বিয়ে, এমন ছেলে কইঃ বিপাশা

তুন বছরে সব কিছু নতুনভাবে শুরু করার পরিকল্পনা করছেন বাঙালি বি-টাউন ললনা বিপাশা বসু। প্রেমিক জনকে ছাড়া দশ বছরের মধ্যে এবারই নতুন কোনো বছরের প্রথম সূর্য উঠলো বিপাশার জীবনে। তিনি চান এই আলোয় আলেকিত করতে পুরো বছরটা।

আর নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই মুক্তি পাচ্ছে বিপাশার নতুন ছবি ‘প্লেয়ার্স’। নতুন বছর, নতুন ছবি, নতুন জীবন-এসব নিয়েই সম্প্রতি তিনি কথা বললেন কলকাতার একটি পত্রিকার সঙ্গে।

প্রশ্ন: বছরের শুরুতেই ৬ জানুয়ারি আপনার নতুন ছবি ‘প্লেয়ার্স’ মুক্তি পাচ্ছে। এটা নিশ্চয়ই আপনার জন্য খুব আনন্দের?

বিপাশা: অবশ্যই, খুব স্বস্তিতে আছি। বছরটা এভাবে শুরু হবে ভেবে খুব ভালো লাগছে। বছরের শেষটা আর নতুন বছরের শুরুটা ছবির প্রমোশনের কাজেই কেটে যাচ্ছে।

প্রশ্ন: আপনার ডেব্যু ছবি ‘আজনাবি’ও তো ছিল আব্বাস-মাস্তানের সঙ্গে। সেই ছবির জন্য আপনি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডও পেয়েছিলেন। আবারো সেই জুটির সঙ্গে আপনি, এবারের প্রত্যাশা কতখানি?

বিপাশা: এবার আমি চাই বক্সঅফিসে সাফল্য নেমে আসুক বৃষ্টির মতো। আব্বাস-মাস্তানের সঙ্গে কাজ আমি খুব উপভোগ করি। আর এই ছবিটা কিছুটা জেমস বন্ড ধরনের, তাই এবার কাজ করতে আরো ভালো লেগেছে।

প্রশ্ন: তাই? জেমস বন্ড ধরনের?

বিপাশা: হ্যাঁ। শুধু একজন নয়, অনেক বন্ড আছে ছবিতে। মেয়েরাও তেমনই। প্রত্যেকেই (প্লেয়ার্সরা) এক এক বিষয়ে স্পেশালিস্ট। দারুণ তুখোড়।

প্রশ্ন: আপনার চরিত্রটা কেমন?

বিপাশা: আমি এই ছবিতে তুখোড় একটা মেয়ে। ছেলেরা যেসব কাজে ফেইল করে, আমি সেসব কাজ চোখের পলকেই করে ফেলি। স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নিজের চার্ম কাজে লাগাতেও এই চরিত্র পিছপা হয় না।

প্রশ্ন: বিদেশের কোথায় কোথায় এই ছবির শুটিং হলো?

বিপাশা: নিউজিল্যান্ড, রাশিয়ায়। আর্কিটিক সার্কেলের কাছাকাছি একট জায়গায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডার মধ্যেও শুটিং করেছি আমরা।

প্রশ্ন: ‘ধুম ২’র পর এই ছবিতে আপনাকে আবারো অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে দেখা গেলো…

বিপাশা: অভিষেক আর আমি একসঙ্গে প্রথম কাজ করেছিলাম ‘আখেরি মুঘল’ ছবিতে। অভিষেকের ডেব্যু ছবি ছিল ওটা। তখন থেকেই আমরা পরস্পরকে পছন্দ করি। এবার সেটে ওই আগের মতো মজাই করলাম দুজন, আর আমাদের মঙ্গে ছিল পুরো সেট। একদিন তো আমরা সবাই মিলে ছোট্ট বাচ্চদের মতো ছোঁযাছুঁয়িও খেলেছিলাম!

প্রশ্ন: আপনার হলিউড প্রজেক্ট ‘সিঙ্গুলারিটি’র খবর কী?

বিপাশা: এ বছরই এটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে মুক্তি পাবে।

প্রশ্ন: ‘সিঙ্গুলারিটি’ ছবিতে আপনার সহ-অভিনেতা জোশ হার্টনেটের সঙ্গে আপনার সম্পর্ক নিয়ে অনেক গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। আপনি কি লং ডিসট্যান্ট সম্পর্কে বিশ্বাস করেন?

বিপাশা: প্লিজ, ‘প্লেয়ার্স’ নিয়েই কথা বলি। জোশ খুব ভালো মানুষ। কিন্তু কোনো কোনো ভালো লাগা দূরে থেকে যাওয়াই ভালো। এটাও তেমনই (হাসি)। আর আমি লং ডিসট্যান্ট রিলেশনশিপে বিশ্বাসই করি না।

প্রশ্ন: তাহলে আপনি এখন সব ধরনের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে সুখেই আছেন? খুশি?

বিপাশা: হ্যাঁ। এখন আমি পুরোপুরি স্বাধীন, মুক্ত এবং নিশ্চিন্ত।

প্রশ্ন: সব কিছু ভুলতেই কি পরিবার এবং ফিটনেসকে কাছে টেনে নিয়েছেন?

বিপাশা: ফিটনেস পাগল আমি অনেক আগে থেকেই। সেই ‘ধুম ২’র সময় থেকেই বুঝে গিয়েছিলাম বাড়তি মেদ ঝরানো কতটা জরুরি। এখন আমি বলতে গেলে ‘জিম অ্যাডিক্ট’। আর পরিবার তো সব সময়ই সবচেয়ে বেশি কাছের।

প্রশ্ন: একটু কাজের বাইরে আসা যাক। প্রায় দশ বছর পর ৭ জানুয়ারি জনকে ছাড়া আপনি প্রথম জন্মদিন পালন করতে যাচ্ছেন। তাই না?

বিপাশা: তাতে কী? একজন থাকবে না, তাতে কী? লাখো মানুষ আমার জন্মদিন পালন করবে, এর চেয়ে বড় আর কী হতে পারে।

প্রশ্ন: এবারের জন্মদিনের পরিকল্পনা কী?

বিপাশা: ‘প্লেয়ার্স’র কলাকুশলীদের সঙ্গে এবারের জন্মদিনটি উদযাপন করবো। আমার জন্মদিনের সেলিব্রেশন আজ থেকে শুরু হলো। আজ থেকে সাত তারিখ রাত পর্যন্ত প্রতিরাতেই হবে পার্টি।

প্রশ্ন: আর বিয়ের পরিকল্পনা?

বিপাশা: বিয়ে! তেমন ছেলে কই? আমার ধারে-কাছে তো পছন্দের সেইরকম কোনো ছেলেই দেখছি না। মনে হয় না খুব জলদিই মনের মতো কাউকে খুঁজে পাবো।

প্রশ্ন: সে কী! রানা তো আপনার ধারে-কাছেই ছিল!

বিপাশা: আমি ওকে পছন্দ করি। এবং তা ওই পর্যন্তই সীমাবদ্ধ।

প্রশ্ন: ক্যারিয়ার যেভাবে এগুচ্ছে, আপনি কি তাতে খুশি?

বিপাশা: অবশ্যই আমি খুশি। আমি কোনোদিনও উচ্চাশা করি না। আমি যা করি এবং এর বদলে যা পাই তাতেই সন্তুষ্ট থাকতে পছন্দ করি।

No comments

Powered by Blogger.