‘মমতা স্বৈরাচারী’ by অমর সাহা

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগ তুলেছেন কংগ্রেসের দুই মন্ত্রী। মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ ও রদবদলে দেওয়া নতুন দায়িত্ব তাঁদের জন্যমর্যাদা হানিকর বলে দাবি করে ওই দুই মন্ত্রী মমতার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তোলেন। তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।


মন্ত্রীরা হলেন: আবু হেনা ও মনোজ চক্রবর্তী। গত সোমবার পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ ও রদবদল করেন মমতা। এ সময় মৎস্য, খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যান মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা পূর্ণমন্ত্রী আবু হেনাকে কেবল মৎস্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। মনোজ চক্রবর্তীকে পরিষদীয়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে করা হয় খাদ্যপ্রক্রিয়াকরণ প্রতিমন্ত্রী। এ ঘটনায় দুই মন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে মমতার বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগ তুলেছেন। মনোজ চক্রবর্তী এর মধ্যে পদত্যাগ করতে দলের নেতৃত্বের কাছে অনুমতি চেয়েছেন।
এ ঘটনার পর কংগ্রেস-শিবিরে প্রচণ্ড ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। যদিও রাজ্যের মন্ত্রিসভার ৪৪ জন সদস্যের মধ্যে এখন কংগ্রেসের দুজন পূর্ণ মন্ত্রী ও চারজন প্রতিমন্ত্রী রয়েছেন। মন্ত্রীদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো আলাপ না করে একতরফাভাবে তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন মুর্শিদাবাদের কংগ্রেস নেতা ও মন্ত্রী মনোজ চক্রবর্তী। গত মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মনোজ চক্রবর্তী মমতা ও কংগ্রেসের মন্ত্রী মানস ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মনোজ চক্রবর্তী বলেন, মন্ত্রিসভায় তিনি আর থাকতে ইচ্ছুক নন বলে তাঁদের জানিয়ে দিয়েছেন। বলেছেন তিনি পদত্যাগ করতে চান।
মনোজ আরও বলেন, ‘এই মন্ত্রিসভার কোনো স্থিতি নেই। রাজ্যে চলছে স্বৈরতন্ত্র। চলছে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার রাজনীতি। এই সরকার হঠকারী। আমি এই মন্ত্রিসভায় থাকতে চাই না।’

No comments

Powered by Blogger.