একদিন ম্যারাডোনার মতো হবেন নেইমার-মনে করেন পেলে

ত দুবারের বিশ্বসেরা তিনি, আছেন এবারের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও। আর যে রকম ফর্মে আছেন লিওনেল মেসি, তাতে ফিফা ব্যালন ডিঅর জেতায় তাঁর সম্ভাবনাই যে সবচেয়ে উজ্জ্বল, সেটা মানছেন ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গারও। এখনই অতটা উচ্চতায় হয়তো ওঠেননি, তবে নেইমারও যে একদিন সেখানে পেঁৗছাবেন_এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই পেলের। শুধু মেসি নয়, একদিন ম্যারাডোনার পাশেও উচ্চারিত হবে এ ব্রাজিলিয়ান তরুণের নাম, বিশ্বাস করেন 'ফুটবলের রাজা'। একই বিশ্বাস ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসে নেইমারের সতীর্থ গানসোরও।


কিন্তু সেই 'ভবিষ্যৎ'টা কোথায় হবে তাঁর? রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে নেইমারের কথাবার্তা প্রায় চূড়ান্ত, বাতাসে এমন কথা ভাসলেও অনেকেই মনে করেন মেসির দল বার্সেলোনা-ই হতে পারে তাঁর উপযুক্ত ঠিকানা। তবে সে সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বার্সেলোনা সভাপতি সান্দে নি না। আপনারা পেপ গার্দিওলাকে জিজ্ঞাসা করে দেখতে পারেন।'
ফিফা বর্ষসেরা পুরস্কারের জন্য ঘোষিত ২৩ জনের প্রাথমিক তালিকায় আছেন নেইমারও, তবে এবার যে তাঁর সম্ভাবনা কম সেটা অনুমান করা কঠিন নয়। পেলে-গানসোদের চোখে কিন্তু ভবিষ্যতের স্বপ্ন! ব্রাজিলের পত্রিকা গ্লোবোকে পেলে বলেছেন, 'ওরা (আর্জেন্টাইনরা) বলে ম্যারাডোনা আর মেসির কথা, কিন্তু আমাদের আছে নেইমার। ওর যা সামর্থ্য, তাতে একদিন নিশ্চয়ই সে একজন গ্রেট খেলোয়াড় হয়ে উঠবে।' সঙ্গে একটা পরামর্শও দিয়েছেন উত্তরসূরিকে, 'ও খুবই দক্ষ খেলোয়াড়, নিজের দলের সেরা_তাই অবশ্যই প্রতিপক্ষ ওর জন্য বিশেষ মার্কিংয়ের ব্যবস্থা করবে। সে কারণে নিজেকে রক্ষা করতেও শিখবে হবে।'
গানসোও মনে করেন, একদিন বিশ্বসেরাদের তালিকায় থাকবেন নেইমার। মাদ্রিদের দৈনিক এএসকে তিনি বলেছেন, 'আমার বিশ্বাস, নেইমার একদিন বিশ্বের সেরা তিন খেলোয়াড়ের একজন হবে। ও নিজের খেলায় উন্নতি করেই চলেছে। আরেকটা ব্যাপার হলো, ও কিন্তু খেলাটাকে উপভোগ করে।'
তবে নেইমারের শ্রেষ্ঠত্ব তো ভবিষ্যতের ব্যাপার। আপাতত মেসির সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেই উনিশ বছর বয়সী এ তরুণ। ২৪ বছর বয়সেই মেসি যে গড়ে যাচ্ছেন রেকর্ডের পর রেকর্ড। সম্প্রতি করেছেন বার্সেলোনার হয়ে ২০০তম গোল, এখন সামনে সিজার রদ্রিগেজের ২৩২ গোলের রেকর্ড। মেসি সেটা এ বছরই করে ফেলতে চান, কিন্তু সেই সঙ্গে এ-ও বলছেন, সে ফ রেকর্ডের জন্য রেকর্ড করতে চান না তিনি, 'রদ্রিগেজের রেকর্ডটা আমি ভাঙতে চাই। তবে সেটা চাই শুধু এ কারণে, আমি বার্সেলোনার হয়ে যত বেশি সম্ভব গোল করতে চাই। আমি গোল করলে দলের ভালো হয়। বার্সেলোনার হয়ে আরো ট্রফি জিততে চাই আমি। রেকর্ডবুকে ঢুকতে পারলাম কি না, সেটা নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই।' ওয়েবসাইট

No comments

Powered by Blogger.