ইতিহাস- 'বাংলায় সিপাহি বিদ্রোহ' by রিদওয়ান আক্রাম

ঢাকার বিদ্রোহ। ভারতবর্ষে সিপাহি বিদ্রোহ শুরু হয় ২৯ মার্চ। ঢাকায়ও বিদ্রোহের উত্তেজনা ছড়ায় মার্চ থেকেই। ঢাকাবাসী সিপাহিদের নিজেদের মুক্তিদাতা হিসেবে গ্রহণ করেনি যেমনটা দিলি্লর লোকেরা করেছিল। এ জন্য দিলি্লবাসীকে মূল্যও দিতে হয়েছিল। প্রতিশোধ হিসেবে হাজার হাজার দিলি্লবাসীকে হত্যা করেছিল ইংরেজরা। হয়তো তাদের এই পরিণতির কথা জেনে পূর্ববঙ্গসহ ঢাকাবাসী একপ্রকার নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করছিল। তবে ইংরেজরা স্থানীয় হিন্দু ও মুসলমানদের বিশ্বাস করতে পারছিল না কোনো মতেই। তারা চাইছিল স্বদেশি সৈন্যরা এসে ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক।
ঢাকায় তখন ৭৩ নম্বর দেশি পদাতিক বাহিনী ছিল। এদের ছোট অংশটি ছিল কোষাগার পাহারায়, আর বড় অংশটি লালবাগ কেল্লায়। মে মাসে ঢাকায় মিরাটের সিপাহিদের বিদ্রোহের খবর এসে পেঁৗছায়। ফলে সিপাহিদের মাঝে উত্তেজনা বাড়ে। চকবাজারে ধর্ম প্রচারকালে খ্রিস্টান মিশনারিদের বাধা দেয় সিপাহিরা। ঢাকার প্রথম পত্রিকা 'ঢাকা নিউজ'-এর ২০ জুনের সংখ্যায় লেখা হয়, 'ছাত্রীদের অনুপস্থিতির জন্য বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছে ঢাকার বাংলাবাজার ফিমেল স্কুল।' ১২ জুন একজন ইউরোপীয় শহরে সিপাহিদের বিদ্রোহের কথা ছড়ায়। এই গুজবে পুলিশ ও ছাত্ররা আতঙ্কিত হয়ে যে যার মতো পালাতে থাকে। চোখের পলকে জনশূন্য হয়ে যায় কাছারি। খালি হয়ে পড়ে অফিস-আদালত। সম্পদশালী অধিবাসীরা এতটাই ভয় পেয়েছিল যে তারা দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরেই নিজেদের একপ্রকার বন্দি করে রাখল। কিছুসংখ্যক ইউরোপীয় মহিলা নৌকায় করে নদীতে আশ্রয় নেয়। এর অল্প কিছুক্ষণ পর সেনানায়ক লেফটেন্যান্ট ম্যাকমিলান লালবাগ কেল্লায় সিপাহিদের পরিদর্শন করলেন। দেখেন সবই শান্ত, বিদ্রোহের কোনো আলামত নেই। পরিস্থিতি স্বাভাবিক দেখে যেসব ইউরোপীয় নদীতে পালিয়ে গিয়েছিল বিকেলের দিকে তারা ফিরে আসে।
সামান্য গুজবে হুলস্থুল কাণ্ড! এর একটা বিহিত করার জন্য পরের দিন অর্থাৎ ১৩ জুন 'প্রোটেকশন অব দ্য ইনহ্যাবিটেন্স কমিটি' ঢাকা নিউজে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল, কেউ যেন কোনো ধরনের গুজবে কান না দেয়। আর যদি কোনো গুজব শোনে তাহলে দ্রুত তা ম্যাজিস্ট্রেট বা কমিটির যেকোনো সদস্যকে জানায়। বিজ্ঞপ্তিতে শহরের খ্রিস্টান অধিবাসীরা নিজেদের রক্ষায় পরস্পরকে সাহায্য করার আহ্বান করা হয়।
