বয়স নিয়ে বিপত্তি বিচারে জটিলতা

দিল্লিতে বাসে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার অভিযুক্ত ষষ্ঠ ব্যক্তির বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে। সে নিজেকে অপ্রাপ্তবয়স্ক দাবি করায় এ জটিলতা দেখা দিয়েছে। এখন হাড়ের গঠন পরীক্ষা মাধ্যমেই তার প্রকৃত বয়স নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তার পর তার বিচারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
বর্তমান কিশোর বিচার আইন (জেজেএ) অনুযায়ী, অভিযুক্ত ওই কিশোর কয়েক মাসের মধ্যে ছাড়া পেতে পারে। অথবা দোষী প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ সাজা হিসেবে তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাকে থাকতে হবে কিশোর সংশোধন কেন্দ্রে। তবে প্রাপ্তবয়স্ক প্রমাণিত হলে তাকে বাকি পাঁচজনের সঙ্গেই বিচার করা হবে। এ অবস্থায় কিশোরের ভাগ্য নির্ধারণ এবং তার প্রকৃত বয়স জানতে হাড়ের গঠন পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। এ পরীক্ষার অনুমতি চেয়ে পুলিশ গত বৃহস্পতিবার কিশোর বিচার বোর্ডের (জেজেবি) কাছে আবেদন করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ পরীক্ষা করতে এক দিন লাগবে। তবে বেশ কিছু সূত্র জানিয়েছে, কয়েক মাসের মধ্যেই ওই কিশোর ১৮ বছরে পা দেবে।
গণধর্ষণে জড়িত আটক ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত ষষ্ঠজনের বয়স স্কুলের সনদ অনুযায়ী এখনো ১৮ বছর হয়নি। এ জন্য তার নাম অভিযোগপত্রে রাখা হয়নি। দোষী প্রমাণিত হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানিয়েছে তার বাবা ও ভাই। ওই কিশোরের বাবা জানান, 'দোষী হলে ছয়জনেরই বিশেষ করে তাঁর ছেলের ফাঁসি হওয়া উচিত। এ কাজ করতে যদি আইনও পরিবর্তন করতে হয় তবে তা-ই করতে হবে।'
'ধর্ষণ ভারতে নয়, ইন্ডিয়াতে হয়': নারীর বিরুদ্ধে নির্যাতন বন্ধে যখন পুরো ভারত সোচ্চার। ঠিত তখনই এক বিতর্কিত মন্তব্য করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভগবত। আসামে দলীয় সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, 'ধর্ষণের মতো এমন অপরাধ ভারতে খুব কমই ঘটে। তবে এসব ঘটনা 'ইন্ডিয়া'তে অহরহই ঘটে। আপনি গ্রাম অথবা বনাঞ্চলে গিয়ে দেখতে পারেন ধর্ষণ কিংবা যৌন হয়রানির কোনো ঘটনা ঘটে না। পশ্চিমা সংস্কৃতি রপ্ত করা শহরাঞ্চলেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে।' সূত্র : পিটিআই, জিনিউজ।

No comments

Powered by Blogger.