তারেক ও মামুনের অর্থ পাচার মামলায় বাদীকে দ্বিতীয় দফা জেরা

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলার বাদীকে দ্বিতীয় দফা জেরা করেছেন মামুনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন। এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন আদালত খারিজ করায় বাদীকে জেরা করা হয়। বাদীকে প্রথম দফা জেরা করা হয় ১৯ অক্টোবর। গত ১১ সেপ্টেম্বর ও ১৮ অক্টোবর আদালতে জবানবন্দি দেন বাদী।বাদীকে জেরা শেষ না হওয়ায় অসমাপ্ত জেরার জন্য ১৫ ও ১৬ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মোজাম্মেল হোসেন এই দিন ধার্য করেন।


গতকাল আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরই মামুনের আইনজীবীরা আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করেন। আবেদনে বলা হয়, মামলাটি আমলে নেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ফৌজদারি বিবিধ মামলা দায়ের হয়েছে, যা শুনানির অপেক্ষায় আছে। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আবেদন নাকচ করে দেন। এরপর মামুনের আইনজীবীরা বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ইব্রাহিমকে জেরা করেন।
খন্দকার মাহবুব হোসেন আদালত থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, 'মানি লন্ডারিং আইন ২০০২ ও মানি লন্ডারিং আইন ২০০৯-এর মধ্যে সংজ্ঞাগত কিছু ভিন্নতা রয়েছে। তা ছাড়া ঘটনার সময় মানি লন্ডারিং আইন ২০০৯ বলবৎ ছিল না। মামলায় উলি্লখিত ঘটনার তদন্ত হয়েছে ২০০২ সালের মানি লন্ডারিং আইনে আর চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেওয়া হয়েছে ২০০৯ সালের আইনে। ২০০৩ থেকে ২০০৭ সালের ঘটনায় ২০০৯ সালের আইনে চার্জশিট দেওয়া কতটুকু আইনসিদ্ধ, তা আমরা পর্যালোচনা করব।'
এ মামলায় তারেক রহমানকে পলাতক দেখিয়ে বিচারকাজ চলছে। সাক্ষ্যগ্রহণ চলাকালে অন্য আসামি গিয়াসউদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। গত ৮ আগস্ট আদালত ২০০২ সালের মুদ্রা পাচার আইনে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।
আদালতে অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুবকে সহায়তা করেন ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার ফকরুল ইসলাম, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, নুরুজ্জামান তপন ও জিয়াউল হক জিয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন দুদকের আইনজীবী আনিসুল হক, মোশারফ হোসেন কাজল ও কবির হোসেন।
তারেক ও মামুনের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর দুদক ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করে। গত বছরের ৬ জুলাই এ মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

No comments

Powered by Blogger.