প্রতি থানায় ৯ নারী পুলিশ

যৌন হয়রানি বা সহিংসতার শিকার নারীদের মানসিক সহায়তা দিতে হেল্পলাইনে নতুন ব্যবস্থা চালু করছে ভারত সরকার। এতে এমন ১৫ জন নারী নিয়োগ দেওয়া হবে, যাঁরা আগে কোনো না কোনোভাবে তেমন ঘটনার শিকার হয়েছেন।
এ ছাড়া দিল্লির প্রতিটি থানায় কমপক্ষে ৯ জন নারী পুলিশ নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীল কুমার সিন্দে।
ভারতের নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে হেল্পলাইনটি বসানো হয়েছে। হয়রানি বা সহিংসতার শিকার নারীরা এতে ফোন করে এমন নারীদের পাবে, যাঁদের জীবনে এমন ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে কর্মরত ব্যক্তিরা ভুক্তভোগী নারীদের সঙ্গে ফোনে যথাযথ আচরণ করতে পারছেন না_এমন উপলব্ধির পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। উচ্চপদস্থ এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, নবনির্বাচিত ১৫ জন নারী হেল্পলাইনে সাহায্যপ্রার্থীদের সমস্যা আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন এবং সহানুভূতির সঙ্গে সমস্যাগুলো নিয়ে কথা বলতে পারবেন। এ লক্ষ্যে তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে ওই কর্মকর্তা জানান। তিনি বলেন, কাউন্সেলিং দক্ষতা, যৌন হয়রানি ও সহিংসতাবিষয়ক আইনের জ্ঞান এবং পারস্পরিক যোগাযোগ দক্ষতা বাড়াতে ওই নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার থেকে প্রশিক্ষণ শুরুও হয়েছে।
এদিকে দিল্লির প্রতিটি থানায় দুজন উপপরিদর্শক ও সাতজন কনস্টেবলসহ কমপক্ষে ৯ জন নারী পুলিশ নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বর্তমানে দিল্লির ৭৫ হাজার পুলিশ সদস্যের মধ্যে নারীর সংখ্যা ছয় হাজার ৭৫০ জন। তাঁদের মধ্যে দুই থেকে আড়াই হাজার নারী পুলিশ মাঠ পর্যায়ে কাজ করেন। বাকিরা ডেস্কে কাজ করেন। কোনো কোনো থানায় নারী কর্মকর্তা না থাকায় নারীদের গ্রেপ্তার বা সহায়তার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনী সমস্যায় পড়ে বলে জানান এক পুলিশ কর্মকর্তা। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস।

No comments

Powered by Blogger.