জুডো-কারাতের দিকে ঝুঁকছেন দিল্লির নারীরা

দিল্লিতে মেডিকেল ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকে দিল্লির নারীরা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে আগের চেয়ে অনেক বেশি আতঙ্কিত। এই আতঙ্ক থেকেই আত্মরক্ষার কৌশল হিসেবে জুডো-কারাতের দিকে ঝুঁকছেন তাঁরা।
দীর্ঘদিন থেকে ‘ভারতের ধর্ষণের রাজধানী’ বলে পরিচিত নয়াদিল্লিতে নারীরা রাতে বের হলে বিশেষ নিরাপত্তার প্রয়োজন হয়। শুধু নয়াদিল্লি নয়, সারা দেশের পরিসংখ্যানও উদ্বেগজনক। দিল্লিতে ইনভিকটাস সারভাইভ্যাল সায়েন্সেস প্রশিক্ষণকেন্দ্রের প্রশিক্ষক অঞ্জু শর্মা। আত্মরক্ষার কৌশল শেখান তিনি। অঞ্জু বলেন, নিজের নিরাপত্তার জন্য আত্মরক্ষার কৌশল শেখা এখন খুব জরুরি। গণধর্ষণের ঘটনার পর অনেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। এই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে আত্মরক্ষার কৌশল শিখছেন ২৩ বছর বয়সী ছাত্রী স্মৃতি। তিনি জানান, নিজের নিরাপত্তার জন্য এই প্রশিক্ষণকেন্দ্রে আসা শুরু করেছেন। স্মৃতির দেখাদেখি তাঁর বন্ধুরাও এতে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন।
কীভাবে আক্রমণকারীর হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়, কীভাবে এক লাথি বা ঘুষিতে আক্রমণকারীকে দুর্বল করা যায়—এখানে তা-ই শিখছেন স্মৃতি। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, নারীদের সব সময় এটা মনে করা উচিত যে নিজের নিরাপত্তা নিজেকেই নিশ্চিত করতে হবে। দিল্লির ওই ঘটনার পর নারীরা বেশি বেশি করে এটি মনে করছেন।
বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, দিল্লির ওই ঘটনার পর থেকে অনেক নারীই নিজের নামে অস্ত্রের নিবন্ধন নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করছেন। নয়াদিল্লির দোকানিরা জানাচ্ছেন, মরিচের গুঁড়ার স্প্রে বিক্রির সংখ্যা বেড়ে গেছে। দিল্লিভিত্তিক গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর সোশ্যাল রিসার্চের কর্মকর্তা রঞ্জনা কুমারি বলেন, ‘আমাদের এমন একটি সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে, যাতে আমরা সবাই নিরাপদ থাকব। দুঃখজনক হলো, এই মুহূর্তে সেটা নেই।’ এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.