মতিঝিল এলাকায় যত্রতত্র গাড়ি রাখা যাবে না

রাজধানীর ইত্তেফাক মোড় থেকে মতিঝিল, বাংলাদেশ ব্যাংক, দৈনিক বাংলা মোড় হয়ে পল্টন পর্যন্ত সড়কের অনির্ধারিত স্থানে কোনো গাড়ি রাখা যাবে না। যেসব ভবনে গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে, সেসব স্থানে গাড়ি রাখার ব্যাপারে এক মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষকে (রাজউক) নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার সড়ক ভবনে ঢাকা মহানগরের যানজট নিরসনে গঠিত সমন্বয় ও পর্যবেক্ষণ কমিটির সভায় যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ নির্দেশ দেন। সভায় যোগাযোগ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা সিটি করপোরেশন, ঢাকা জেলা প্রশাসন ও পুলিশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে সংবাদকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় রাজধানীর সদরঘাট থেকে গাবতলী পর্যন্ত বাঁধের ওপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, ফল বিক্রির ভ্রাম্যমাণ দোকান বন্ধে এক মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে ঢাকার জেলা প্রশাসককে (ডিসি) নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, আগামী মার্চ থেকে এপ্রিলের মধ্যে বিআরটিসির আরও ২৯০টি বাস আসবে বলে সভায় জানানো হয়। এতে বলা হয়, রাজধানীতে যানজটের অন্যতম কারণ ছোট ছোট গাড়ি নিয়ে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসা-যাওয়া। এ কারণে বিআরটিসির কিছু গাড়ি রাজধানীর বিদ্যালয়গুলোকে দেওয়া হবে, যাতে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যায়। সভায় মন্ত্রী বলেন, তিনি নিজে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রশাসন, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে উৎসাহিত করবেন।
এ ছাড়া রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রী আনা-নেওয়ার জন্য আগত গাড়িগুলো ভূগর্ভস্থ তলায় রাখার বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে ডিসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সভায় বলা হয়, রাজধানীর জিরো পয়েন্ট থেকে প্রেসক্লাব, শাহবাগ, ফার্মগেট, মহাখালী হয়ে বনানী পর্যন্ত ফুটওভারব্রিজগুলো ব্যবহারের উপযুক্ত কি না, তা তিন মাসের মধ্যে পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রয়োজনে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাধারণ যাত্রীদের সেগুলো ব্যবহারের ব্যবস্থা করতে হবে।
বর্তমানে সিটি করপোরেশনের নির্মিত রাজধানীর ফুট ওভারব্রিজগুলো বেশির ভাগই ব্যবহার করা হয় না। এগুলো খালি পড়ে থাকে। অনেক স্থানে পুলিশ মোতায়েন করেও মানুষকে ফুট ওভারব্রিজে ওঠানো যায় না। দীর্ঘদিন অব্যবহূত থাকার কারণে এসব ব্রিজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে ব্যবহূত না হওয়ার কারণে বেশ কয়েকটি ফুট ওভারব্রিজ অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
সভায় যানজট নিরসনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবৈধ দোকানপাট ও ফুটপাত থেকে হকারদের উচ্ছেদের পরামর্শ দেন কেউ কেউ। এ বিষয়ে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, ভোটের রাজনীতির বিবেচনায় অনেক সিদ্ধান্তই নেওয়া যায় না, তাই পুনর্বাসন না করে উচ্ছেদ করা ঠিক হবে না। দরিদ্র হকারদের উচ্ছেদ করলে নানা সমস্যা তৈরি হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ফিটনেসবিহীন যানবাহন উচ্ছেদে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠক করার বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যানকে মন্ত্রী নির্দেশ দেন।

No comments

Powered by Blogger.