রাণীনগরে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বাদাম চাষ

দেশের উত্তর জনপদের খাদ্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় ব্যাপক ধান চাষের পাশাপাশি চলতি খড়িপ ও রবি মৌসুমে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি সাদা সোনা খ্যাত বাদাম চাষের দিকে কৃষকরা দিনদিন ঝুকে পড়ছে। ফলে দিনদিন বৃদ্ধি পাচ্ছে এই উপজেলায় বাদাম চাষ। স্বল্প খরচে অধিক লাভ হওয়ায় চাষিরা এই ফসল চাষের দিকে ঝুকে পড়ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চলতি খড়িপ ও রবি মৌসুমে বোরো ধানের পাশাপাশি বাদাম চাষ সবুজের ডানা মেলেছে। কৃষকরা আশা করছেন ভাল বাজার দর পেলে তাদের মুখে ফুটবে হাসির ঝিলিক। জেলার অন্যান্য উপজেলার চেয়ে রাণীনগর উপজেলায় এবার বাদাম চাষে প্রায় শীর্ষ স্থান দখল করে নিয়েছে। রাণীনগর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি খড়িপ ও রবি মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে পরীক্ষা মূলক ভাবে প্রায় ৫০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। বিগত বছরে বাদামের ভাল ফলন ও দাম আশানুরুপ পাওয়ায় এলাকার চাষিরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি বাদাম চাষের দিকে মনোযোগী হচ্ছে। গত কয়েক বছরগুলোতে চাষিদের উৎপাদিত অন্যান্য কৃষিজাত ফসলে লোকসান হওয়ার কারণে এলাকার চাষিরা বাদামের আবাদ মনোযোগ দিয়েই করছে। ফলন ও দাম ভাল পেলে চাষিদের আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পাবে এমনটায় আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ভরা মৌসুমে প্রাকৃতিক কোন দূর্যোগ দেখা দিলে অন্যান্য ফসলের যেমন ক্ষতি হয় বাদামের তেমন একটা ক্ষতি হয় না। প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় আড়াই টন পর্যন্ত বাদাম উৎপাদন হয়। ধান চাষের পরেই এলাকায় অন্যান্য কৃষি ফসলের পাশাপাশি সাদা সোনা খ্যাত বাদাম চাষের উজ্জল সম্ভবনা দেখা দিচ্ছে। উপজেলা ৩নং গোনা ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের বাদাম চাষি মো: মোবারক আলী জানান, আমি নিজের জমিতে বোরো ধানের চাষ করতাম। কিন্তু ধানের জমি কিছুটা কমিয়ে বাদাম চাষের দিকে মনোযোগ দিচ্ছি। এবছর আমি দেড় বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। এখন পর্যন্ত রোগবালাই মুক্ত থাকায় আশা করছি ভাল ফলন হবে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সবুজ কুমার সাহা জানান, মাঠ পর্যায়ে চাষিদের বাদাম চাষের আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রান্তিক পর্যায়ে চলতি খড়িপ ও রবি মৌসুমে চাষিদের রোগ প্রতিরোধ সর্ম্পকে কৃষকদের গঠন মূলক পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এই ফসলে এমনিতেই তেমন কোন রোগ-বালাই আক্রান্ত হয় না। দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা দিনদিন বাদাম চাষের দিকে মনোযোগী হচ্ছে।

No comments

Powered by Blogger.