সামান্য টাকায় বিপন্ন মানুষ-আইএমএফের শর্ত মানতে তেলের মূল্যবৃদ্ধি, ভুল সিদ্ধান্ত! by আরিফুজ্জামান তুহিন ও রাজীব আহমেদ

দেশীয় উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য রপ্তানি আর প্রবাসী শ্রমিকদের পাঠানো রেমিট্যান্স- দুইয়ে মিলে বছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয় প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলার। এক দিনে তা দাঁড়ায় ১১ কোটি ডলারের কাছাকাছি।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এক কিস্তিতে বাংলাদেশকে যে ঋণ দেবে, এর পরিমাণ ১৪ কোটি ডলার। সরকার এই 'সামান্য' ঋণ নিতে পঞ্চম দফায় জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। আর এর জন্য দেশের ১৫ কোটি মানুষের কাঁধে চাপছে দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির এক বিশাল বোঝা। যদিও এই মুহূর্তে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলারের রেকর্ড রিজার্ভ নিয়ে বৈদেশিক লেনদেনের ভারসাম্যে বেশ স্বস্তিকর অবস্থায় আছে বাংলাদেশ।
তেলের দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের লোকসান বেড়ে যাচ্ছে, তা কমাতেই তেলের দাম বাড়ানো হয়েছে।
তবে সংশ্লিষ্ট মহল ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঋণের জন্য আইএমএফের শর্ত পূরণ করতেই সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়েছে। গত ডিসেম্বরে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধিদল ঢাকায় এ ব্যাপারে সরকারকে চাপ দিয়ে গেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বৈদেশিক লেনদেনের স্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে থেকেও জনগণকে কষ্ট দিয়ে আইএমএফের ঋণ নেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা বাড়ানোর প্রভাবে জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়বে, মূল্যস্ফীতি বাড়বে, পণ্যের দাম না পেয়ে নাকাল কৃষকের খরচ আরো বাড়বে। সামগ্রিক প্রভাবে বাড়বে বাড়িভাড়া। এসব প্রভাব যুক্তিযুক্ত রাখতে যে তদারকি দরকার, এর সামান্যটুকুও নেই সরকারের।
কয়েকজন বিশ্লেষক মনে করেন, ভাড়াভিত্তিক (রেন্টাল) ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক (কুইক রেন্টাল) বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানির ভর্তুকির বোঝা কমাতে তেলের দাম বাড়ানো ছাড়া সরকারের এই মুহূর্তে হয়তো উপায় ছিল না। কিন্তু এ অবস্থা সরকার এড়াতে পারত যদি প্রাথমিক জ্বালানির অভ্যন্তরীণ উৎসগুলো কাজে লাগাত। তেল আমদানির ওপর যে কর ধরা হয়, তা কমিয়েও মানুষের ওপর বাড়তি দামের চাপ কমানো যেত।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, 'জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হলো আইএমএফের সঙ্গে সরকারের সমঝোতার কারণে। তাদের শর্ত অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দামের সমন্বয় করতে হবে। আমি এক সেমিনারে আইএমএফ কর্মকর্তাদের সামনে এর প্রতিবাদ করে বলেছিলাম, বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের দামের সমন্বয় করা কঠিন।' তিনি বলেন, 'আমার সময় এ রকম ঋণের একটি কিস্তি আমি নিইনি। কারণ তারা একই শর্ত দিয়েছিল। তখন বাণিজ্য ভারসাম্যের অবস্থা ভালো ছিল। ১৪ কোটি ডলার খুব বেশি নয়। সমস্যা হলো, এর ফলে বিশ্বাসযোগ্যতার একটি ঘাটতি তৈরি হয়।'
বৈদেশিক মুদ্রার ভালো মজুদের পরও জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো প্রসঙ্গে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য কালের কণ্ঠকে বলেন, 'এখন আর্থিক, রাজনৈতিক ও সামাজিকভাবে তেলের দাম বাড়ানোর সঠিক সময় নয়। আমার কাছে এটি বোধগম্য হচ্ছে না। আর্থিক শৃঙ্খলার জন্য দাম বাড়ানোর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এখন তো আর্থিক শৃঙ্খলা মোটামুটি ভালো আছে।'
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব যুক্তিযুক্ত রাখতে সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা আছে কি না জানতে চাইলে ড. দেবপ্রিয় বলেন, বাজারের ওপর প্রাতিষ্ঠানিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের তেমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই। আর স্বার্থসংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে আলোচনা করে যে নিয়ন্ত্রণ করা হবে, সেখানে স্বার্থসংশ্লিষ্টদের রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বেশি। এতে ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা হয় না।
