শেষ আটে আবাহনী-আবাহনী ২ :১ আরামবাগ

প্রতিপক্ষ পুলিশ, আরামবাগ ও ফেনী সকার ক্লাব_ আবাহনীর কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথটা যে সহজ, গ্রুপিংয়ের পর পরিষ্কারই ছিল সেটা। চ্যাম্পিয়নদের আটকানোর মতো শক্তি এদের কারোই নেই। প্রথম দুই ম্যাচে অন্তত এ সত্য প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে আকাশি-হলুদরা। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশকে ৬-০ গোলে বিধ্বস্তের পর গতকাল আরামবাগের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানের জয়। দুই ম্যাচ থেকে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে গ্রামীণফোন ফেডারেশন কাপ ফুটবলের


কোয়ার্টার ফাইনালে শিরোপাধারীরা। গতকাল বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনী জয়ের ব্যবধানটা বড় করতে না পারলেও গোটা ম্যাচেই ছিল তাদের প্রাধান্য। আরামবাগের বিপক্ষে কোচ আলী আকবর পোরমুসলিমির কৌশলটা ছিল অন্য যে কোনো ম্যাচের চেয়ে আলাদা। ৩-৪-১-২ ফরমেশনে খেলে প্রয়োজনীয় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে শিরোপা প্রত্যাশীরা। সুজন, সামাদ ও মামুন মিয়াকে দিয়েই রক্ষণদূর্গ সাজিয়েছিলেন ইরানি কোচ। দুই উইং দিয়ে ওয়ালি ফয়সাল আর রবিনকে আক্রমণেই বেশি ব্যবহার করেছেন। মাঝমাঠে প্রাণতোষ, আরমান আজিজ এবং তাদের সামনে ইব্রাহিম। স্ট্রাইকার হিসেবে ছিলেন ফ্রাঙ্ক আর লাকি পল। যাদের যে কাজে ব্যবহার করেছেন কোচ, তারা শতভাগ সফলও হয়েছেন। আবাহনীর দুই গোলের একটি পলের, অন্যটি ফ্রাঙ্কের। ব্যবধান কমিয়েছেন আরামবাগের মামুন।
ফরমেশনে পরিবর্তন। ওয়ালি আর নাসিরকে আক্রমণে বেশি ব্যবহার করায় রক্ষণভাগ আগলাতে বেশি পরিশ্রম করতে হয়েছে সামাদ, সুজন আর মামুন মিয়ার। তাই মাঝে মধ্যে সমন্বয়ও হারিয়েছেন তারা। যেটা দেখা গেছে পুরো ম্যাচেই, দ্বিতীয়ার্ধে চোখে পড়েছে বেশি। কোচ আলী আকবরও স্বীকার করেছেন ডিফেন্স অনেক ভুল করেছে। যে গোলটি ফেরত দিয়েছে আরামবাগ তার জন্য ডিফেন্সকেই পুরোপুরি দায়ী করেছেন কোচ। ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপুর কথা, 'ওয়ালি আর নাসিরকে আক্রমণে বেশি ব্যবহার করায় এমন হয়েছে। তবে পুরো ম্যাচটা বিশ্লেষণ করলে বলব ভালোই খেলেছে দল।' পুলিশের বিপক্ষে ৬ গোলের জয়, আরামবাগের বিপক্ষে ২-১। তারপরও কোচ আলী আকবরের মতে, দ্বিতীয় ম্যাচটাই ভালো খেলেছে তার দল। এর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন আলী আকবর, 'পুলিশের চেয়ে আরামবাগ অনেক ভালো দল। এই দলের খেলোয়াড়দের শারীরিক গঠনও অনেক ভালো। পুলিশের বিপক্ষে গোল বেশি হলেও এ ম্যাচে ভালো খেলেছে ছেলেরা।'
নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার লাকি পল গোল করার দক্ষতা প্রমাণ করলেন দুই ম্যাচে ৩ গোল করে। পুলিশের বিপক্ষে দুটি এবং গতকাল ১৮ মিনিটে তার দেওয়া গোলেই লিড নেয় আবাহনী। বাঁ দিক থেকে ওয়ালি ফয়সালের ক্রসে হেড নিয়েছিলেন ফ্রাঙ্ক। আরামবাগের গোলরক্ষক বিপ্লব পাঞ্চ করলেও তা ছিল দুর্বল। বক্সে নিজেকে অরক্ষিত রেখেছিলেন পল। সামনে বল পড়া মাত্রই নিখুঁত শটে এগিয়ে দেন দলকে। ৬৬ মিনিটে ফ্রাঙ্কের গোলটিতে ছিল বুদ্ধিমত্তার ছাপ। বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে কাকে বলটি দেবেন এমন ভান করছিলেন। ডিফেন্স আর গোলরক্ষককে বিভ্রান্ত করে কোনাকুনি যে শট নেন তিনি, তা জালে জড়ায় গোলরক্ষক আর প্রথম পোস্টের মাঝ দিয়ে। ৮৩ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে ব্যবধান কমায় আরামবাগ। কিংসলের শট গোলরক্ষক থামালে ফিরতি বল জালে পাঠান মামুন।

No comments

Powered by Blogger.