এমন উইকেটে আর কবে খেলেছে বাংলাদেশ

'কি মাঠ বাবা!!! দুই দলের জার্সিও সবুজ, মাঠও সবুজ, পিচও সবুজ। কিছুই বুঝতে পারছি না।' নয়া দিগন্তের ফেসবুক পেজে এম মেহরাজ ইসলাম নামে এক পাঠকের মন্তব্য এটি। শুক্রবার ডাবলিনে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ড ম্যাচের বিষয়ে এমন মন্তব্য করেন ওই পাঠক। ডাবলিনের মালাহাইডে শুক্রবার যে উইকেটে খেলা হয়েছে তাতে ছিলো প্রচুর ঘাস। এতই ঘাস ছিলো যে মাঠ থেকে উইকেট আলাদা করতে বেগ পেতে হয়েছে টিভির দর্শকদের। সাধারণত ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া বা ওয়েস্ট ইন্ডিজে পেস বান্ধব সবুজ উইকেটে খেলার ঐতিহ্য রয়েছে। কিছুদিন আগে নিউজিল্যান্ড সফরেও বেশিরভাগ ম্যাচে ছিলো সবুজ উইকেট। তবে আজকের ম্যাচের উইকেটে ঘাস যেন একটু বেশিই ছিলো। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যনারা এমন স্পোটিং উইকেটে খেলে অভ্যস্ত নন। আমাদের দেশে উইকেট তৈরি হয় স্পিনার ও ব্যাটসম্যানদের কথা বিবেচনা করে। শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো উপমহাদেশেই স্পোটিং উইকেটের সংখ্যা হাতে গোনা।
স্বাভাবিকভাবেই তাই এমন উইকেটে খেলতে গেলে বিপাকে পড়তে হয় এই অঞ্চলের ব্যাটসম্যানদের। প্রচুর বাউন্স ও সুইং পেয়ে থাকেন বোলাররা। হঠাৎ করেই লাফিয়ে ওঠে কোন কোন বল। মোট কথা ব্যাটসম্যানদের জন্য এই ধরনের উইকেটে আতঙ্ক হয়ে দেখা দেন পেসাররা। আজও যার ব্যতিক্রম হয়নি। প্রথম ৭০ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। পঞ্চম উইকেটে তামিম-মাহমুদ উল্লাহ জুটি সেই বিপর্যয় সামাল দিয়েছে। পুরো সিরিজ জুড়েই হয়তো এমন উইকেটে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। সামনের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও হয়তো পাওয়া যাবে এমন উইকেট। বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানরা তাই পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিয়ে কতটা সফল হবে তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন। তবে মাশরাফি-তাসকিন-রুবেল হোসেনরা যে এমন উইকেটে বল হাতে নিতে পেরে খুশি হবেন সেকথা বলাই যায়। প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দেয়ার এমন সুযোগ তো আর দিন দিন পাওয়া যায় না!

No comments

Powered by Blogger.