হরতালে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর-আগুন

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা গতকালের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের সময় রাজধানীতে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, ককটেল বিস্ফোরণ, পিকেটারদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া এবং পুলিশের টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
বিভিন্ন স্থানে হরতালকারীদের মিছিল পুলিশের ধাওয়ায় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে চারটি শক্তিশালী ককটেল বিস্ফোরিত হয়। পুলিশ এ ঘটনায় চারজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করে।
তবে হরতালে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। নারায়ণগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রংপুরে জামায়াত-শিবির ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দিনাজপুরে সংঘর্ষ হয়েছে হরতালকারী ও সরকার সমর্থক ছাত্রলীগের। পুলিশের গাড়িসহ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর হয়েছে। এসব ঘটনায় রংপুর, বরিশালসহ বিভিন্ন স্থানে ৩৬ জন আহত হয়েছে। খুলনা, রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে আটক করা হয়েছে ৬৩ জনকে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম হরতাল শেষে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ঢাকাসহ সারা দেশে তিন শতাধিক দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও সাড়ে তিন শতাধিক নেতা-কর্মীকে মারধর করে আহত করেছে পুলিশ। তবে ঢাকা মহানগর পুলিশ বলেছে, গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায় ১৭ জনকে আটক করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাবার বুলেট, গ্যাস-গ্রেনেড, শটগানের গুলি ও টিয়ার শেল ব্যবহার করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, নাশকতা ঠেকাতে রাজধানীতে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব ও গোয়েন্দা সদস্যরা তৎপর ছিলেন। বিভিন্ন এলাকায় চেকপোস্ট বাড়ানো হয়। এ সত্ত্বেও বিভিন্ন এলাকায় বিচ্ছিন্নভাবে গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুর করা হয়েছে। ককটেল বিস্ফোরণও ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
রাজধানীর মিরপুরে সকালে দুটি বাস, শাঁখারীবাজারে একটি গাড়ি ও বাবুবাজারে একটি মাইক্রোবাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। তেজগাঁও, পান্থপথ ও বাড্ডায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হরতালকারীরা। বিভিন্ন স্থানে অলিগলিতে হরতালের সমর্থনে বিক্ষিপ্ত মিছিল হয়। মিছিলের সময় পুরান ঢাকা, খিলগাঁও, ফার্মগেট, বনানী ও মিরপুর এলাকা থেকে অন্তত ১০ জনকে আটক করে পুলিশ।
গতকাল যাত্রীবাহী বাসের সংখ্যা কম থাকলেও নগরী ছিল রিকশা ও অটোরিকশায় ভরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে যানবাহনের সংখ্যাও বাড়ে। গাবতলী, মহাখালী ও সায়েদাবাদ থেকে দূরপাল্লার বাস ছাড়েনি। কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে প্রতিদিনের মতো মতিঝিলে ব্যাংকগুলোতে স্বাভাবিক কাজকর্ম হয়েছে। তবে গ্রাহকের উপস্থিতি অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম ছিল। দুপুরের আগে কিছু ব্যাংক প্রধান ফটক আংশিক খোলা রেখে গ্রাহকদের লেনদেনের ব্যবস্থা করে দেয়। সচিবালয়েও কাজকর্ম স্বাভাবিক ছিল। কমলাপুর থেকে ট্রেন ও সদরঘাট থেকে লঞ্চ প্রতিদিনের মতো ছেড়ে গেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
সকাল ৮টার দিকে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানার নেতৃত্বে সংগঠনটির মিছিল বের হয়ে খিলগাঁও বিশ্বরোডের দিকে যেতে থাকলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সকাল ১০টার দিকে খিলগাঁও গোড়ান টেম্পোস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির একটি মিছিল বের হলে পুলিশ ধাওয়া দেয় এবং চারজনকে আটক করে। আটককৃতরা হলেন খিলগাঁও থানা বিএনপির সভাপতি ইউনুস আলী মৃধা, বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম, কিসমত ও দেলোয়ার। এর আগে সকাল পৌনে ৮টার দিকে খিলগাঁও তিলপাপাড়া মসজিদের সামনে একটি প্রাইভেট কারে ভাঙচুর চালায় পিকেটাররা। বাসাবো এলাকায় সকাল ৮টার দিকে এবং মধ্য বাড্ডা এলাকায় সকাল সাড়ে ৭টায় জামায়াত-শিবিরের মিছিল বের হলে পুলিশ তা ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পিকেটাররা এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। তারা একটি সিএনজি অটোরিকশায় আগুন দিলে স্থানীয় জনতা তা নিভিয়ে ফেলে।