ড. মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম ও ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য মনে করেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়লে পরিবহন খরচ বেড়ে যায়, পণ্যের দাম বেড়ে যায় এবং এর ফলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়।
সর্বশেষ দফা বাদেই বর্তমান সরকারের আমলে ডিজেলের দাম বেড়েছে লিটারে ১৭ টাকা। দিনাজপুর থেকে পণ্য নিয়ে ঢাকায় আসতে পাঁচ টন ক্ষমতার একটি ট্রাকের ৮০ লিটারের মতো ডিজেল প্রয়োজন হয়। এই হিসাবে ডিজেলের দাম বাড়ার কারণে ট্রাকভাড়া বাড়ার কথা ১৩৬০ টাকা। কারওয়ান বাজারের আলুর আড়তের মালিকরা বলছেন, এখন তাঁদের ২২ থেকে ২৪ হাজার টাকা ট্রাক ভাড়া দিয়ে দিনাজপুর থেকে পণ্য নিয়ে আসতে হয়, বছর চারেক আগেও যা ছিল ১৩ থেকে ১৪ হাজার টাকা। ট্রাক ভাড়া এই আট থেকে ১০ হাজার টাকা বাড়ার কারণে প্রায় সব ধরনের পণ্যের দামে সেটা যোগ হয়ে যায়। সর্বশেষ ডিজেলের দাম সাত টাকা বাড়ানোর ফলে পণ্যের দাম আরো বাড়বে।
বর্তমান সরকারের চার বছরে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪৪ টাকা বেড়ে লিটারপ্রতি ৬৮ টাকা হয়েছে। পেট্রলের দাম ৭৪ থেকে বেড়ে ৯৬ টাকা হয়েছে। আর অকটেন ৭৭ থেকে বেড়ে ৯৯ টাকা হয়েছে। চার বছরে দ্বিগুণ হয়েছে বিদ্যুতের গড় মূল্য ইউনিটপ্রতি আড়াই টাকা থেকে পাঁচ টাকা হয়েছে। যেকোনো সময় তা আরো এক দফা বাড়ানো হবে। পরিবহন চালাতে ব্যবহৃত কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাসের (সিএনজি) দাম প্রতি ঘন মিটার ১৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বেড়ে ৩০ টাকা হয়েছে। সিএনজির দামও আরেক দফা বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে।
গত বছর অর্থমন্ত্রী যখন আইএমএফের তিন বছর মেয়াদি ১০০ কোটি ডলারের ঋণের পেছনে ছুটছিলেন, তখন বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার ভাণ্ডার ছিল অস্বস্তিকর অবস্থায়। রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ১০ বিলিয়ন ডলারের নিচে, যা দিয়ে তিন মাসেরও আমদানি ব্যয় মেটানো কঠিন হতো। ফলে ডলারের দাম বাড়ছিল, টাকার মান কমছিল। ওই সময় ঋণ চুক্তির ক্ষেত্রে আইএমএফ জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর শর্ত দেয়।
১০০ কোটি ডলারের বর্ধিত ঋণ সুবিধার আওতায় সরকার এখন পর্যন্ত একটি কিস্তি পেয়েছে। চলতি জানুয়ারিতে দ্বিতীয় কিস্তির ১৪ কোটি ১০ লাখ ডলার পেতেই সরকার আবার তেলের দাম বাড়িয়েছে।
এর আগে যখনই জ্বালানির দাম বাড়ানো হয়েছে, এর প্রভাব পড়েছে জীবনযাত্রার ব্যয়ে। প্রত্যক্ষভাবে বেড়েছে পরিবহন ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল। পরোক্ষভাবে বেড়েছে পণ্যের দাম থেকে শুরু করে বাড়ি ভাড়া পর্যন্ত। এমনকি রিকশা ভাড়াও অনেকখানি বেড়ে গেছে ওই সবের দাম বাড়ানোর পরোক্ষ প্রভাবে।
কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) হিসাবে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছিল ৬.১৯ শতাংশ। দ্রব্য ও সেবার দাম বেড়েছিল ৭.৪১ শতাংশ। ২০১০ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় ১৬.১০ শতাংশ এবং দ্রব্য ও সেবার দাম ১৪.৬৪ শতাংশ বেড়েছিল। ২০১১ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় ১১.৯৬ শতাংশ এবং পণ্য ও সেবার দাম ১২.৭৭ শতাংশ বেড়েছিল। সর্বশেষ ২০১২ সালে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ৬.৪২ শতাংশ। আর পণ্য ও সেবার দাম বেড়েছে ১৩ শতাংশ।
জ্বালানির দাম বাড়ানোর প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়ছে গ্রামীণজীবনেও। যেখানে বিদ্যুতের সংযোগ পৌঁছেনি, সেখানে একটি পরিবারের প্রতি লিটার কেরোসিনে সাত টাকা খরচ বাড়ল। মাসে পাঁচ লিটার কেরোসিন প্রয়োজন হলে ওই পরিবারের খরচ বেশি হবে ৩৫ টাকা। এতে মোট খরচ হবে ৩৪০ টাকা।
গেল বছর মূল্যস্ফীতি বাড়ার অন্যতম কারণ ছিল পরিবহন খরচ বৃদ্ধি। ক্যাবের হিসাবে, ২০০৯ সালে ৪০ আসনের বাসের প্রতি কিলোমিটারের গড় ভাড়া ছিল এক টাকা ১০ পয়সা। ২০১২ সালে তা বেড়ে এক টাকা ৫০ পয়সা হয়। ফলে দূরপাল্লায় ১০০ কিলোমিটারে বাস ভাড়া বাড়ে ৪০ টাকা। কিন্তু শহরে পরিবহন খরচ বেড়েছে আরো বেশি। কয়েক বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে শহরের বাস-মিনিবাসের ভাড়া। আর সিএনজি অটোরিকশা এখন বলতে গেলে চাকরিজীবীদের নাগালের বাইরে। এর প্রথম তিন কিলোমিটারের ভাড়া ২৫ টাকা। কিন্তু এখন এ পরিবহনটিতে উঠলেই লাগছে ১৫০ টাকা।
