চিকিৎসাবিজ্ঞানেরও বিস্ময় বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং

ইনস্টাইনের পর তাঁকেই বলা হয় সবচেয়ে প্রতিভাবান তাত্ত্বিক পদার্থবিদ। বিশেষ করে, মহাবিশ্ব নিয়ে তিনি কিছু বললে সারা দুনিয়া মন দিয়ে তা শোনে। কঠিন এক অসুস্থতা নিয়ে বছরের পর বছর বেঁচে থেকে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের জন্যও এখন এক বিস্ময়ে পরিণত হয়েছেন মানুষটি। এ ব্রিফ হিস্ট্রি অব টাইম বইটি লিখে বিশ্বখ্যাত হওয়া বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের বয়স এখন ৭০। সেই ১৯৬৩ সালে তাঁর শরীরে স্নায়বিক রোগ মোটর নিউরন ডিজিজ (এমএনডি) ধরা পড়ে।
চিকিৎসকেরা বলেছিলেন, বড়জোর কয়েক মাস তিনি বেঁচে থাকতে পারেন। অথচ তার পর প্রায় অর্ধশত বছর ধরে বেঁচে আছেন হকিং। এমএনডি কী কারণে হয়, তা চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা এখনো উদ্ঘাটন করতে পারেননি।
হকিং নিজেই বলেছেন, ‘আমি সৌভাগ্যবান। পরিস্থিতি যতটা খারাপ হওয়ার কথা ছিল, তা আমার ক্ষেত্রে অনেক ধীরে ঘটেছে। তবে এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয়েছে, আশা ছেড়ে দিতে নেই। ...আমি যতটা সম্ভব স্বাভাবিক জীবনযাপনের চেষ্টা করি।’
২১তম জন্মদিনের কিছুদিন আগে হকিংয়ের এমএনডি ধরা পড়ে। অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকে। এরই মধ্যে তাঁর সাক্ষাৎ হয় জেইন উইল্ডের সঙ্গে। তাঁরা একসময় বিয়ে করেন। হকিং বলেন, ‘জেইনের সঙ্গে বিয়ের পর আমার জীবনটা পাল্টে যায়। এ ঘটনাই আমাকে বেঁচে থাকতে উদ্বুদ্ধ করে।’
তবে ধীরে ধীরে কার্যত অচল হয়ে পড়েন হকিং। ১৯৮৫ সালে এক অস্ত্রোপচারের পর তাঁর কণ্ঠস্বর রুদ্ধ হয়ে পড়ে। আজীবনের জন্য বাক্শক্তি হারান তিনি। এখন বিশেষ এক কম্পিউটার প্রোগ্রামের সাহায্যে মনোভাব প্রকাশ করেন বাকশক্তিহীন হকিং।
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের লুকাসিয়ান চেয়ারের পদে ৩০ বছর কাটানোর পর হকিং ২০০৯ সালে সেখান থেকে অবসর নেন। তবে এই শরীর নিয়েই এখনো অধ্যাপনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি নতুন একটি বই প্রকাশ করেছেন, নাম দ্য গ্র্যান্ড ডিজাইন। বিবিসি।

No comments

Powered by Blogger.