কুমিল্লার মেয়রের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

দুর্নীতির মামলায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও বিএনপির নেতা মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁর মালামাল ক্রোকেরও আদেশ দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন। সাক্কুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে আদালত এ আদেশ দেন বলে প্রথম আলোকে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ অনুযায়ী, ২০০৮ সালের ৭ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক শাহীন আরা মমতা বাদী হয়ে সাক্কু ও তাঁর স্ত্রী আফরোজা জেসমিনের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে রমনা থানায় মামলা করেন। দীর্ঘ আট বছর তদন্ত শেষে গত বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক নুরুল হুদা আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
তবে মামলা থেকে সাক্কুর স্ত্রীকে অব্যাহতি দেওয়ার আবেদন জানানো হয়। অভিযোগপত্রে সাক্কুর বিরুদ্ধে বলা হয়, ১ কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার ১২০ টাকার তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। ৪ কোটি ৫৭ লাখ ৭৩ হাজার ৯৩৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ব্যাপারে মনিরুল হক সাক্কু প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ওই মামলায় আদালতে হাজির না হওয়ার কারণে এ আদেশ জারি করা হয়েছে। ওই মামলায় আমি সুপ্রিম কোর্ট থেকে স্থায়ী জামিন নিয়েছি। তবে আমার আইনজীবী বিষয়টি আদালতের কাছে উল্লেখ না করায় এ অবস্থা হয়েছে। আগামীকাল আদালতে এ-সম্পর্কিত নথিপত্র উপস্থাপন করব।’ গত ৩০ মার্চ কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন মনিরুল হক সাক্কু। সাক্কু ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে পান ৬৮ হাজার ৯৪৮ ভোট। আর আওয়ামী লীগের প্রার্থী আঞ্জুম সুলতানা সীমা নৌকা প্রতীক নিয়ে ভোট পান ৫৭ হাজার ৮৬৩।

No comments

Powered by Blogger.