মোরেলগঞ্জে মা-মেয়ে ধর্ষিত সাভারে কলেজছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে বান্ধবীসহ গ্রেফতার ৪

 সাভারে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিওচিত্র ধারণের ঘটনায় বান্ধবীসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে সাভার মডেল থানায় মামলা দায়েরের পর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলো- মানিকগঞ্জ জেলার সিংগাইর উপজেলার আজিমপুর গ্রামের সুজন (২৫), কাংসা গ্রামের সূচী ওরফে লিজা (১৮), রায়হান (২২) ও মহিউদ্দিন (২৪)। এদের মধ্যে রায়হান রাজধানীর শান্তা মরিয়ম ইউনিভার্সিটির অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, মহিউদ্দিন সাভার বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, সূচী ওরফে লিজা এবং সুজন সিংগাইর ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীতে পড়াশোনা করে বলে জানা গেছে।
কলেজছাত্রীকে জোরপূর্বক আটকে রেখে ধর্ষণ ও তার ভিডিওচিত্র ধারণ করে তা প্রকাশের হুমকির ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা ফাতেমা খানম বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার সাভার মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩)-এর ৯ (১)/৩০ ধারায় মামলা (নং-৭) দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার পুলিশ সাভার ও মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে শুক্রবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠায়।
সাভার মডেল থানা পুলিশ জানায়, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করে রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে ধর্ষণের সময় ডিজিটাল ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওচিত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ২৫ নবেম্বর ধর্ষণের শিকার সিংগাইর ডিগ্রী কলেজের একাদশ শ্রেণীর প্রথম বর্ষের ওই ছাত্রী সূচী ওরফে লিজা ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী তার বান্ধবীকে (১৮) পরীক্ষার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে আসে। পথে এসে লিজা তার ফুফুর অসুস্থতার কথা বলে তাকে দেখার জন্য তার বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে সাভারের ব্যাংক কলোনি ছাপড়া মসজিদের উত্তর পাশের এম.এ. মান্নান ভিলার পঞ্চম তলার নিচতলায় ব্যাচেলর ম্যাচে নিয়ে আসে। এরপর লিজা তাকে ওই ম্যাচের একটি রুমের মধ্যে ধাক্কা মেরে ঢুকিয়ে দিয়ে ‘আসছি’ বলে চলে যায়। এ সময় উক্ত রুমের মধ্যে ৫-৬ যুবককে দেখতে পেয়ে সে চিৎকার দিলে শাহীন নামের একজন তার মুখ চেপে ধরে মারধর করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা রুমের মধ্যে উচ্চ শব্দে কম্পিউটারে গান বাজিয়ে তাকে ধর্ষণ করে এবং ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে রাখে। এরপর জাহেদ ওরফে রাজু, শামীম ও শাহীন নামের তিন যুবক ঘটনাটি কাউকে জানালে ডিজিটাল ক্যামেরায় ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তাকে বাসে তুলে দেয়।
বিষয়টি কলেজছাত্রী তার পরিবারকে জানালে ধর্ষণকারীরা ভিডিওচিত্রটি আবারও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে হুমকি দিতে থাকে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। ফলে বৃহস্পতিবার ধর্ষণের শিকার ওই কলেজছাত্রীর মা ফাতেমা খানম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে।
মোরেলগঞ্জে মা-মেয়েকে ধর্ষণ ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা বাগেরহাট থেকে জানান, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে চিংড়িখালী গ্রামে বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের পরিচয়ে ডাকাতি ও মা-মেয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাত ২টায় দিকে ৫-৬ জন লোক মোরেলগঞ্জে চিংড়িখালী গ্রামে আকতার হাওলাদারের বাড়িতে গিয়ে পুলিশ পরিচয় দেয় এবং দরজা খুলতে বলে। দরজা খোলামাত্র সশস্ত্র ডাকাত দল ঘরের মালিক আকতার হাওলাদারকে মারপিট করে পাশের বাগানে নিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে। এরপর ঘরে থাকা নগদ টাকা ও অন্য মালামাল হাতিয়ে নিয়ে মা ও ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া শিশু মেয়েকে ধর্ষণ করে চলে যায় ডাকাত দল। এ বিষয় মোরেলগঞ্জ থানার ওসি আসলাম উদ্দিন জানান, একজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত চারজনের নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.