সাংবাদিকের ওপর হামলা-আখাউড়ায় সংঘর্ষে নিহত ১, গুচ্ছগ্রামে আগুন ও লুটপাট

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের হামলায় মাওলা আলী (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর দুর্গাপুরের গুচ্ছগ্রামে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় গুচ্ছগ্রামের অন্তত পাঁচটি বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিরাপত্তার অভাবে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আগুন নেভাতে এসেও ফিরে যান। পুরো গ্রাম ও আশপাশজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।


এদিকে সংঘর্ষ চলাকালে কালের কণ্ঠের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবুর মোটরসাইকেলটি ভেঙে ফেলা হয়। মারধর করা হয় বাংলানিউজের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি সমীর চক্রবর্তীকে।
জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে দীর্ঘদিন ধরেই গুচ্ছগ্রামবাসী ও সহিদ আলীর মধ্যে বিরোধ চলছিল। গতকালের সংঘর্ষে নিহত মাওলা হচ্ছেন সহিদ আলীর ভাই। এর আগে গত ১৪ জুন সহিদ আলীর ভাতিজা, মাওলা আলীর ছেলে খানজাহান আলী খুন হন।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সন্ধ্যায় গুচ্ছগ্রামের লোকজন মাওলা আলীকে মারধর করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। এ খবর ছড়িয়ে পড়ার পর সহিদ আলীর লোকজন গুচ্ছগ্রামের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেয়। লুটতরাজ চালায় অন্তত ১৫টি বাড়িতে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে সহিদ আলীর লোকজন কালের কণ্ঠের সাংবাদিকের মোটরসাইকেলটি ভেঙে ফেলে। ছবি তোলার সময় সমীর চক্রবর্তীকে মারধর করা হয়।
মাওলা আলীর ভাই মোবারক আলী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই গুচ্ছগ্রামবাসীর সঙ্গে তাঁদের বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমাও চলছে। এরই জের ধরে মাওলার ওপর হামলা হয়। তবে ঘটনার পর কারা আগুন লাগাচ্ছে অথবা ভাঙচুর করছে সে বিষয়ে তিনি কিছু বলেননি।
আখাউড়া ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. আক্কাস মিয়া বলেন, 'খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। কিন্তু পুলিশ নিরাপত্তা না দেওয়ায় আমরা চলে এসেছি।' ঘটনাস্থলে থাকা আখাউড়া থানার এসআই মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, 'সহিদ আলীর লোকজন বাড়িঘরে ভাঙচুর করছে ও আগুন লাগাচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে।'
আখাউড়া থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।

No comments

Powered by Blogger.