স্মরণসভায় বক্তারা-শেষ সময়ে আবদুর রাজ্জাকের পাশে দাঁড়ায়নি রাষ্ট্র

মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আবদুর রাজ্জাক শুধু একজন ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন নির্লোভ। পদ ও ক্ষমতার জন্য নয়, রাজনীতি করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য। কিন্তু জীবনের শেষ সময়ে রাষ্ট্র তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। গতকাল রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে আয়োজিত এক স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ৭৫ প্রতিরোধ সংগ্রামী পরিষদ আয়োজিত ওই সভায় আবদুর রাজ্জাককে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় বীর ঘোষণা এবং তাঁর মৃত্যুতে


জাতীয় শোক দিবস পালনের দাবি জানানো হয়। সভায় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য আমির হোসেন আমু বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে আবদুর রাজ্জাকের সাংগঠনিক চেষ্টা ছিল সবচেয়ে বেশি। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিকে কার্যকর করেছিলেন তিনিই। নিজের কাজের জন্য তিনি ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিতে হবে।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধে একজন সংগঠক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন আবদুর রাজ্জাক। কিন্তু তিনি যখন অসুস্থ হয়ে দেশের বাইরে হাসপাতালে ভর্তি হন, তখন ঋণ করে চিকিৎসা করতে হয়েছে তাঁকে। দুঃখজনক হলেও সত্য, তখন রাষ্ট্র তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে তিনি বলেন, রাজ্জাকের মৃত্যুর ৪০ দিন এখনো পার হয়নি। জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা এবং জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রেখে অপরাধবোধ থেকে সবাইকে মুক্ত করুন। পাঠ্যবইয়ে তাঁর জীবন ও কর্ম অন্তর্ভুক্ত করারও আহ্বান জানান তিনি।
ডাকসুর সাবেক সহসভাপতি মাহমুদুর রহমান বলেন, আবদুর রাজ্জাক গণমানুষের রাজনীতি করেছেন। সারা জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন। অথচ তাঁর মৃত্যুর সময় আমরা তাঁর পাশে দাঁড়াতে পারিনি। এটি লজ্জার।
অধ্যাপক দুর্গাদাস ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সাংসদ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ মো. আবু জাফর, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আবদুল মান্নান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য বাহালুল মজনুন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

No comments

Powered by Blogger.