আসামে ধর্ষণ করতে ধরা পড়লেন বিধায়ক, নারীদের ঝাঁটা-জুতা পেটা

এবার ধর্ষণ করতে গিয়ে গ্রামের নারীদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়লেন ভারতের আসামের কংগ্রেস বিধায়ক বিক্রম সিংহ ব্রহ্ম। এ সময় গ্রামের নারীরাই তাকে ঝাঁটা-জুতা পেটাসহ মারধর করে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বৃহস্পতিবার রাতে রাতে  আসামের নামনি চিরাং জেলায় এ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি  ঘটে।
এদিকে, এ ঘটনায় কংগ্রেস বিধায়কের এ আচরণে অস্বস্তিতে পড়েছে প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

তবে দলের মুখ রক্ষা করতে ঘটনার পরপরই ব্রহ্মকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের সামনে এ ঘটনা কংগ্রেসের জন্য ভয়াবহ সঙ্কট তৈরী করেব বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, অরণ্যঘেঁষা চিরাঙের প্রত্যন্ত শালমারা গ্রামের গ্রাম পরিষদ উন্নয়ন কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান লখেন বসুমাতারির বাড়িতে দেহরক্ষী-সহ আতিথ্য নিয়েছিলেন ব্রহ্ম।

এ বিষয়ে লখেন  পুলিশকে জানিয়েছেন, রাত দ‍ুইটার দিকে স্ত্রীর চিৎকারে ঘুম ভেঙে উঠে দেখতে পান বিক্রম সিংহ তার স্ত্রীর উপরে চড়াও হয়েছেন।

তিনি আরও জানান, নেতাকে ওই উম্মক্ত অবস্থায়  দেখে তিনি চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। এ সময় বিক্রম সিংহ পালাবার চেষ্টা করলেও তাঁকে গ্রামবাসীরা ধরে ফেলেন।

তাকে পাকরাও করে রাতভর বেঁধে রাখার পরে সকালে সংবাদ মাধ্যমকে খবর দিয়ে  গ্রামের নারীরা ঝাঁটা-লাঠি নিয়ে কংগ্রেস নেতাকে মারধর করতে থাকেন।

পরে বেলা ১২টা নাগাদ বিক্রম সিংহকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

লখেনবাবু জানান, সরকারি প্রকল্প দেওয়ার লোভ দেখিয়ে গত তিন মাস ধরে ব্রহ্ম তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।

তিনি অভিযোগ করেন, তার পরিবারের কাছ থেকে ৪ লক্ষ টাকাও নিয়েছেন ব্রহ্ম।

ঘটনার বিষয়ে ওই  গ্রামের প্রধান বিশ্বনাথ নার্জারি বলেন, এমন প্রবীণ নেতা গ্রামের মহিলার সম্মানহানি করবেন, এটা ভাবাই যায় না। এদের কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত।

অপরদিকে ঘটনা থেকে দলকে বাচাতে আসাম কংগ্রেসের সহ-সভাপতি ওয়াই এল কর্ণ বলেন, দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ব্রহ্মকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

কংগ্রেসের মুখপাত্র রশিদ অলভি বলেছেন, ওই লোকটি আদৌ প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য কি না খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।

গ্রামের নারীদের হাতে ঝাটাপেটা খাওয়া প্রসঙ্গে এক কংগ্রেস নেতা কৌতূক করে বলেন, এটাই সত্যিকারে ফাস্ট ট্র্যাক ছিল!

No comments

Powered by Blogger.