প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে এমন একটি বাড়িকে নির্ধারণ করতে হবে যেখানে প্রয়োজনমতো সবাই আশ্রয় নিতে পারে। এ জন্য কমিশনার ডেভিডসনের বাড়িটি হতে পারে সবচেয়ে উপযুক্ত। এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য কমিটির মূল দায়িত্ব দেওয়া হয় ম্যাজিস্ট্রেট জেনকিন্সকে। সহকারী করা হয় মেজর স্মিথ, ক্যারনেক ডয়োল, হিটচিনস কারনেজকে। ঢাকায় বসবাসরত ইউরোপীয় খ্রিস্টানদের নিজ উদ্যোগে গ্রহণ করা আত্মরক্ষামূলক কর্মকাণ্ডের মধ্যেই সরকার ঢাকাকে সিপাহিদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য ভারতীয় নৌবাহিনীকে পাঠায়। ভারতীয় নৌসেনারা যে শুধু ঢাকায় বসবাসরত ইউরোপীয়দের প্রাণ রক্ষার জন্য এসেছিল, তা কিন্তু নয়_একই সঙ্গে তাদের উদ্দেশ্য ছিল ঢাকার কোষাগারের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা। কেননা অন্যান্য অঞ্চলে বিদ্রোহের সময় কারাগার থেকে বন্দিদের মুক্তি, ব্যারাকে আগুন লাগানো, অস্ত্রাগার ও কোষাগার লুণ্ঠনের মতো ঘটনা ঘটেছিল। এসব চিন্তা করেই রাজশাহী, সিলেট, কুমিল্লা এবং রংপুরের ইংরেজ কর্মকর্তারা নিজ নিজ কোষাগারকে সুরক্ষিত করার উদ্যোগ নেন। কোষাগারের নিরাপত্তা হয় ইংরেজ বাহিনীর হাতে দেওয়া নতুবা জেলা কোষাগারের অর্থ নিকটবর্তী এমন কোনো শক্তিশালী কোষাগারে জমা করা হয়, যেখানে প্রয়োজনীয় পরিমাণে নিরাপত্তা নিশ্চিত ছিল। তবে ঢাকার কোষাগারের দায়িত্বে ছিল দেশি সিপাহিরাই। ঢাকায় ইংরেজ নৌবাহিনী পেঁৗছালেও দেশি সিপাহিদের কোষাগারের দায়িত্ব থেকে সরানো হয়নি। ইংরেজরা সে চেষ্টাও করেনি। সম্ভবত তারা পরিস্থিতি আরো খানিকটা দেখতে চাইছিল অথবা দেশি সিপাহিদের ওই সময়টায় ঘাঁটাতে সাহস পায়নি।
ঢাকায় ভারত থেকে ইংরেজ নৌবাহিনীর আসার সময় নিয়ে খানিকটা বিতর্ক রয়েছে। ব্রেনান্ড তাঁর রোজনামচায় লিখেছেন, ১৯ থেকে ২৩ জুনের মধ্যে সরকার লেফটেন্যান্ট লুইসের নেতৃত্বে ভারতীয় নৌবাহিনীর ১০০ সেনাকে শহর রক্ষার জন্য পাঠায়। তারা ব্যাপ্টিস্ট চার্চের উল্টোদিকে বাড়িতে গিয়ে ওঠে। কিন্তু ঢাকা নিউজ সংবাদ থেকে জানা যাচ্ছে, ২০ জুনের আগে ঢাকায় নৌসেনারা এসেছে। ব্রেনান্ডের উল্লেখ করা ১৯ জুনকে [ঢাকা নিউজের সংবাদ প্রকাশের আগের দিন] ঢাকায় ইংরেজ নৌসেনাদের আগমনের সময় হিসেবে ধরে নিলে কোনো সমস্যা থাকে না। ঢাকা নিউজের ২০ জুনের সংবাদ প্রামাণ্য হিসেবে ধরে নিলে ১৮ জুন ঢাকায় নৌবাহিনী পেঁৗছেছিল।
ঢাকায় নৌসেনাদের উপস্থিতিতে ইউরোপীয়রা অনেকটাই স্বস্তি ফিরে পায়। ঢাকা নিউজ নৌসেনার সংখ্যা উল্লেখ করেছে ১০০ জন। আর হৃদয়নাথ জানাচ্ছেন কলকাতা থেকে আসা কম্পানির নৌসেনার সংখ্যা ছিল ১২৫ জন। কিন্তু অধ্যাপক রতন লাল চক্রবর্তী সরকারি নথিপত্র [ঢাকা কালেক্টরের কাছে ঢাকা বিভাগের কমিশনার অব রেভিনিউয়ের পত্র, ১৮ আগস্ট, ১৮৫৭] অনুযায়ী জানাচ্ছেন, দেড় শ কম্পানির নৌসেনা ঢাকায় এসেছিল 'জেনোবিয়া' ও 'পাঞ্জাব' নামের দুটি জাহাজে করে।
