তিন লাখ টন গম দেবে রাশিয়া

 বাংলাদেশকে তিন লাখ মেট্রিক টন গম দেবে রাশিয়া । এ লৰ্যে শীঘ্রই সরকারী পর্যায়ে দু'দেশের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাৰরিত হবে। এ চুক্তির আওতায় রাশিয়া বাংলাদেশের কৃষি ও খাদ্য খাতে সহায়তা করতে ইচ্ছুক। বৃহস্পতিবার খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সচিবালয়ে তাঁর অফিস কৰে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ড. গেন্নাডি পি. ট্রোটসেনকো সাৰাত করে এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত জানান, কৃষি উৎপাদনে সাফল্যের জন্য তার দেশ প্রতিবছর প্রচুর গম রফতানি করে থাকে। এ বছরে রাশিয়ায় উদ্বৃত্ত গম রয়েছে। দু'দেশের সরকারের মধ্যে চুক্তি স্বাৰরিত হলে তারা উদ্বৃত্ত গম বাংলাদেশে রফতানি করতে পারবে এবং বাণিজ্যিকভাবে আমদানির তুলনায় বাংলাদেশ কম দামে এই গম কিনতে পারবে। এ চুক্তির আওতায় যে কোন সঙ্কটকালে রাশিয়া বাংলাদেশকে খাদ্য সহায়তা দেবে। তিনি বলেন, এ বিষয়টি কার্যকর করতে তার দেশ প্রস্তুত আছে এবং বাংলাদেশ আগ্রহ দেখালে খুব দ্রম্নতই পরবর্তী পদৰেপ নেয়া হবে।
খাদ্যমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন গম প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে প্রায় ১০ লাখ টন গম দেশে উৎপাদিত হয়। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে গমের উৎপাদন কমে গেছে। ফলে সরকারী-বেসরকারী উদ্যোগে প্রতিবছর প্রায় ২০ লাখ টন গম আমদানি করতে হয়। সরকারী উদ্যোগে এবছরে সাড়ে সাত লাখ টন গম কেনা হচ্ছে। তিনি রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের প্রসত্মাবকে অভিনন্দন জানিয়ে অতিদ্রম্নত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৪০ শতাংশ লোক দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে। এ বিপুলসংখ্যক লোকের খাদ্য নিরাপত্তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হয়। সরকার খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বেসরকারী উদ্যোক্তাদের ওপর নির্ভর করতে চায় না। কারণ সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে খাদ্যশস্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে দরিদ্র জনগণের কষ্ট বেড়ে যায়। পরে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে সচিবালয়ে তাঁর অফিস কৰে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও হেড অব ডেলিগেশন ড. স্টেফান ফ্রোইন সাৰাত করেন।
এ সময়ে রাষ্ট্রদূত জানান, আইলা এলাকায় ৰতিগ্রসত্মদের পুনর্বাসন এবং স্বাভাবিক জীবন ব্যবস্থায় ফিরিয়ে আনতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ৫০ লাখ ইউরো সহায়তা দিয়েছে। কয়েকটি আনত্মর্জাতিক এনজিও এ অর্থে ৰতিগ্রসত্ম এলাকায় কাজ করছে। আরও ৫০ লাখ ইউরো সহায়তা দিতে তারা প্রস্তুত। এ বিষয়ে তিনি মন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন এবং আইলা এলাকার ৰতগ্রিসত্ম বাঁধ পুনর্নর্ির্মাণের অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চান।
খাদ্যমন্ত্রী আইলায় ৰতিগ্রসত্মদের জন্য কাজ করতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, ৰতগ্রিসত্ম বাঁধসমূহ পুনর্নির্মাণে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থ বরাদ্দ দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড মেরামত কাজের জন্য দরপত্র আহ্বান করেছে। এ বিষয়টিতে সরকারের পৰ থেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, আইলা এলাকায় দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে উন্নয়ন সহযোগীদের সরাসরি সরকারকে সহায়তা করা প্রয়োজন। এ এলাকার বাঁধসমূহ উঁচু করা, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণসহ বিভিন্ন কাজে উন্নয়ন সহযোগিদের এগিয়ে আসতে হবে।
এ সময়ে খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সচিব মোঃ মোখলেছুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

No comments

Powered by Blogger.