হরতালে অনেকটা নিরুত্তাপ ছিল যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ এলাকা। কুতুবখালী এলাকায় রাস্তায় টায়ার পুড়িয়ে পিকেটাররা বিক্ষোভ করে। যাত্রীবাহী একটি বাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। দুপুরের পর যাত্রাবাড়ী এলাকায় হরতালের সমর্থনে মিছিল করে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মিছিল থেকে পিকেটাররা বাসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের চেষ্টা করে। পুলিশের বাধায় সে চেষ্টা পণ্ড হয়ে যায়।
সকাল সোয়া ৮টায় ধোলাইখাল মোড়ে সূত্রাপুর থানা যুবদলের একটি মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। সকাল সাড়ে ৯টায় জজকোর্টের পেছনে শাঁখারীবাজার মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় শাঁখারীবাজার মোড়ে একটি প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় হরতাল সমর্থকরা। এ সময় কোতোয়ালি থানা পুলিশ কোনো পিকেটারকে আটক করতে না পারলেও গাড়ির মালিক ইকবাল হাসান ও গাড়ির চালক মো. রফিককে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। গাড়ির মালিক ইকবাল হাসান সাংবাদিকদের বলেন, 'এক আত্মীয়ের একটি মামলার সাক্ষ্য দিতে সাভারের আমিনবাজার এলাকা থেকে জজকোর্টে এসেছিলাম। পুলিশ পিকেটারদের না আটক করে উল্টো আমাকে ও আমার গাড়ির চালককে আটক করেছে।'
এরপর পুলিশ শাঁখারীবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে পিকেটার সন্দেহে আক্কাস আলী ও মোজাম্মেল হক নামের আরো দুজনকে আটক করে। সকাল সোয়া ১১টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি শরিফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে হরতালবিরোধী মিছিল বের হয়। ওই মিছিলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত সঞ্জীব বসাক ও হিরম্বর বাবু অংশ নেয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন জায়গায় চারটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে জুলহাস উদ্দিন (২১) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। তাঁর বিস্তারিত পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে দুটি তাজা ককটেল উদ্ধার করে পুলিশ। সকালের দিকে ক্যাম্পাসে ককটেল বিস্ফোরণের প্রতিবাদে ছাত্রলীগ মিছিল করে। কেন্দ্রীয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা গেছে, কলা ভবন ও কার্জন হলে ক্লাস না হলেও দু-একটি বিভাগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, লেদার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, পালি ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং ইসলামের ইতিহাস বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দুপুর সোয়া ১টার দিকে পুরান ঢাকার জজকোর্টের সামনের জনসন রোডে বিএনপিদলীয় আইনজীবীদের মিছিলে যুবলীগ ও পুলিশের একযোগে হামলার ঘটনা ঘটে। সকাল ১০টা থেকেই বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা আদালত অঙ্গনের ভেতরে দফায় দফায় মিছিল করেন। দুপুর ১টার দিকে অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, খোরশেদ আলম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মোহসীন মিয়া, ওমর ফরুক ফারুকীর নেতৃত্বে একটি মিছিল জজকোর্ট থেকে জনসন রোডে বের হতে চাইলে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে। এ সময় যুবলীগের একটি মিছিলও পুলিশের সঙ্গে যুক্ত হয়ে আইনজীবীদের মিছিলে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। ঢাকার ৭৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শাহাবউদ্দিন সাবুর নেতৃত্বাধীন ওই মিছিলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ কিছু না বললেও আইনজীবীদের লাঠিপেটা করে। ১৪ রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় আইনজীবী এইচ এম মাসুদের মাথা ফেটে যায়, রাবার বুলেটে আহত হন রাশেদুল হাসান সুমন।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ : দুপুর সোয়া ২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় পরপর চারটি ককটেল বিস্ফোরিত হয়। যেখানে সাধারণত পুলিশ ও সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে থাকেন; সেই স্থান লক্ষ্য করেই এই ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপির নেতাদের হত্যার হীন উদ্দেশ্যেই এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। তবে পুলিশের মতিঝিল বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মেহেদী হাসান জানান, মোটরসাইকেল আরোহী কয়েক যুবক ওই বিস্ফোরণ ঘটায়। হরতালের সময় সিনিয়র কিছু নেতা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে থাকলে তাঁদের পক্ষে হরতালের সমর্থনে কোনো মিছিল বের করা সম্ভব হয়নি। দলীয় কার্যালয়ের প্রবেশপথে তাঁদের দিনের বিভিন্ন সময়ে চেয়ার নিয়ে বসে থাকতে হয়েছে। সকালে কার্যালয়ের সামনে থেকে পুলিশ এক কর্মীকে আটক করে বলে বিএনপি নেতারা জানান।