যেদিন ঢাকায় ইংরেজ নৌসেনারা পেঁৗছেছিল সেদিনই একটি রহস্যজনক ঘটনা ঘটে। বুড়িগঙ্গা নদীর অপর তীরে কিছু তরুণ সিপাহির পোশাক পরে স্থানীয় অধিবাসীদের মারধর করে। এই ঘটনা আগুনের মতো ছড়িয়ে গিয়েছিল। তবে নাজির দ্রুততার সঙ্গে দোষী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করে কারাবাসের শাস্তি দিয়েছিলেন। সম্ভবত তৃতীয় কোনো পক্ষ চাইছিল সরকার সিপাহিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। দোষী ব্যক্তিরা সত্যিকারের সিপাহি হলে অন্তত সিপাহিরা অথবা সরকারের কাছ কোনো ধরনের মন্তব্য আসত। সে সময় পত্রিকা বা অন্যান্য সূত্রে এ ধরনের কিছু পাওয়া যায় না। এর মধ্যে একজন গোলন্দাজ কর্মকর্তাকে লালবাগ কেল্লায় পাঠানো হয়েছিল শহর রক্ষার নাম করে কিছু গোলাবারুদ আনার জন্য। কিন্তু সিপাহিরা তা দিতে অস্বীকার করে।
স্নায়ুক্ষয়ী উত্তেজনা সহ্য করতে না পেরে ২৮ জুন দুজন সিপাহি লালবাগ কেল্লা থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু তারা শহরের উপকণ্ঠেই পুলিশের হাত ধরা পড়ে। তবে বেশ কিছুু সিপাহি পুলিশকে আক্রমণ করে তাদের মুক্ত করে নিয়ে যায়। কারা এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা উদ্ঘাটনের জন্য দেশি সিপাহিদের দুটি কম্পানিকেই প্যারেড করানো হয়। কিন্তু আক্রমণের শিকার পুলিশরা দোষী সিপাহিদের শনাক্ত করতে পারেনি অথবা ভয়ে করতে চায়নি (ব্রেনান্ডের অনুমান অনুযায়ী)। ওই সময় কম্পানির নৌসেনারা সিপাহিদের ভয় দেখানোর জন্য কুচকাওয়াজ করে নিজেদের সামরিক শক্তির নমুনা দেখাচ্ছিল। তবে সিপাহিরাও এটাকে তেমন একটা পাত্তা দেয়নি।
৩০ জুলাই ঢাকা কলেজে ইউরোপীয় অধিবাসীরা সভা করে একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করে। এই বাহিনীতে পদাতিক ও ঘোড়সওয়ার দুই দল ছিল। পদাতিক বাহিনীর দায়িত্ব ছিল মেজর স্মিথ এবং ঘোড়সওয়ার বাহিনী লেফটেন্যান্ট হিচিনসের ওপর। আগস্ট মাসে কোরবানির ঈদ আর মহররম হওয়ার কারণে খ্রিস্টানরা মনে করছিল, এ সময়ে ঢাকার মুসলমানরা ঝামেলা পাকাতে পারে। ফলে এই সময়টা স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী রাত জেগে পাহারা দিয়ে বেড়িয়েছিল সারা শহর। তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। এদিকে ফলির মিলকে (পরে এটি মিল ব্যারাক নামে পরিচিত হয়) সংস্কার করে ইউরোপীয়দের আত্মরক্ষামূলক আবাস হিসেবে গড়ে তোলার প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় আগস্ট মাসেই। তবে পরে অবশ্য এর প্রয়োজন পড়েনি।
সেপ্টেম্বরেও একটি মাত্র ঘটনা ছাড়া তেমন কিছু ঘটেনি। ১৭ সেপ্টেম্বর আসামে যাওয়ার পথে একটি স্টিমার ১০০ নৌসেনা নিয়ে ঢাকায় থেমেছিল। এদের মাঝে খানিকটা বিদ্রোহ ভাব দেখা দিয়েছিল। কিন্তু লেফটেন্যান্ট লুইস ও তার দলবল গুলি ভরা বন্দুক ও বেয়নেট দেখিয়ে তাদের ঢাকা ত্যাগ করতে বাধ্য করে। নভেম্বর মাসের ৯ তারিখ, সোমবার। স্বেচ্ছাসেবীদের পদাতিক দল ও ঘোড়সওয়ারিদের সম্মানার্থে ডিনার পার্টির আয়োজন হয়। ঢাকায় ইউরোপীয়দের এত বড় পার্টি নাকি আর কখনো হয়নি।
