র‌্যাব পরিচয়ে বিএনপি নেতা অপহরণ, হাতকড়া পরা লাশ উদ্ধার

র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণের পর হাতকড়া পরা লাশ পাওয়া গেল বিএনপি নেতার। হত্যার পেছনের কারণ- পরিবার বলছে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, আর পুলিশ বলছে পারিবারিক বা ব্যবসার দ্বন্দ্ব।
নিহতের স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন তাকে র‌্যাব পরিচয়ে ধরে নেয়া হয়েছে। তাদের গায়ে ছিল কালো পোশাক, র‌্যাব শব্দটিও লেখা ছিল। গাড়িতেও লাগানো ছিল র‌্যাব লেখা স্টিকার। ভাইয়ের দাবি রাজনৈতিক কারণে তার ভাই ঢাকা মহানগর বিএনপির ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজুমদারকে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার নিখোঁজ চৌধুরী আলমের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত রফিকুল ইসলাম মজুমদার ছিলেন বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি, গার্মেন্ট ও ঝুট ব্যবসায়ী। গত ৫ই জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিনাইদহ জেলার শৈলকুপা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের শ্বশুরবাড়ি এলাকা থেকে অপহরণ করা হয়। কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে রাত ১১টায় হাতকড়া পরা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায় ঘটনাস্থল থেকে সাত কিলোমিটার দূরে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার আদাবাড়িয়া গ্রামের মাঠে। স্থানীয় লোকজনের খবরের ভিত্তিতে লাশ উদ্ধার করে কুমারখালী থানা পুলিশ। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, লাশ দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হয়েছে গলায় মাফলার পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। একই কথা বলেছেন কুমারখালী থানার ওসি আলী নেয়াজ। তিনি বলেন, লাশের হাতে হাতকড়া ছিল। গত  শুক্রবারই তিনি ঢাকা থেকে শ্বশুরবাড়ি ঝিনাইদহে বেড়াতে আসেন। পরদিন ৫ই জানুয়ারি সন্ধ্যা সাতটায় ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার তার শ্বশুর তোজাম্মেল হোসেন বুলু খন্দকারের আনন্দনগর গ্রামের বাড়ি থেকে র‌্যাব পরিচয়ের লোকেরা ধরে নিয়ে যায় তাকে। স্বামী খুন হওয়ার সংবাদ পেয়ে গতকাল স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন। ৫৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম মজুমদারের নিজের বাড়ি রাজধানীর শনির আখড়া এলাকার জিয়া শাহীন রোডে। তার আদি বাড়ি চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলায়। পিতার নাম মনিরুজ্জামান। চার সন্তানের জনক রফিকুল ইসলামের দ্বিতীয় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ছড়া।

নিহত রফিকুল ইসলাম মজুমদারের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, ১৯৯০ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় রফিকুল ইসলাম। সুদিনে দুর্দিনে আঁকড়ে আছেন দল। এক সময়ে ছিলেন নিখোঁজ বিএনপি নেতা চৌধুরী আলমের কাছের মানুষ। এ কারণে তিনি নিজ এলাকা শনির আখড়া ছেড়ে রাজনীতি শুরু করেন ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই ওয়ার্ডের কমিশনার ছিলেন চৌধুরী আলম। তার ব্যবসা-বাণিজ্যও ছিল ওই ওয়ার্ডের অধীন বঙ্গবাজারকেন্দ্রিক। রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে ওয়ান ইলেভেনের সময় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। অস্ত্র সহ গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তাকে। সে সময়ে কারাগারে ছিলেন ৯ মাস। চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে তার নামে গাড়ি পোড়ানোর একটি মামলা দেয়া হয় শাহবাগ থানায়। এক সপ্তাহ আগে ওই মামলায় জামিন পান তিনি। সমপ্রতি বিএনপির রাজনীতিতে বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে উঠেছিলেন রফিকুল ইসলাম মজুমদার। জাতীয় প্রেস ক্লাব তার ৫৬ নম্বর ওয়ার্ডে হওয়ার কারণে এখানকার মানববন্ধন সহ প্রতিটি প্রতিবাদী কর্মসূচিতে নিয়মিত অংশ নিতেন তিনি। ওই ওয়ার্ডের বিএনপির আহ্বায়ক জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, প্রেস ক্লাবের কর্মসূচিতে কেবল অংশ নেয়াই নয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কর্মসূচিগুলো সংগঠিত করতেন তিনি। রাজনীতিতে বেশি মাত্রায় সক্রিয় থাকায় বর্তমান সরকারের শুরু থেকেই বঙ্গবাজারে ব্যবসা করতে গিয়ে