২০১৪ পর্যন্ত সান্তোসেই থাকছেন নেইমার

ঢিলই বুঝি পড়েছিল মৌচাকে! ব্রাজিলের ১৯ বছর বয়সী নেইমারকে নিয়ে কত গুঞ্জনই না শোনা গিয়েছিল ফুটবল জগতে। সান্তোসের এই ফরোয়ার্ডের ভবিষ্যৎ গন্তব্য নিয়ে লেখা হয়েছে হাজার হাজার শব্দ, খরচ হয়েছে দিস্তার পর দিস্তা কাগজ। ৪৮ মিলিয়ন পাউন্ডে নাকি শীতকালীন দলবদলেই রিয়াল মাদ্রিদে নাম লিখিয়ে ফেলতে যাচ্ছেন নেইমার, এমন অনেক 'পাকা' খবরও ছাপা হয়েছিল অনেক কাগজে। কিন্তু সব মিথ্যা প্রমাণ করেই সান্তোসে থেকে যাচ্ছেন নেইমার। গত বুধবারেই তাঁর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদটা আরো দুই বছর বাড়িয়ে ২০১৪ সাল পর্যন্ত করেছে সান্তোস।


'নেইমার আমাদের সঙ্গে ২০১৪ পর্যন্ত থাকছে, চুক্তিটা সই হয়ে গেছে'_এমন ঘোষণা দিয়ে অনেক ক্লাব কোচেরই মন ভেঙে দিয়েছেন সান্তোসের প্রেসিডেন্ট আলভারো অলিভেইরা রিবেরিও। তবে চুক্তি করে ফেলাটা যে গাছ থেকে পাকা ফল পেড়ে খাওয়ার মতো সহজ হয়নি, সে কথাটা বেশ রসিকতার ছলেই বুঝিয়ে দিয়েছেন সান্তোস প্রেসিডেন্ট। উদাহরণ হিসেবে টেনে এনেছেন সারভান্তেসের বিখ্যাত উপন্যাস 'ডন কিহোতে'-এর প্রসঙ্গ, 'ব্যাপারটা অনেকটা ডন কিহোতের সেই ছায়ার সঙ্গে লড়াই করার মতো।' ছায়ার সঙ্গে তলোয়ারবাজিতে হার-জিত না এলেও রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা, ম্যানচেস্টার সিটির মতো বড় বড় ক্লাবগুলোকে অবশ্য হারিয়ে দিয়েছে সান্তোস, প্রেসিডেন্টের তাই গর্বিত উচ্চারণ, 'অবশেষে আমরা একটা ঐকমত্যে পেঁৗছেছি, আর তা হচ্ছে আগামী বিশ্বকাপ (২০১৪, ব্রাজিলই স্বাগতিক) পর্যন্ত নেইমার আমাদের সঙ্গেই থাকছে। চুক্তিটা সই হয়েছে এবং একদম পাকাপোক্ত, সেটা বার্সেলোনার সঙ্গে নয়, রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গেও নয়, বরং সান্তোসের সঙ্গে।' বুধবার গ্রিনিচ মান সময় আড়াইটায় নেইমার নতুন করে আরো দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন পুরনো ক্লাবের সঙ্গে।
ক্লাব প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে উজ্জ্বলভাবে '২০১৪' লেখা একটি ১১ নম্বর জার্সি হাতে পেয়ে নেইমার জানিয়েছেন, 'এ জার্সিটাই সব স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছে, আমি ২০১৪ পর্যন্ত আছি। আর আমি আগেও বলেছিলাম, আমার চলে যাওয়ার নয় বরং থেকে যাওয়ারই ইচ্ছা। অবশ্য ইচ্ছেটা বাস্তবে রূপ নিয়েছে অনেকটা পারিবারিক কারণে, কদিন আগেই যে বাবা হয়েছেন নেইমার, 'এ সিদ্ধান্তটা আমি আমার পরিবারের কথা ভেবেই নিয়েছি।' ইউরোপের অনেক নামিদামি ক্লাব যে তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছে, এ ব্যাপারটা বেশ উপভোগই করছেন সান্তোসকে ৩৮ বছর পর কোপা লিবার্তাদোরেস জেতানো নেইমার। এএফপি

No comments

Powered by Blogger.