দিল্লিতে গণধর্ষণ-তরুণীর রক্ত পাওয়া গেছে অভিযুক্তদের কাপড়ে

দিল্লিতে গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার পাঁচজনের ডিএনএ পরীক্ষায় ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। ফরেনসিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, তাদের কাপড়ে যে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে তা ওই তরুণীরই ছিল।
প্রমাণ নষ্ট করতে তারা ওই কাপড় পুড়িয়ে ফেলারও চেষ্টা চালায়। যদিও তাতে সফল হয়নি। দিল্লির জেলা আদালতে বিচারপূর্ব শুনানি থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আজ সোমবার আদালতে হাজির করা হবে।
দিল্লির মহানগর হাকিম আদালতে গত শনিবার সরকারি কেঁৗসুলি রাজিব মোহন জানান, সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় দেখা গেছে, আটক ব্যক্তিদের পোশাকে যে রক্তের দাগ পাওয়া গেছে তা ওই তরুণীর। বিচারক নম্রিতা আগারওয়াল ১০ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন। আটক পাঁচজনের বয়স ১৯ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাদের মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে। ষষ্ঠজনের বয়স আঠারোর কম হওয়ায় তাকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে রাখা হয়েছে। পরীক্ষায় নাবালক প্রমাণিত হলে তার বিচার হবে কিশোর আদালতে।
'বিরলতম ধর্ষণের ঘটনায়' মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে কংগ্রেস : ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টি 'বিরলতম ধর্ষণের ঘটনায়' ধর্ষণকারীর মৃত্যুদণ্ডের পক্ষে। তবে রাসায়নিক প্রয়োগে খোজা করে দেওয়ার ব্যাপারে অমত রয়েছে দলটির। ধর্ষণরোধে ফৌজদারি আইন সংশোধন করে কঠোর করার পথ খুঁজতে গঠিত জেএস বার্মা কমিটিকে এসব কথা জানিয়েছে কংগ্রেস। একই সঙ্গে তারা সাধারণ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তের যাবজ্জীবন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের যেকোনো থানায় অভিযোগ করার সুযোগ দেওয়ারও দাবি জানায়। গত শুক্রবার দলের কোর কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
অভিযোগ না নিলে বরখাস্ত : কোনো পুলিশকর্মী অভিযোগ নিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে তাৎক্ষণিকভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হবে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব আরকে সিং গতকাল এ কথা জানান। তিনি বলেন, আইনে এভাবেই বলা হয়েছে। অভিযোগ না নেওয়া আইন ভাঙার শামিল।
'বিহারিরা দায়ী' : মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনাপ্রধান রাজ ঠাকরে বলেছেন, 'বিহারি' অভিবাসীরাই দিল্লির গণধর্ষণের ঘটনার জন্য দায়ী। সবাই ঘটনা নিয়ে কথা বলছে। তবে ধর্ষণকারীরা কোথা থেকে এসেছে সে প্রশ্ন কেউ করছে না। পুরো ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে।'
'পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবেই ধর্ষণ বাড়ছে' :
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সভাপতি আশোক সিংঘাল গত শনিবার বলেন, পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবের কারণেই নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিকে 'আশঙ্কাজনক' অভিহিত করে তিনি বলেন, 'সমস্ত মূল্যবোধ হারিয়ে ফেলেছি আমরা।' সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস, বিবিসি, গার্ডিয়ান।

No comments

Powered by Blogger.