সকাল সোয়া ১০টায় বিএনপি নেতা তরিকুল ইসলাম রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিএনপির সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, সরকারের এজেন্টরাই গাড়ি পুড়িয়ে বিরোধী দলের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। তিনি বলেন, 'আমরা গরিবদের মারতে চাই না, তাই রিকশা চলতে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। আমাদের হরতাল জনমানুষের স্বার্থে।' তরিকুল ইসলামের বক্তব্য শেষ হওয়ার একটু পরই কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একজনকে আটক করে পুলিশ। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে নয়াপল্টনে আসেন বিএনপির সংরক্ষিত আসনের মহিলা সংসদ সদস্য আসিফা আশরাফী পাপিয়া, রেহেনা আক্তার রানু, রাশেদা বেগম হীরা, নিলুফার চৌধুরী মনি ও শাম্মী আক্তার। নিরুত্তাপ নয়াপল্টনে তাঁরা হঠাৎ মিছিল বের করে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। কিছুক্ষণ পর তাঁরা কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মূল ফটকের সামনে রাখা চেয়ারে গিয়ে বসেন।
হরতালের আগের দিন শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে হরতাল সমর্থকরা ছয়টি বাসে অগ্নিসংযোগ করে।
আমাদের রংপুর অফিস জানায়, রংপুরে বিএনপি-যুবদল-ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। অটোরিকশা ভাঙচুরের সময় আটক এক যুবদলকর্মীকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার সময় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। হরতাল সমর্থকরা দুপুরে মহানগরের গ্র্যান্ড হোটেলের কাছে বিএনপি অফিসের সামনে অন্তত ১০টি অটোরিকশা ভাঙচুর করে।
খুলনা অফিস জানায়, খুলনায় পুলিশের সঙ্গে পিকেটারদের কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ বিভিন্ন স্থান থেকে নগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফকরুল আলমসহ ১৯ জনকে আটক করেছে। এ ছাড়া হরতাল সমর্থকরা একটি পণ্যবাহী ট্রাক ও বাস ভাঙচুর করেছে।
বরিশাল অফিস জানায়, হরতালের সমর্থনে বিএনপি নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে লাঠিপেটা করে পুলিশ। এতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক পারভেজ আকন বিপ্লবসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
রাজশাহী অফিস জানায়, সকালে নগরীর উপশহর মোড়ে একটি মোটরসাইকেল জ্বালিয়ে দিয়েছে পিকেটাররা। নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, হরতাল চলাকালে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।
সিলেট অফিস জানায়, নগরীর প্রধান সড়কগুলোতে বিচ্ছিন্নভাবে হরতাল সমর্থকদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে। 'প্রেস' লেখা মোটরসাইকেল নিয়ে পিকেটিংয়ের সময় সাংবাদিকরা এক যুবককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন।
সীতাকুণ্ডে তাড়া খেয়ে বাস দুর্ঘটনা : সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড উপজেলার ফকিরহাট এলাকায় হরতালকারীরা গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করে। এ সময় চাঁদপুর থেকে আসা এশিয়া লাইন কম্পানির একটি বাস গাছের গুঁড়ির সামনে পড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারালে রাস্তার পাশের একটি মাজারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে বাসটি উল্টে সাত যাত্রী আহত হন বলে আমাদের চট্টগ্রাম ও সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান। চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) ফরিদ উদ্দিন বলেন, আহত ব্যক্তিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে পুলিশ। এ ছাড়া নগরীতে বিএনপি ও জামায়াত হরতালের সমর্থনে খণ্ড খণ্ড মিছিল করে। বিএনপির দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনের সামনে হরতাল সমর্থকরা একটি অটোরিকশায় ঢিল ছোড়ে।

No comments

Powered by Blogger.