বিএনপি কি নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে দিল?

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গত বুধবার ঢাকায় একটি হোটেলে ‘ভিশন-২০৩০’ উপস্থাপন করেছেন। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি ২০৩০ সালের বাংলাদেশকে কীভাবে দেখতে চায়, তা উপস্থাপন করেছে। যদিও এর আগে বিএনপির মহাসচিব জানিয়ে দিয়েছিলেন, ভিশন-২০৩০-এর সঙ্গে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। বিএনপি এখনও নির্বাচনকালীন সরকারের প্রশ্নে তাদের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন আনেনি। অর্থাৎ বিএনপি বারবার বলে আসছে, শেখ হাসিনা দলীয়প্রধান, তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রেখে নির্বাচনের আয়োজন করলে সেই নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। একসময় বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করত। এখন আর তারা সেই দাবি করে না। তারা চাচ্ছে একটি নির্বাচনকালীন সরকার, যেখানে বড় দল হিসেবে বিএনপিকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি সরকার গঠিত হবে, যে সরকার নির্বাচন পরিচালনা করবে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, সংবিধানে এ ধরনের কোনো সরকারের কথা উল্লেখ নেই। এটাই বিবেচনায় নিচ্ছে সরকারি দল। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দিয়েছেন, পৃথিবীর কোনো দেশে এ ধরনের নির্বাচনকালীন সরকার নেই। অর্থাৎ বিএনপির প্রস্তাবে আওয়ামী লীগ রাজি নয়। ফলে একটা জটিলতা থেকেই গেল। সংবিধানের কোথাও স্পষ্ট করে বলা নেই একটি ‘নির্বাচনকালীন সরকারের’ কথা। তবে ৫৭(৩)-এ বলা আছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই অযোগ্য করিবে না।’ এর অর্থ পরিষ্কার- যিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব গ্রহণ না করা পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকবেন। অর্থাৎ শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে বহাল রেখেই নির্বাচন কমিশন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করবে। বিএনপির আপত্তিটা এখানেই। বিএনপি মনে করে, যেহেতু শেখ হাসিনা একটি দলের প্রধান, সুতরাং তাকে ক্ষমতায় রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। এ যুক্তি একেবারে ফেলে দেয়ার মতো নয়। অভিজ্ঞতা থেকে আমরা দেখেছি, সংবিধানের ১১৮(৪) অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন থাকবে বলা হলেও এ কমিশন কখনই স্বাধীন ছিল না। কমিশনকে নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রশাসনের ওপর নির্ভর করতে হয়। স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা, ডিসি ও টিএনওদের ওপর নির্ভর করতে হয়। আর এদের নিয়ন্ত্রণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। যদিও সংবিধানের ১২৬নং অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে সহায়তা করা সকল নির্বাহী কর্তৃপক্ষের কর্তব্য হইবে’, বাস্তবে এটা শুধু কাগজ-কলমেই সীমাবদ্ধ। ‘নির্বাহী কর্তৃপক্ষ’ নির্বাচন কমিশনের কথায় চলে না। এবং নির্বাচন কমিশনও এদেরকে ‘কর্তব্য পালনে’ বাধ্য করতে পারে না। ফলে সরকার যা চায় তা-ই হয়। নির্বাচন কমিশন এখানে ঠুঁটো জগন্নাথ। কাজেই একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রশ্নে সরকারের আন্তরিকতাটাই আসল। এখন বিএনপি বলছে একটি ‘নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখার’ কথা। এই ‘রূপরেখা’ তো সরকার দেবে না। দিতে হবে বিএনপিকে। গত ৯ মার্চ এক আলোচনা সভায় বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছিলেন, শিগগিরই খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সরকারের রূপরেখা দেবেন। আমরা জানি না সেই রূপরেখা কী হবে। ইতিমধ্যে দু’মাস কেটে গেছে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে (২০১৪) প্রধানমন্ত্রী একটি ছোট আকারের মন্ত্রিসভা গঠন করেছিলেন। ওই মন্ত্রিসভায় যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বিএনপিকে, যা বিএনপি গ্রহণ করেনি। এখন কি প্রধানমন্ত্রী সেরকম একটি আমন্ত্রণ জানাবেন? তবে ২০১৪-পূর্ববর্তী পরিস্থিতি ও আজকের পরিস্থিতির মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে। নবম সংসদে বিএনপি ছিল এবং সংসদ সদস্যদের সমন্বয়েই ওই সময় একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হয়েছিল। এখন তো বিএনপি সংসদে নেই। তাহলে বিএনপি ‘নির্বাচনকালীন সরকারে’ থাকবে কী করে? এখানেই এসে যায় সরকারের আন্তরিকতার প্রশ্ন। বিএনপি সংসদের বাইরে বড় দল। দেশে ও