জরিমানা মেনে নিয়েছেন তেভেজ

সামনেই দলবদল। সে কারণেই মনে হয় এখন কিছুটা নরম কার্লোস তেভেজ। নইলে অনেক ঢাক-ঢোল পেটানোর পরও কেন রবার্তো মানচিনির বিরুদ্ধে মামলা না করে রাতারাতি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন!দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে শাস্তি হিসেবে তেভেজের কাছ থেকে চার সপ্তাহের মজুরির সমপরিমাণ অর্থ কেটে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। পরে অবশ্য সেটা দুই সপ্তাহে নেমে আসে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবলারদের সংগঠন (পিএফএ) আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের পাশে এসে দাঁড়ানোয়। তার পরই ম্যানসিটি কোচকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে বসেন তেভেজ।


গত মঙ্গলবার পর্যন্ত ওই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করার সুযোগ থাকলেও তিনি যখন আপিল করলেন না, তখন অনুমেয় যে শাস্তিটা মেনে নিয়েছেন ইংলিশ লিগে গত মৌসুমের সর্বোচ্চ গোলদাতা।
অবশ্য আপিল না করলেও মনে হয় সহসাই ঝামেলা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না তেভেজ। আরো নতুন ঝামেলায় জড়ানোর ইঙ্গিত তো সুস্পষ্ট! সিটি যে তাঁকে বুধবার (গতকাল) সকালেই প্র্যাকটিসের জন্য রিপোর্ট করতে বলেছে। আর তা না করলে আবারও যে জরিমানা গুণতে হবে সেটাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্লাবের পক্ষ থেকে। তেভেজের পক্ষে নির্ধারিত দিনে প্র্যাকটিসের জন্য রিপোর্ট করা সম্ভব হবে বলে মনে হচ্ছে না, কারণ ঠিক আগের দিন অর্থাৎ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্তও তিনি স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে আর্জেন্টিনাতেই অবস্থান করছিলেন। ইংলিশ মিডিয়া বলছে, ক্লাবের অনুমতি না নিয়েই দেশে উড়ে গিয়ে মনে হয় আবারও ভুল করে ফেলেছেন তেভেজ। ক্লাবের দেওয়া শাস্তি মেনে নিলেও কোচ রবার্তো মানচিনি কিন্তু তাঁকে এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। তেভেজকে তিনি শুধু ক্ষমা চাওয়ার কথাই বলেননি, তাঁর বাড়িতে গিয়ে কথা বলারও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে তেভেজ কিন্তু সেই অনুরোধ এখনো রাখেননি।
ঘটনাটা মাস তিনেক আগের। চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষের ম্যাচে মানচিনি প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে ওয়ার্মআপ করতে বলেছিলেন তেভেজকে। কিন্তু তিনি কোচের কথা মানেননি। তার পরই মানচিনি ম্যানসিটিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তেভেজকে। এএফপি, রয়টার্স

No comments

Powered by Blogger.