খালেদাকে সাহারা-দেশে যুদ্ধাপরাধী কারা, বলুন!

ম্প্রতি কয়েকটি জনসভায় দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা যুদ্ধাপরাধী নন মর্মে বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তাঁর এই বক্তব্যের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন খালেদা জিয়ার কাছে জানতে চেয়েছেন_দেশে তাহলে যুদ্ধাপরাধী কারা? কারাই বা একাত্তরে বাংলার মাটিতে খুন, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওসহ মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিল? কারা সেদিন মা-বোনদের তুলে দিয়েছিল পাকিস্তানি হায়েনাদের হাতে? গতকাল কঙ্বাজারের পাবলিক হল মাঠে আয়োজিত এক জনসভায় বক্তৃতাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।


তিনি বলেন, খালেদা জিয়া একাত্তরের ঘাতক জামায়াতিদের সঙ্গে নিয়ে রোডমার্চ করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছেন। সেই সঙ্গে অর্থ পাচারকারী তাঁর দুই ছেলেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন।
কঙ্বাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় আরো বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে আহমদ হোসেন, কানিজ ফাতেমা মোসতাক, অ্যাডভোকেট রঞ্জিত দাশ, আবু হেনা মোস্তফা কামাল প্রমুখ। এর আগে জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বক্তৃতাকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'কঙ্বাজারের প্রধান সমস্যা রোহিঙ্গা ও মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। রোহিঙ্গা ও মাদক নির্মূল সরকার বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একার পক্ষে সম্ভব নয়। কঙ্বাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জয়নুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় তাৎক্ষণিক চোরাচালান ও মাদক পাচার রোধে মেরিন ড্রাইভ সড়কের রেজু ব্রিজ এলাকায় একটি যৌথ চেকপোস্ট স্থাপন ও মরিচ্যা চেকপোস্টে বিজিবির সঙ্গে নারী আনসার দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি। এছাড়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কঙ্বাজারে সদর মডেল থানা ভবনের উদ্বোধন করেন।

No comments

Powered by Blogger.