বিদেশে দলটির ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা আছে। দাতাগোষ্ঠী বারবার ‘সব দলের অংশগ্রহণে’ যে নির্বাচনের কথা বলছে, তার মাধ্যমে তারা পরোক্ষভাবে বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসার কথাই বোঝাচ্ছে। এখন সেটি সম্ভব হবে কীভাবে? শেখ হাসিনাই নির্বাচনকালীন প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। এটাই সংবিধানের কথা। সংবিধানের বাইরে যাওয়া যাবে না। এখন বিএনপিকে আস্থায় নিতে হলে দলটিকে একটি ‘অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভায়’ অন্তর্ভুক্ত করা যায় শুধু নির্বাচন প্রস্তুতিকালীন তিন মাস সময়ের জন্য। সরকার নীতিগতভাবে এক্ষেত্রে কতগুলো সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যা অনেকটা এরকম : ১. শুধু সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে নির্বাচনকালীন একটি সরকার গঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ১০ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা থাকবে; ২. তিনটি দল- আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি এই মন্ত্রিসভায় থাকবে (মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির জন্য তিনটি উপনির্বাচনে তিনজন বিএনপি প্রার্থীকে ‘বিজয়ী’ করে সংসদে আনা যায়); ৩. প্রধানমন্ত্রী ব্যতিরেকে যারা মন্ত্রিসভায় থাকবেন, তারা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না; ৪. জনপ্রশাসন অথবা স্বরাষ্ট্র যে কোনো একটি মন্ত্রণালয় বিএনপিকে দেয়া যেতে পারে; ৫. ওই সরকার নীতিগত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না; ৬. নির্বাচনের সময় ডিসি, টিএনও ও ওসিদের বদলি করা হবে। প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় নতুন লোক দিতে হবে। বিকল্প হিসেবে স্পিকার অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হতে পারেন, অথবা আওয়ামী লীগের যে কোনো বয়োজ্যেষ্ঠ নেতা এই দায়িত্বটি নিতে পারেন। তবে নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে তারা কেউই (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সদস্যরা) একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। তিনটি দলের প্রতিনিধিত্ব থাকবে এ কারণে যে, বাংলাদেশের সংসদীয় রাজনীতির ইতিহাসে এই তিনটি দলের বরাবরই প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এর বাইরে যেসব দল দশম কিংবা নবম জাতীয় সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেছে, তারা দুটো বড় দলের ব্যানারে এবং ওই দলের প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন (যেমন জাসদের দলীয় প্রতীক মশাল, বিজয়ী হয়েছেন নৌকা প্রতীক নিয়ে)। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভায় ওইসব দলের প্রতিনিধিত্বের প্রয়োজন নেই। বেশকিছু কারণে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, সব দলের অংশগ্রহণে একটি নির্বাচন প্রয়োজন। এজন্য বিএনপিকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নিয়ে আসতে হবে। আমার ধারণা বর্তমান সরকারও চায় আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিক। পরপর দুটো নির্বাচনে বিএনপি যদি অংশ না নেয়, তাতে সরকারের অবস্থানে কোনো পরিবর্তন হবে না সত্য, কিন্তু বিদেশে সরকারের ভাবমূর্তি একটা প্রশ্নের মুখে থাকবে। দ্বিতীয়ত, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অনেক মামলা রয়েছে। মামলার রায়ও হবে চলতি বছরে। এতে করে খালেদা জিয়াকে বাদ দিয়ে বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেয়ার একটা প্রশ্ন আছে। খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে না- এসব কথা বলা হচ্ছে। বিষয়টি একান্তই আইনগত। সুতরাং আদালতের ওপরই বিষয়টি ছেড়ে দিতে হবে। এ বিষয়ে আমরা যত কম কথা বলব, ততই মঙ্গল। তৃতীয়ত, জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলে এবং একইসঙ্গে সরকারে রেখে সরকার খুব লাভবান হয়েছে বলে মনে হয় না। সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বিরোধী দলের আসনে মেনে নেয়নি। বিএনপি সংসদে বিরোধী দলে থাকলে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ত। এদেশে সুস্থ গণতান্ত্রিক চর্চার জন্য দুই বড় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের মানসিকতায় পরিবর্তন দরকার। মানসিকতায় যদি পরিবর্তন না আসে, তাহলে দেশে ‘গণতন্ত্রের হাওয়া’ বইবে না। আর বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যদি বিভেদ-অসন্তোষ থাকে, তাহলে এ থেকে ফায়দা নেবে অসাংবিধানিক শক্তিগুলো, যা গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক নয়। স্বাধীনতা লাভের পর আমাদের অনেক অর্জন আছে। অনেক সেক্টরে আমরা বিশ্বকে নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা রাখি। