আওয়ামী লীগের আশা-সড়ক যোগাযোগে বাংলাদেশ ও চীন কাজ করবে

মিয়ানমার হয়ে চীনের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনে বাংলাদেশ ও চীন সরকার যৌথভাবে কাজ করবে। উভয় দেশের ক্ষমতাসীন দলের নেতারা এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ ও বাংলাদেশে গভীর সমুদ্রবন্দর স্থাপনে চীনের সহায়তা কামনা করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা।ঢাকা সফররত চীনা কমিউনিস্ট পার্টির প্রতিনিধিদলের সৌজন্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সোনারগাঁও হোটেলে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়। এ সময় উভয় দেশের সরকারদলীয় নেতারা এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


চায়না কমিউনিস্ট পার্টির পলিট ব্যুরো সদস্য ও পার্টির বেইজিং শাখার সাধারণ সম্পাদক লিউ শির নেতৃত্বাধীন ২৬ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলটি গতকাল বিরোধী দল বিএনপির সঙ্গেও পৃথক বৈঠক করেন। মধ্যাহ্নভোজের আগে আওয়ামী লীগের তরফ থেকে চীনা প্রতিনিধিদলকে দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকা উপহার দেওয়া হয়। মধ্যাহ্নভোজের আগে
চীনা প্রতিনিধিদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ আশা করে। সৈয়দ আশরাফ বলেন, 'আমি ও প্রধানমন্ত্রী যখন চীন সফরে গিয়েছিলাম তখন আমরা মিয়ানমার হয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে প্রস্তাব করেছিলাম। গতকাল (বুধবার) রাতে নৈশভোজে চীনা প্রতিনিধিদলের প্রধান লিউ শি এ ব্যাপারে তাঁর সমর্থন জানিয়েছেন।'
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী 'এক চীন' নীতিতে বাংলাদেশের সমর্থন ব্যক্ত করে বলেন, 'আমরা চীনের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে সম্পূর্ণ বিশ্বাসী এবং তিব্বত চীনেরই অংশ_এটা আমাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ।'
যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন তাঁর বক্তব্যে চীনকে তাঁর দ্বিতীয় বাড়ি উল্লেখ করে বলেন, 'মন্ত্রী হওয়ার আগে আমি প্রায়ই চীন ভ্রমণে যেতাম। মন্ত্রী হওয়ার পর এতে কিছুটা ব্যত্যয় ঘটেছে।' বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অবকাঠামো খাতে চীনা সহায়তার উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আশা করি, আগামী দিনে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।' আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নির্দেশে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কোন্নয়নে সাধ্যমতো কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান যোগাযোগমন্ত্রী।
লিউ শি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার অর্থনৈতিক ও সামাজিক সম্পর্ক সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে চীন কাজ করে যেতে ইচ্ছুক মন্তব্য করে তিনি দুই দেশের পাশাপাশি চায়না কমিউনিস্ট পার্টি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করেন। ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত ঝ্যাং জিয়ানিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষে আরো উপস্থিত ছিলেন মাহবুব-উল-আলম হানিফ, বাহাউদ্দিন নাসিম, বি এম মোজাম্মেল হক, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, ফরিদুন্নাহার লাইলী, অসীম কুমার উকিল, মৃণাল কান্তি দাশ, সুজিত রায় নন্দী, আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

No comments

Powered by Blogger.