১৯ নভেম্বর চট্টগ্রামের সিপাহিরা বিদ্রোহ করে। গোয়েন্দা সূত্রে সেই খবর এসে পেঁৗছায় ঢাকায়। চট্টগ্রামের মতো কোনো ঘটনা ঘটার আগেই ঢাকার সিপাহিদের নিরস্ত্র করার সিদ্ধান্ত নেন লেফটেন্যান্ট লুইস ২১ নভেম্বর। ২২ নভেম্বর ভোর ৫টায় দুটি ইউরোপীয় দল লালবাগ ও কোষাগারের দিকে যায়। পুরোপুরি সামরিক সদস্য নিয়ে গঠিত ছিল লালবাগের দলটি। এদের নেতৃত্বে ছিল লে. লুইস, লে. ডয়োল, লে. ইটিবিয়াস ও উইলিয়াম ম্যাকফারসনের ওপর। অন্যদিকে কোষাগার অভিযানে লে. রিন্ডের সঙ্গে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবী দলের নলেন পোগোজ, স্যামুয়েল রবিনসন, জন জারকাস, ডা. গ্রিন, বেইনব্রিজ, রেভারেন্ড উইনচেস্টার, কারন্যাক, হিটচিন্স, ম্যাকহারসন ও হ্যারিস। কোষাগারের পাহারারত সিপাহিরা ছিল ঘুমে। তাদের ঘুমের মধ্যেই নিরস্ত্র করা হয়। বন্দি সিপাহিদের নিয়ে ঢোকানো হয় কোষাগারের একটি বড় কক্ষে। হঠাৎ করে লালবাগ কেল্লা থেকে প্রচণ্ড গোলাগুলির আওয়াজ শুনে আটক সিপাহিরা ওই কক্ষের পেছনের একটি জানালা দিয়ে পালাতে শুরু করে। পলায়নরত সিপাহিদের উদ্দেশ্যে কিছু গুলি ছোড়া হয়, এতে দুজন আহত হয়। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবী দলের নেতৃত্বে থাকা হ্যারিস এবং কমিশনার ডেভিডসন পলাতকদের গুলি করতে নিষেধ করেন। ফলে ৫০ জনের মতো সিপাহি পালিয়ে যায়। অন্যদিকে নৌসেনারা লালবাগ কেল্লার দক্ষিণ দিকের ভাঙা অংশ দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করে। সিপাহিরা হয়তো আগেই খবর পেয়ে প্রস্তুত হয়েছিল। ফলে ৯০ নৌসেনা আর ২০০ সিপাহির (অধ্যাপক রতনলাল চক্রবর্তী বলেছেন ৭৩ নম্বর দেশীয় পদাতিকে সিপাহির সংখ্যা ছিল ১১৯ জন) মধ্যে লড়াই শুরু হয়। আধা ঘণ্টার মধ্যেই জয়-পরাজয় নিশ্চিত হয়ে যায়। সিপাহিরা পরাজিত হয়ে কেল্লার উত্তর-দক্ষিণ দিক দিয়ে পালিয়ে যায়। ঢাকা নিউজের তথ্য অনুসারে, সিপাহিদের পক্ষে মারা গিয়েছিল ৪১ জন, আহত অবস্থায় গ্রেপ্তার হয় ৮ জন। ৭৫ জনের মতো সিপাহি পালিয়ে যায়, অধিকাংশই খুব আহত ছিল। শহরের কাছের জঙ্গলে আশ্রয় নেয় তাঁরা। রাতে সেখান থেকে হঠাৎ হঠাৎ করেই দু-একটি বন্দুকের গুলির আওয়াজ শুনতে পাওয়া যাচ্ছিল। সম্ভবত আহতদের শেয়ালের হাত থেকে দূরে রাখার জন্য এই গুলি করা হচ্ছিল। পরে তারা নদী পার হয়ে ময়মনসিংহের দিকে চলে যায়। নদী পার হতে গিয়ে জলে ডুবে মারা যায় তিন সিপাহি। এ লড়াইয়ে মারা যায় পাঁচ ইংরেজ সেনা_হেনরি স্মিথ, নেইল ম্যাকমুলেন, উইলিয়াম হার্ডেন, জেমস মুনেরো ও রবার্ট ব্রাউন। আহত হয় ১৪ জন। স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে আহত হন শুধু ডা. গ্রিন। লড়াইয়ের দিনটা ছিল রবিবার। সেদিন সারা রাত স্বেচ্ছাসেবীদের পদাতিক ও ঘোড়সওয়ারিরা ঢাকা পাহারা দেয়।