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীতে আমাদের সেনাবাহিনীর অংশগ্রহণ, তৈরি পোশাক শিল্পে আমাদের সক্ষমতা, ওষুধ শিল্পের গ্রহণযোগ্যতা ইত্যাদি নানা কারণে বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের একটা পরিচিতি আছে। আমরা ‘সফ্ট পাওয়ার’ হিসেবে ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছি। ‘নেক্সট ইলেভেনে’ বাংলাদেশের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৭-এর ঘরে থাকবে বলে আন্তর্জাতিক মহল থেকে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। এই ‘অর্জন’ মুখ থুবড়ে পড়বে যদি রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে দুই বড় দলের মাঝে আস্থার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত না হয়। এ ‘আস্থার সম্পর্ক’ শুধু দেশের বিকাশমান গণতন্ত্রের জন্যই নয়, বরং স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন, উপরন্তু জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্যও প্রয়োজন। কারণ সাধারণ মানুষ চায় দুই বড় দলের নেতারা পরস্পরকে শ্রদ্ধা করবেন। তারা একে অন্যকে আক্রমণ করে কোনো বক্তব্য রাখবেন না। দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। এই প্রতিযোগিতা হতে হবে রাজনৈতিক ও কর্মসূচিভিত্তিক। প্রধানমন্ত্রী পরোক্ষভাবে ‘নির্বাচনী প্রচারণা’ একরকম শুরু করে দিয়েছেন। গত দুই মাসে তিনি একাধিক জনসভা করেছেন। প্রতিটিতেই তিনি উন্নয়নের কথা বলেছেন। বগুড়া বিএনপির ঘাঁটি বলেই বিবেচিত। সেখানে তিনি বলেছেন, উন্নয়নে কোনো বিশেষ এলাকা বিবেচ্য নয়। এর অর্থ উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় নিয়ে আসবেন। সামনে আছে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের বিষয়টি, যা ২০১৮ সালে চালু হওয়ার কথা। হয়তো পদ্মা সেতু উদ্বোধন করেই তিনি নির্বাচনের তারিখ দেবেন। এ ক্ষেত্রে বিএনপি কী করবে? দলটি নির্বাচনে যাবে। তারা নিশ্চিত হতে চায় নির্বাচনে কারচুপি হবে না এবং নির্বাচনটি সুষ্ঠু হবে। ইসির ব্যাপারে বিএনপির রিজার্ভেশন আছে। সিইসিকে বিএনপি প্রত্যাখ্যান করেছে। তারপরও কথা থেকে যায়। একটি গ্রহণযোগ্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার- যা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বেও গঠন করা সম্ভব- বিএনপির আস্থা অর্জন করতে পারে এবং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পারে। স্পষ্টতই ‘রাজনীতির বলটি’ এখন সরকারের নিয়ন্ত্রণে। বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রেখে কিংবা নিবন্ধন বাতিল করার কথা বলে আর যাই হোক একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আমরা উপহার দিতে পারব না। সুতরাং নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপি যখন আগ্রহ দেখিয়েছে, তখন বিএনপির এই ‘আগ্রহ’কে কাজে লাগিয়েই নির্বাচনী প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। এদিকে গত ৮ মে ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদোন বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়ে আগামী নির্বাচনে সবার অংশগ্রহণ কাম্য (যুগান্তর, ৯ মে)। এ ধরনের কথা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে এর আগেও উচ্চারিত হয়েছে। কিন্তু এই ‘শিক্ষা’ কি বড় দলগুলো নিয়েছে? আমার মনে হয় না। আমরা বারবার বলে আসছি, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে একটা আস্থার সম্পর্ক থাকা দরকার। ২০১৪ সালের পর আজ অব্দি সেই আস্থার সম্পর্ক গড়ে ওঠেনি। ফলে দিন যতই গড়াচ্ছে, ততই শঙ্কা বাড়ছে- যদি আস্থার সম্পর্ক তৈরি না হয়, তাহলে বিএনপি নির্বাচনে যাবে কিনা? ২০১৪ সালের জানুয়ারির আর ২০১৮ সালের শেষের কিংবা ২০১৯ সালের জানুয়ারির পরিস্থিতি নিশ্চয়ই এক নয়। এক হবেও না। বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে সরকারের পতন ঘটাতে চেয়েছিল। তারা তা পারেনি। এই ভুল এবার আর বিএনপি করবে না। তবে সেই সঙ্গে এটাও সত্য, বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে হলে সরকারকে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে তাদের আন্তরিকতাটাই হল আসল।
ড. তারেক শামসুর রেহমান : প্রফেসর ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
tsrahmanbd@yahoo.com

No comments

Powered by Blogger.