতিহাস- 'কাউন্ট লিও তলস্তয়ের হৃদয়সংবেদী ডায়েরি' by দেবেশ রায়  স্মরণ- 'কাউন্ট লিও তলস্তয়ের মৃত্যু-শতবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি' by বেলাল চৌধুরী  ইতিহাস- 'বাংলায় সিপাহি বিদ্রোহ' by রিদওয়ান আক্রাম  শিল্প-অর্থনীতি 'এখন প্রয়োজন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের' by সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ  রাজনৈতিক আলোচনা- 'গণতন্ত্র : চাইলেই ধরা দেয় না' by এমাজউদ্দীন আহমদ  আন্তর্জাতিক- 'কোরীয় অঞ্চলে নতুন উত্তেজনা কত দূর যেতে পারে?' by জগলুল আহমেদ চৌধূরী  আলোচনা- 'মানসিক নির্যাতনের প্রতিকার কোথায়' by আশরাফ-উল-আলম  আসুন, ওদের দিকে মমতার হাত বাড়িয়ে দিইঃ গোলটেবিল বৈঠক।এইচআইভি/এইডস : প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবা ও মানবাধিকার  আলোচনা- 'আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস'  আলোচনা- 'নেত্রীর অশ্রুপাত, হরতাল এবং অ্যাকশনে বিএনপি' by সঞ্জীব রায়  আলোচনা- 'আরো আলোকিত হোক জনশক্তি রপ্তানি খাত'


দৈনিক প্রথম আলো এর সৌজন্যে
ভাষান্তর : সাইফুল সামিন


এই সাক্ষাৎকার'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.