লড়াইয়ের দিন বিকেলবেলায় ধরা পড়েছিল চারজন সিপাহি। তাদের পরের দিন বিচারক অ্যাবারক্রোমবিক বিদ্রোহীদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন। এভাবে বিদ্রোহ দমন ও ফাঁসি দিয়ে ভারতবাসীর মনে ভয় ধরানোর যত চেষ্টা ইংরেজরা করেছিল তা যে সফল হয়নি, তারই প্রমাণ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের পরের বিদ্রোহগুলো। সিপাহি বিদ্রোহ ভারতের স্বাধিকার আন্দোলনের যে সূচনা করেছিল তারই সফল সমাপ্তি হয় ১৯৪৭ সালে।
=========================
শিল্প-অর্থনীতি 'এখন প্রয়োজন ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের' by সৈয়দ মাহবুবুর রশিদ  রাজনৈতিক আলোচনা- 'গণতন্ত্র : চাইলেই ধরা দেয় না' by এমাজউদ্দীন আহমদ  আন্তর্জাতিক- 'কোরীয় অঞ্চলে নতুন উত্তেজনা কত দূর যেতে পারে?' by জগলুল আহমেদ চৌধূরী  আলোচনা- 'মানসিক নির্যাতনের প্রতিকার কোথায়' by আশরাফ-উল-আলম  আসুন, ওদের দিকে মমতার হাত বাড়িয়ে দিইঃ গোলটেবিল বৈঠক।এইচআইভি/এইডস : প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সেবা ও মানবাধিকার  আলোচনা- 'আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস'  আলোচনা- 'নেত্রীর অশ্রুপাত, হরতাল এবং অ্যাকশনে বিএনপি' by সঞ্জীব রায়  আলোচনা- 'আরো আলোকিত হোক জনশক্তি রপ্তানি খাত'  আলোচনা- 'কানকুন সম্মেলনে আমাদের প্রত্যাশা' by শিরীন আখতার  আলোচনা- 'জনসংখ্যার বিপদ ও পরিত্রাণের পথ'  শিল্প-অর্থনীতি 'বিনিয়োগ ও মূল্যস্ফীতি:দুর্ভাবনার বিষয়' by ড. আর. এম. দেবনাথ  গল্পসল্প- 'হায়রে নাড়ি ছেঁড়াধন' by শিখা ব্যানার্জী  গল্পসল্প- 'জননী ও জন্মভূমি' by শুভ রহমান  গল্পালোচনা- ''বিভীষণ' বিদায় ও হরতাল সমাচার' by শুভ রহমান  খবর- হরতালের বিরুদ্ধে একজোট, উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা  আলোচনা- 'হজ ব্যবস্থাপনা প্রসঙ্গে কিছু কথা' by এয়ার কমোডর (অব.) মুহম্মদ জাকীউল ইসলাম  শিল্প-অর্থনীতি 'কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেতন-কাঠামো' by খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ  স্মরণ- 'মীর শওকত আলী বীর উত্তম : একজন বীরের প্রতিকৃতি' by ড. আশকার ইবনে শাইখ  আন্তর্জাতিক- 'মিয়ানমারে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ' by আহসান হাবীব  রাজনৈতিক আলোচনা- 'বিচিত্র সংকটের আবর্তে একটি বাড়ি' by এবিএম মূসা  ইতিহাস- 'হাজংমাতা শহীদ রাশিমনির স্মৃতিসৌধে' by দীপংকর চন্দ


দৈনিক কালের কণ্ঠ এর সৌজন্যে
লেখকঃ রিদওয়ান আক্রাম


এই ইতিহাস'টি পড়া হয়েছে...
free counters

No comments

Powered by Blogger.