নানা ধরনের বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছিলেন তিনি- এমন তথ্য জানিয়েছেন রফিকুল ইসলামের ম্যানেজার রশিদুল আলম। মানবজমিনকে তিনি বলেন, নিহত রফিকুল ইসলাম বঙ্গবাজার দোকান মালিক সমিতির সহ-সভাপতি হলেও গত চার বছরে সরকারি দলের লোকেরা তাকে সমিতি অফিসে বসতে দেয়নি। সমিতি অফিসে গেলে তাকে অপমান করা হতো। সমিতি অফিস বাদে ওই বাজারে তার দোকানেও তিনি ঠিকমতো বসতে পারতেন না, তাকে সরকারি দলের লোকেরা হুমকি দিতো, পুলিশ-র‌্যাব এসে খুঁজতো। ম্যানেজার বলেন, দোকানে মালামাল আনার সময়ও অনাহূত র‌্যাব-পুলিশ এসে মাল আটকে দিতো, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে চেক করতো। মাঝে মধ্যেই গোয়েন্দা পরিচয়ে লোকজন এসে খুঁজতো তাকে। তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় ছিলেন নিহত রফিকুল ইসলাম, মেজো সফিকুল ইসলাম, সকলের ছোট মফিজুল ইসলাম। গতকাল সকাল এগারোটায় নিহত বিএনপি নেতার শনির আখড়ার বাসায় গিয়ে দেখা যায় তিন তলা বাড়িটি ঘিরে জনতার ঢল। বাড়ির দোতলার বৈঠকখানায় বসে ভাইয়ের স্মৃতি হাতড়িয়ে বিলাপ করছেন ছোট ভাই মফিজুল ইসলাম, চিৎকার করে বলছেন, রাজনৈতিক কারণেই আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে, সরকারই তাকে হত্যা করেছে। চৌধুরী আলমের মতোই তাকে হত্যা করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি দেলোয়ার রহমান ও ঝিনাইদহ প্রতিনিধি আমিনুল ইসলাম লিটন জানান, নিহত বিএনপি নেতা রফিকুলের শাশুড়ি লিপি খাতুন জানান, সাভারে নিজের ফ্যাক্টরি থেকে ব্যবসায়িক কাজ শেষ করে শুক্রবার রাতে শৈলকুপার আনন্দনগর গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে আসেন তিনি। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রফিকুল আত্মীয়দের সঙ্গে বসে গল্প করছিলেন। এ সময় একটি সাদা রঙের মাইক্রোবাসে ৬-৭ জন লোক এসে রফিকুলকে জোর করে সাদা রঙের মাইক্রোবাসে র‌্যাব পরিচয়ে তুলে নিয়ে যায়। প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র ও শরীরে র‌্যাবের মতো কালো পোশাক ছিলো। পোশাকে ‘র‌্যাব’ লেখা ছিল। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে লাথি মেরে ফেলে দিয়ে তাকে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসের সামনে ‘র‌্যাব’ লেখা স্টিকার ছিল। এব্যাপারে ঝিনাইদহ ও কুষ্টিয়া র‌্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা তাকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে গভীর রাতে তারা জানতে পারেন, হ্যান্ডকাফ পরা অবস্থায় রফিকুলের লাশ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার আদাবাড়িয়ার মাঠে পড়ে আছে। মধ্যরাতে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে কুমারখালী থানায় নিয়ে যায়।
স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ছড়া (২২) মানবজমিনকে জানান, রফিকুল ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপার আনন্দনগর গ্রামে তার শ্বশুরবাড়িতে বসে অন্যদের সঙ্গে গল্প করার সময় একটি সাদা রঙের মাইক্রোতে ৬-৭ জন কালো পোশাকধারী লোক  র‌্যাব-৬ পরিচয়ে তাকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর শনিবার রাত আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে জানতে পারেন তাকে কুমারখালী থানা এলাকায় মেরে ফেলা হয়েছে। তিনি বলেন, চৌধুরী আলম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই প্রশাসন ও প্রতিপক্ষদের নানামুখী হয়রানি ও ঝক্কি-ঝামেলায় দিন কাটতো তার। চৌধুরী আলমের ব্যাপারে বেশ কয়েকবার প্রশাসনের লোক ইন্টারোগেট করেছে তাকে। তাছাড়া, এলাকায় আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের একজন জনপ্রিয় প্রার্থী হিসেবেও রফিকুল ব্যাপক পরিচিতি পান। এ কারণে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে থাকতে পারেন বলে তিনি মনে করছেন। এখানে প্রশাসনের ছত্রচ্ছায়ায়ই এই ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করে তিনি বলেন, রফিকুলের সঙ্গে থাকা নয় লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ঘাতকরা তাকে হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন,  প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে অনেক আগেই রফিকুলের বিচ্ছেদ হয়েছে। সেই সংসারে তিন ছেলে ও এক মেয়ে আছে। রফিকুলের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলার চণ্ডীপুর গ্রামে। ঢাকার শনির আখড়ায় তার  তৈরী পোশাকের ব্যবসা আছে। স্ত্রী আয়েশা ও পাঁচ বছর বয়সী ছেলে জারিফ আল মাহিদকে নিয়ে কদমতলী থানার পলাশপুরের জিয়া সরণি সড়কের একটি বাড়িতে থাকতেন তিনি। কোন পারিবারিক বিরোধে এ হত্যাকাণ্ড হয়নি বলে দাবি করেন রফিকুলের স্ত্রী। তার অভিযোগের তীর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দিকে।
