একাত্তরের এই দিনে

* প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান এবং সফররত কানাডার প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুড রাওয়ালপিন্ডিতে বিশ্ব শান্তির প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করেন এবং উভয় দেশের সাধারণ স্বার্থ ও নীতিসমূহের সাদৃশ্যের কথা উল্লেখ করেন। ইয়াহিয়া খান কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সম্মানার্থে ভোজসভার আয়োজন করেন।
ওই ভোজসভায় নেতৃদ্বয় পাকিস্তান ও কানাডার মধ্যে বর্তমান বন্ধুসুলভ সম্পর্ক, সহযোগিতা ও সমঝোতার কথাও উল্লেখ করেন। ভোজসভায় মন্ত্রিসভার সদস্যরা, প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুস সাত্তার এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীরা যোগ দেন।
* ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিক সমিতি গঠন করা হয়। ভূঁইয়া মোহাম্মদ ইকবাল ও চিন্ময় মুৎসুদ্দিকে যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করে সমিতির ১৩ সদস্যবিশিষ্ট কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচিত করা হয়। উল্লেখ্য, দেশের বিভিন্ন দৈনিক ও সাপ্তাহিক সংবাদপত্রে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কার্যরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা এই প্রথম এ জাতীয় একটি সমিতি গঠন করলেন।
* বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রাণনাশের চেষ্টার অভিযোগে রাতে জনৈক যুবককে বঙ্গবন্ধুর ধানমণ্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুবকটি স্বীকার করেছে যে সে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার জন্যই গিয়েছিল। সে আরো স্বীকার করে, সংগঠিত দলের (গ্যাং) পক্ষ থেকে তাকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রাণনাশের জন্য ট্রেনিং ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানা যায়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সুযোগের সদ্ব্যবহারের জন্য একটি অত্যন্ত শক্তিশালী সংগঠিত চক্র বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন রয়েছে।
* পাকিস্তানের হাঙ্গেরীয় দূতাবাসের বাণিজ্যিক উপদেষ্টা পি. ইগারভেরি বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা পরীক্ষা করার উদ্দেশ্যে বর্তমানে ঢাকা সফর করছেন। রাতে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। বেগম ও জনাব এ. সালাম আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী, কূটনৈতিক মিশনসমূহের সদস্যবর্গ, শিল্পপতি এবং শহরের বিশিষ্ট নাগরিকরা যোগদান করেন।
* পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ের প্রায় ১৮ হাজার শ্রমিক ও কর্মচারী তাদের ১৯ দফা দাবি আদায়ের জন্য 'ইপরেল' পাহাড়তলি শাখা ও ওপেন লাইন শাখার উদ্যোগে ভোর ৬টা থেকে ধর্মঘট শুরু করেছে। উল্লেখ্য, তাদের ১৯ দফার মধ্যে বন্যাবাবদ দুই মাসের অগ্রিম বেতনের দাবিও রয়েছে।
সূত্র : মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর

No comments

Powered by Blogger.