বাথটাবে মৃত্যু হয় ১৯ হাজার মানুষের

জাপানে বছরে বাথরুমে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে ১৯ হাজারের মতো। এমন মৃত্যুর বেশির ভাগ সময় কারণ হলো অত্যধিক মদ্যপান। জার্নাল অব জেনারেল অ্যান্ড ফ্যামিলি মেডিসিনাতে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। বাথটাব অথবা বাথরুমে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে এমন হলিউড তারকার সংখ্যাও কম নয়। কিল মি ডেডলির তারকা অ্যালবার্ট ডেকার থেকে শুরু করে গায়ক জিম মরিসন, এমনকি অভিনেত্রী জুডি গারল্যান্ডের মৃত্যুও হয়েছেন এভাবে। এ তালিকায় সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নাম হলো রক অ্যান্ড রোল-এর প্রবাদ প্রতিম গায়ক এলভিস প্রেসলি। বাথরুমে মৃত অবস্থায় তাকে পাওয়া গিয়েছিল। প্রথমে তার মৃত্যুর কারণ হৃদরোগ বলা হলেও পরে জানা যায়, তারকার ইমেজের কথা মাথায় রেখেই অসত্য বলা হয়েছিল। আসলে এলভিসের মৃত্যু হয়েছিল ১০টি নিষিদ্ধ ওষুধ বেশি মাত্রায় খাওয়ার কারণে। কাজেই মাত্র দেড় ফুট গভীরতার বাথটাবে পড়ে মৃত্যু কিভাবে সম্ভব, শ্রীদেবীর মৃত্যুর পর সেই প্রশ্ন উঠলেও দুনিয়াজুড়েই এমন মৃত্যুর নজির রয়েছে অসংখ্য। বাথটাবে কারো মৃত্যুর ঘটনা বলিউডে প্রথম হলেও হলিউডে এমন ঘটনা নতুন কিছু নয়। হলিউডে অনেক সেলিব্রিটিরই মৃত্যু ঘটেছে বাথটাবে। আর বিশ্বজুড়েও বাথটাবে মৃত্যুর ঘটনা বিরল নয়। গড়ে প্রতিদিন একটি করে বাথটাবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে যুক্তরাষ্ট্রে। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুক হামলায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু মার্কিন সরকারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী দেশটিতে বন্দুক হামলার চেয়ে অনেক বেশি শিশুমৃত্যুর ঘটনা ঘটে বাথটাবে। কিভাবে এমন মৃত্যু রোধ করা যায় তার উপায় খুঁজছেন মার্কিনিরাও। তাই বাথটাব বা বাথরুমে মৃত্যু অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়। বরং এ ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে সারা বিশ্বে। বাথটাবে মৃত্যুর তালিকায় বিখ্যাত গায়ক জিম মরিসনের ঘটনাটা সবচেয়ে অদ্ভুত। প্যারিসের অ্যাপার্টমেন্টের বাথটাবে জিম ও তার বান্ধবীকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। চিকিৎসকেরা জিমের লাশ পরীক্ষা করে অস্বাভাবিক কিছু খুঁজে পাননি। সে কারণে ময়নাতদন্ত করা হয়নি জিম মরিসনের।

No comments

Powered by Blogger.