রাজশাহীতে ছাত্রদল ও যুবদলের ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দুটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ এনামুল হকের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ব্যঙ্গ এবং গালিগালাজের অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারার ছাত্রদল ও যুবদল ১১ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়েছে। বাগমারা থানা পুলিশ আদালতে মামলা দুটি দায়ের করে। রাষ্ট্রপতির দফতরের অনুমতি সাপেক্ষে মঙ্গলবার মামলা দায়ের করা হয়।
বাগমারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইসমাইল হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘নব্য স্বৈরাচারিণী’ হিসেবে উল্লেখ করে উপজেলার ভবানীগঞ্জ বাজার এলাকায় গত বছরের আগস্টে পোস্টারিং করা হয়। ভবানীগঞ্জ পৌরসভা ছাত্রদলের সভাপতি আতিকুর রহমানের মুক্তির দাবিতে সংগঠনের পক্ষে ওই পোস্টারগুলো সাঁটানো হয়। এর প্রেক্ষিতে গত বছরের ৩০ আগস্ট ভবানীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নাদিরুজ্জামান বাগমারা থানায় রাষ্ট্রদোহের অভিযোগে স্থানীয় ছাত্রদলের ১১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ অভিযোগটি সাধারণ ডায়েরি হিসেবে গ্রহণ করে মামলা করার অনুমতি চেয়ে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির দফতরে আবেদন করে। এ সংক্রান্ত নির্দেশ পাওয়ার পর গত মঙ্গলবার থানার ওসি বাদী হয়ে আট জনের বিরুদ্ধে রাজশাহীর আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হলেন উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহীন রেজা, সাবেক সহসভাপতি জিল্লুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মকলেছুর রহমান মুকুল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদত হোসেন, ভবানীগঞ্জ পৌর সম্পাদক মামুনুর রশিদ, ছাত্রনেতা আরিফ হোসেন, যুবদল নেতা সাইফুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান।
অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সাংসদ এনামুল হককে অকথ্য ভাষায় ব্যঙ্গ করার অভিযোগে কর্ণিপাড়া গ্রামের যুবদল নেতা আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে আরেকটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর উপজেলার শিবজাইট বাজারে এক দোকানে টেলিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ প্রচারকালে তাঁকে উদ্দেশ করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন আমজাদ হোসেন। এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্যকেও গালিগালাজ করেন। এ নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক কর্মীর সঙ্গে বাগ্্বিত-া হয়। ওইদিন আয়ূব আলী নামের স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা থানায় অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করার জন্য অনুমতি চাওয়া হয়। অনুমতি পাওয়ার পর গত বৃহস্পতিবার আদালতে মামলা করা হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে ব্যবস্থা নেবে। এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম জানান, রাজনৈতিকভাবে তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

No comments

Powered by Blogger.