রফিকুল ইসলামের শ্যালিকার স্বামী আবু সাঈদ দাবি করেন, মাইক্রোবাসে করে আসা প্রত্যেকের হাতে অস্ত্র ও পরনে র‌্যাবের কালো পোশাক ছিল।  পোশাকে ‘র‌্যাব’ লেখা ছিল। মাইক্রোবাসের সামনেও ‘র‌্যাব’ লেখা স্টিকার ছিল।
বিএনপি নেতা রফিকুলের মামা  জাহাঙ্গীর আলম মানবজমিনকে জানান, রফিকুল একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং বিএনপির সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। চৌধুরী আলম নিখোঁজের পর সে-ই ৫৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির দায়িত্ব পালন করছিল। রাজনীতি করার কারণে তার বিরুদ্ধে মামলাও আছে।  রোববারের হরতালের কারণে অনেকটা গ্রেপ্তার এড়াতে ঢাকা থেকে ঝিনাইদহে এসেছিল। সঙ্গে কিছু টাকা-পয়সাও ছিল, কি কারণে এতগুলো টাকা গাড়িতে রেখেছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারণ রফিক যে ব্যবসা করে তাতে সব সময় হাতে ক্যাশ টাকা রাখতে হয়। তবে ঘটনা যা-ই ঘটুক ঠিক কি কারণে হত্যাকাণ্ড ঘটেছে তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা অথবা টাক-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। তিনি আরও জানান, ও (রফিকুল) চৌধুরী আলম নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ৫৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাউন্সিলর পদে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। কাউন্সিলর চৌধুরী আলমের কাছের লোক হিসেবে প্রায় তার সমান জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার লাশের ময়না তদন্তকারী ডা. তাপস কুমার সরকার মানবজমিনকে জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে, তবে লাশের মাথার পিছন দিকে একটা বড় ধরনের আঘাতজনিত ক্ষতচিহ্ন ছিল। লাশের দুই হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল।
সুরতহাল প্রস্তুতকারী বাঁশবাড়ীয়া ক্যাম্পের কর্মকর্তা কেএম জাফর আলী মানবজমিনকে জানান, শনিবার রাত সাড়ে দশটার দিকে পেট্রল ডিউটিতে থাকার সময় আমি খবর পাই। আনুমানিক রাত ১১টার দিকে লাশ উদ্ধার করি। তার গলায় শক্ত করে মাফলার প্যাঁচানো ছিল। এতে ধারণা করা যায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, লাশের হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল, এর গায়ে ‘পুলিশ’ শব্দটি খোদাই করা আছে। আর মৃতের মাথায় সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
কুষ্টিয়া কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী নেওয়াজ বলেন, মৃতের মাথায় সামান্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তার গলায় মাফলার প্যাঁচানো ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া, লাশের হ্যান্ডকাফের গায়ে ‘পুলিশ’ শব্দটি খোদাই করা আছে।
কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়নাল আবেদীন বলেন, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে রফিকুল প্রতিপক্ষ কোন ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের শিকার হয়ে থাকতে পারেন। পরিবারের দেয়া তথ্যমতে ঘটনাপ্রবাহ অনেকটা সেদিকেই যাবে বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া, হ্যান্ডক্যাফ লাগানোর বিষয়ে কোন সঠিক উত্তর এ মুহূর্তে তদন্ত ছাড়া দেয়া সম্ভব নয়।
বিএনপি নেতা রফিকুল হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার ক্যাপ্টেন মোসাদ্দেক ইবনে মজিদ জানান, ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটনে তদন্ত চলছে। এমুহূর্তে এখনও বলার মতো কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে তাদের কোন র‌্যাব সদস্যও এ ঘটনার সঙ্গে কোন ভাবেই সম্পৃক্ত নয়। সর্বশেষ তথ্য উদ্ঘাটন শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।
গতকাল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিহত বিএনপি নেতা রফিকুলের লাশ দেখতে যান কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিনসহ বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

No comments

Powered by Blogger.