সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য হয়নি-কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে আদেশ ৩১ জানুয়ারি

জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মাদ কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় অভিযোগ আমলে নেওয়ার বিষয়ে আদেশের দিন ৩১ জানুয়ারি পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গতকাল বুধবার এ আদেশ দেন।


এদিকে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ১৫তম সাক্ষী অসুস্থ থাকায় গতকাল সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। ২৪ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিচারপতি নিজামুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনালে কার্যক্রম শুরু হয়। ট্রাইব্যুনাল বলেন, কামারুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের দাখিল করা নথিপত্র পর্যালোচনা এখনো শেষ হয়নি। এ জন্য আরও সময় দরকার। পরে ট্রাইব্যুনাল আদেশের দিন পুনর্নির্ধারণ করেন।
এ সময় কামারুজ্জামান কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫ জানুয়ারি মানবতাবিরোধী অপরাধের নয়টি অভিযোগ এনে রাষ্ট্রপক্ষ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে পুনর্দাখিল করে। এর আগে ২৮ ডিসেম্বর প্রথম দফায় অভিযোগ দাখিল করলেও ট্রাইব্যুনাল তা সুবিন্যস্ত করে পুনর্দাখিলের আদেশ দিয়েছিলেন।
এরপর সাঈদীকে এজলাসে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি রানা দাশগুপ্ত ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ১৫তম সাক্ষী মধুসূদন ঘরামি অসুস্থ থাকায় তাঁকে ট্রাইব্যুনালে আনা যায়নি। পরে ট্রাইব্যুনাল ২৪ জানুয়ারি সাক্ষ্য গ্রহণের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
মামলার নথি নির্দিষ্ট দোকানে অনুলিপি করার নির্দেশ: গতকাল কার্যক্রমের শুরুতে আসামিপক্ষের আইনজীবী তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে বলেন, ট্রাইব্যুনাল থেকে সরবরাহ করা জামায়াতের সাবেক আমির গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলার নথিপত্র অনুলিপি করতে তাঁর গবেষণা সহকারী জুবায়ের মঙ্গলবার নীলক্ষেতের একটি দোকানে যান। কিন্তু নিউমার্কেট থানার পুলিশ ওই দোকান থেকে জুবায়েরকে আটক এবং মামলার সব নথিপত্র জব্দ করে।
এ সময় ট্রাইব্যুনাল বেলা একটার মধ্যে জুবায়েরকে হাজির করতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিউমার্কেট থানার পুলিশ জব্দ করা নথিপত্রসহ তাঁকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করে। উপস্থিত নিউমার্কেট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে ট্রাইব্যুনাল বিষয়টি জানতে চান। ওসি বলেন, পুলিশ খবর পেয়ে ওই দোকানে গিয়ে গোলাম আযমের মামলার নথিপত্র ফটোকপি হচ্ছে দেখতে পেয়ে ওই ব্যক্তিকে আটক করে।
এরপর ট্রাইব্যুনাল আদেশে বলেন, ট্রাইব্যুনাল মনে করেন, ঘটনাটি ভুলক্রমে ঘটলেও পুলিশ তাঁদের দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে ত্রুটি করেনি। গোলাম আযমের বিরুদ্ধে মামলার এসব নথিপত্র ট্রাইব্যুনাল থেকে আসামিপক্ষকে সরবরাহ করা হয়েছিল। মামলায় প্রস্তুতির জন্য আসামিপক্ষ এসব কাগজপত্রের অনুলিপি করতে পারে।
ট্রাইব্যুনাল জুবায়েরকে মুক্তি দিতে এবং জব্দ করা নথিপত্র তাজুল ইসলামকে দিতে পুলিশকে নির্দেশ দেন। তবে ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যা এড়াতে আসামিপক্ষকে ট্রাইব্যুনাল থেকে সরবরাহ করা নথিপত্র একটি নির্দিষ্ট দোকান থেকে অনুলিপি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
তাজুল ইসলাম ট্রাইব্যুনালকে জানান, নির্দিষ্ট দোকানটির নাম তিনি ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে জমা দেবেন।

No comments

Powered by Blogger.