এমপির বয়ান

'মিটি গঠন আমার ইচ্ছামতো হয়, এটা সম্পূর্ণ অসত্য কথা। কমিটি গঠন নিয়ে অভিযোগ আসতে পারে_এটা আমি বিশ্বাস করি না। আমাদের বর্তমান কমিটি গঠিত হয়েছে ২০০৩ অথবা ২০০৪ সালে। নতুন কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে, সুতরাং এসব অবাস্তব অভিযোগের কোনো মানে নেই।' কমিটির মেয়াদ সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, 'এটা সারা দেশের সমস্যা। তবে আমরা কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছি।


মুকসুদপুর ও কাশিয়ানীতে অলরেডি সদস্য সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে। সদস্য সংগ্রহ হওয়ার পর ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হবে। এরপর থানা কমিটি গঠিত হবে।' মন্ত্রী ফারুক খান আরো বলেন, 'আমার নাম ভাঙিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রশাসনিক ক্ষমতার অপব্যবহার করেন, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা । এ অভিযোগ এলাকার কেউ আমাকে করেনি।'
নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির ব্যাপারে মন্ত্রী বলেন, 'সব প্রতিশ্রুতিই বাস্তবায়িত হয়েছে।' দিগনগর ব্রিজ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'এলাকায় অনেক ব্রিজই তো হয়েছে, শুধু একটি ব্রিজ হয়নি। সব কয়টি ব্রিজ তো আর তিন বছরে করা সম্ভব না। এটা বাংলাদেশের কোনো জায়গায় করা সম্ভব না।' ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পেঁৗছানোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমাদের এলাকায় বিদ্যুতের যত উন্নয়ন হয়েছে, দেশের অন্য কোথাও এত বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হয়নি। ঘরে ঘরে বিদ্যুতের কথা বলেছিলাম, যেটুকু পেরেছি, দিয়েছি। বাকিটা চেষ্টা করে যাচ্ছি। পৃথিবীর কোথাও ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ নেই।' কাশিয়ানীতে ইপিজেড নির্মাণের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, 'ওখানে ইপিজেড নির্মাণের কথা আমি কখনো বলিনি, সুতরাং এটা অবাস্তব কথা। বরং ওখানকার লোকেরা এলাকায় ইপিজেড দাবি করেছে। সেখানে বড় রেলস্টেশন হচ্ছে, ভাটিয়াপাড়ায়।' নির্বাচনী এলাকায় জনপ্রিয়তা কমে যাচ্ছে_এমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমার জনপ্রিয়তায় ধস নামছে, এমন লক্ষণ দেখছি না। এসব ফালতু কথা। এসব কথার কোনো মানে নেই। কাশিয়ানীর এম এ খালেক ডিগ্রি কলেজের ভবন নির্মাণের প্রতিশ্রুতির কথা বলা হলে মন্ত্রী বলেন, 'ভবন নির্মাণের কাজ চলছে।' এ ব্যাপারে কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, 'আমাদের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছে নিজ উদ্যোগে। কলেজের আজীবন তিন সদস্য প্রত্যেকে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। কলেজের যে বেতন কালেশন হবে এর ফিফটি পারসেন্ট এই ভবন নির্মাণের কাজে ব্যয় করা হবে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ফারুক খানের অনুদানের কথা জানতে চাইলে অধ্যক্ষ জানান, উনি এখনো কোনো টাকা দেননি। পরবর্তী সময়ে দেবেন বলেছেন।
এত সব প্রশ্ন করায় বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রেগে গিয়ে এই প্রতিবেদককে বলেন, 'তুমি না জেনেশুনে কার গল্প বানিয়ে বানিয়ে বলছো। তুমি যে কথা বলছো, আমার সম্পর্কে তোমার কোনো আইডিয়াই নেই। এসব ফালতু কথা না বলে ইলেকশনের কথা বলো।' এরপর ঠিক আছে বলে মুঠোফোনের লাইনটি তিনি কেটে দেন।

No comments

Powered by Blogger.