সরকারের ভুল নীতির খেসারত দিচ্ছে জনগণ : জ্বালানি খাতে সরকারের ভুল নীতির কারণেই দফায় দফায় বাড়ছে দাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমদানিনির্ভর জ্বালানির ওপর নির্ভর করার কারণেই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে। দেশীয় জ্বালানি গ্যাস ও কয়লার ওপর নজর দেয়নি সরকার। গত চার বছরে এখনো কয়লানীতি সম্পন্ন করতে পারেনি তারা। ফলে কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত ঝুলে আছে। পাশাপাশি আমদানিনির্ভর জ্বালানিতে একের পর এক রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু করায় ঝুঁকির মধ্যে চলে গেছে অর্থনীতি। এ ঝুঁকি কাটিয়ে উঠতেই সরকার চার বছরে জ্বালানি তেলের দাম পাঁচ দফা বাড়িয়েছে।
সূত্র জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে গিয়ে গত এক বছরে জ্বালানি তেলের চাহিদা বেড়েছে ২৭ শতাংশের বেশি। ফলে সরকার বাধ্য হয়েই বাড়িয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার একক আমদানিনির্ভর জ্বালানির ওপর জোর না দিয়ে যদি মিশ্র জ্বালানি ব্যবহারের ওপর জোর দিত, তবে বারবার দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হতো না।
এ বিষয়ে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জ্বালানি উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ম. তামিম বলেন, 'এ পর্যায়ে এসে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো ছাড়া সরকারের কোনো উপায় ছিল না। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে স্থানীয় বাজারের পার্থক্য অনেক, এমনকি পশ্চিমবঙ্গের চেয়েও বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের দাম কম। এ বিষয়ে সরকারকে যা করতে হবে তা হলো, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার প্রভাব যেসব খাতে পড়ে, সেখানে যাতে কেউ অনৈতিক সুযোগ নিতে না পারে সে ব্যবস্থা করা।'
একের পর এক রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণই জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পেছনে আরেকটি বড় কারণ। এ ক্ষেত্রে সরকারের মিশ্র জ্বালানি নীতি নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ম. তামিম। তিনি বলেন, 'আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন হতে পারে কয়লা থেকে ৫০ শতাংশ, গ্যাস থেকে ৩০ শতাংশ, জ্বালানি তেল থেকে ১০ শতাংশ এবং অন্যান্য সোর্স থেকে বাকি ১০ শতাংশ। এ জন্য আমাদের অবশ্যই কয়লার দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। এর পাশাপাশি নতুন নতুন গ্যাসক্ষেত্র খুঁজে বের করতে হবে। বর্তমানে যেসব কূপ রয়েছে শুধু সেখান থেকে নয়, মজুদ বাড়ানোর জন্য নতুন গ্যাস অনুসন্ধান করতে হবে। এ কাজে বাপেক্সের পাশাপাশি অন্যদেরও কাজে লাগাতে হবে। আমাদের অর্থনীতি কোনোভাবেই আমদানিনির্ভর জ্বালানির চাপ বহন করতে পারবে না।'
জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আনু মুহাম্মদও আমদানিনির্ভর জ্বালানিকেই দায়ী করেন। তিনি বলেন, 'আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের ওপর আমাদের কোনো হাত নেই। এ কারণেই গ্যাস ও কয়লার ওপর শতভাগ জাতীয় মালিকানা প্রতিষ্ঠা করে জাতীয় সক্ষমতা বাড়াতে হবে।'
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, 'ভর্তুকি তুলে দিয়ে লোকসান কমানোর একটা চেষ্টা বেশ কিছু বছর ধরেই করা হচ্ছে। এবার কৃষিতে উৎপাদন খরচের বিপরীতে যে মূল্য কৃষক পেয়েছে, তাতে সে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ অবস্থায় আবার ডিজেলের দাম বাড়িয়ে সরকার কৃষককে বিপদেই ফেলে দিয়েছে।' তিনি আরো বলেন, সরকারকে কৃষকের ভর্তুকি নিশ্চিত করতে হবে। কৃষককে যে প্রণোদনা দেওয়া হয়, সেখানে আরো বেশি প্রণোদনা দিতে হবে। তা না হলে কৃষিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম বলেন, 'সরকার জ্বালানি তেলের দাম না বাড়িয়েও ভর্তুকি কমাতে পারত। তেল আমদানি বাবদ সরকারকে বিপুল পরিমাণ কর দেয় বিপিসি। সেই কর মওকুফ করেও কিন্তু সরকার ভর্তুকির চাপ কমাতে পারত।'

No comments

Powered by Blogger.