নাটকীয়তার পর জিততে দ. আফ্রিকার চাই ২৩৬

কই দিনে দুবার আউট হলেন মাইকেল ক্লার্ক। আগের দিনের ১০৭ রানের ইনিংসে আরো রান যোগ করে আউট হয়েছেন ১৫১ রানে। ২৬৬ মিনিট ক্রিজে থেকে ১৭৬ বলের লড়াকু ইনিংসের পর খানিকটা বিশ্রাম প্রাপ্যই ছিল। শেন ওয়াটসন যখন একাই দক্ষিণ আফ্রিকাকে গুঁড়িয়ে দিয়ে প্রথম ইনিংসে স্বাগতিকদের গুটিয়ে দিলেন মাত্র ৯৬ রানে, তখন ক্লার্ক হয়তো মিটিমিটি হাসছিলেন! ভেবেছিলেন বেশ কিছুটা সময় ড্রেসিংরুমে কাটাবেন। কিন্তু হলো না! শুধু ক্লার্ক কেন, কেউই ড্রেসিংরুমে জমিয়ে বসার সুযোগটাও পেলেন না। ভারনন ফিল্যান্ডারের বোলিং তোপে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস।


মাত্র ১৮ ওভার অথবা দেড় ঘণ্টাতেই আবার ফিল্ডিংয়ে নেমে যেতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে, যদিও জয়ের সুবাস আসছে নাকে! কারণ এই উইকেটেই যে জিততে হলে দক্ষিণ আফ্রিকাকে করতে হবে ২৩৬ রান।
প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ২৮৪ রানের জবাবে ৯৬ রানে অল আউট দক্ষিণ আফ্রিকা, শঙ্কা জাগিয়েও একটুর জন্য হয়নি ফলো অন। বড় লিড নেওয়ার স্বপ্নে ব্যাট করতে নামা অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা ভাবতেও পারেননি কি দুঃস্বপ্ন অপেক্ষা করছে তাঁদের জন্য। মরনে মরকেল, ফিল্যান্ডার আর ডেল স্টেইন যেন বলের বদলে ছুড়ছিলেন হাতবোমা! সেই বিস্ফোরণেই ২১ রানে ৯ উইকেট নেই অস্ট্রেলিয়ার। প্রথম ৯ ব্যাটসম্যানের কেউই যেতে পারেননি দুই অঙ্কে। পিটার সিডল ও নাথান লিওনের শেষ উইকেট জুটিতেই যোগ হয়েছে 'মহামূল্যবান' ২৬ রান, যার দরুন টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন রান, নিজেদের সর্বনিম্ন রানসহ অনেক চোখরাঙানি এড়িয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সব মিলিয়ে দ্বিতীয় দিনের প্রথম ৫০ ওভারের মতো সময়ে উইকেট পড়েছে ২২টি! বাকি অর্ধেক সময়ে এই ধারা অব্যাহত থাকলে ভেঙে যাবে একদিনে ২৭ উইকেট পতনের বহু পুরনো রেকর্ডটাও। ক্রিকইনফো।
অস্ট্রেলিয়ার সর্বনিম্ন ৫টি ইনিংস

No comments

Powered by Blogger.