জেএমবির ৬ ক্যাডার বেকসুর খালাস, দু'জনের ফাঁসি- রাবির প্রফেসর ইউনুস হত্যা মামলার রায়


আনিসুজ্জামান, রাজশাহী ১৬৪ ধারায় প্রদত্ত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর আলোকে দুই জেএমবি ক্যাডারকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃতু্যদণ্ড কার্যকরের আদেশ দিলেও একই জবানবন্দীতে উলিস্নখিত অপর ৬ জেএমবির ক্যাডারকে বেকসুর খালাস দিয়েছে রাজশাহী বিভাগীয় দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনাল আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে ট্রাইবু্যনালের বিচারক মোঃ মঞ্জুরম্নল বাছিদ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর, রাবি বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও সাবেক ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউনুস হত্যা মামলায় উপরোক্ত রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলো জেএমবির অপারেশন কমান্ডার সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাইয়ের বড় ভাই রফিকুল ইসলামের মেয়ে জামাই, জেএমবির এহসার সদস্য শহিদুলস্নাহ্ ওরফে মাহবুব এবং আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশের আমির, রাবির আরবী বিভাগের প্রফেসর ড. মুহম্মদ আসাদুলস্নাহ আল গালিবের ভাগ্নে, সাতীরা সদর থানার ইটাগাছা গ্রামের শফিউলস্ন-াহ্ ওরফে তারেক। শহিদুলস্ন-াহ্র বাড়ি নওগাঁ সদর থানার সারকডাঙ্গা গ্রামে। ফাঁসির আদেশের পাশাপাশি ট্রাইবু্যনাল উভয়ের কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায়ের জন্য সরকারের সংশিস্নষ্ট বিভাগকে নির্দেশ দেয়।
বেকসুর খালাসপ্রাপ্ত জেএমবির অপর ৬ ক্যাডার হলো যথাক্রমে- রাবির আরবী বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র জামালপুর জেলার শেখেরভিটার গোলামুর রহমান ওরফে গোলাম মোসত্মফা, সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার আবু ঈসা ওরফে এনামুল, রাজশাহীর বাগমারার হামিরকুৎসার আবুল মতিন ওরফে বোমারম্ন মতিন ও তক্তপাড়ার জাকির ওরফে জায়েদ ওরফে জাহিদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের সন্ন্যাসীকূপ গ্রামের আবুল কাশেম ওরফে তুফান এবং দিনাজপুরের নবাবগঞ্জের নীরকণ্ঠপুর গ্রামের আবদুর রহমান ওরফে আরিফ ওরফে ফাহাদ ওরফে আলাল। রায় ঘোষণার সময় আসামি জাকির ওরফে জায়েদ ওরফে জাহিদ ব্যতীত অপর ৭ জনকে আদালতের কাঠগড়ায় হাজির করা হয়। জাকির এখনও পলাতক। রাষ্ট্রপরে মামলাটি পরিচালনা করেন বিশেষ পিপি এ্যাডভোকেট এনত্মাজুল হক বাবু। আসামি প েআইনজীবী ছিলেন এ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম, আবু মোহাম্মদ সেলিম, মোঃ শাহনেওয়াজ, আমজাদ হোসেন, সারোয়ার জাহান তুহিন ও সালাহউদ্দিন।
বিচারক রায়ে বলেন, 'শীর্ষ জঙ্গী নেতা শায়খ আব্দুর রহমানের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে অধ্যাপক ইউনুসকে হত্যা করা হয়। হত্যা করার জন্য আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে অধ্যাপক ইউনুসের মাথা, কপাল, বুক এবং পেটে আঘাত করে। যেহেতু মামলার চাুষ কোন সাী নেই, সেহেতু আসামিদ্বয়ের জবানবন্দীতে প্রমাণিত হয়েছে তারা হত্যার সঙ্গে জড়িত।' জবানবন্দীতে আসামিদের জেএমবিতে যোগদান এবং কোথায় কীভাবে হত্যার পরিকল্পনা করা হয় বিচারক তা পর্যালোচনা এবং বিচার বিশেস্ন-ষণ করে রায় ঘোষণা করেন। বিচারক আসামিদ্বয়ের গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে মৃতু্যদ- কার্যকরের নির্দেশ দেন। তবে দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালের ১৪ ধারার বিধান মোতাবেক দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আগামী ৩০ দিনের মধ্যে উচ্চ আদালতের আপীল করতে পারবেন বলে বিচারক রায়ে উলেস্ন-খ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে বিশেষ পিপি এ্যাডভোকেট এনত্মাজুল হক বাবু জনকণ্ঠকে বলেন, এই মামলার ২৬ সাীর কেউই ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানে না। তবে ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই আসামি তাদের ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে অপর ৬ আসামির নাম উলেস্নখ করেছে। প্রত্যদর্শী কোন সাী না থাকলেও বিচারক সংশিস্নষ্ট জবানবন্দীর পারিপার্শি্বক বিবেচনায় অপর ৬ আসামিকেও দণ্ডাদেশ দিতে পারতেন। যুক্তিতর্কের সময় তিনি আদালতে এ কথা উলেস্নখ করেছিলেন। তবে বিষয়টি বিচারকের ব্যাপার বলে বিশেষ পিপি মনত্মব্য করেন। এদিকে ফাঁসির দণ্ডাদেশ প্রাপ্ত শহিদুলস্নাহ্ মাহবুবের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মিজানুল ইসলাম বলেন, রায়ে তারা বিুব্ধ। এই রায়ের বিরম্নদ্ধে তাঁরা উচ্চ আদালতে আপীল করবেন।
৮ জেএমবি ক্যাডারের বিরম্নদ্ধে চার্জশীট
২০০৭ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সিআইডি রাজশাহী জোনের পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন স্থানীয় সিএমএম আদালতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় জেএমবির ক্যাডার শফিউলস্নাহ তারেক ওরফে জয়, শহীদুলস্নাহ্ ওরফে মাহাবুব, আবু ঈসা ওরফে এনামুল হক, গোলামুর রহমান ওরফে গোলাম মোসত্মফা, আবুল কাশেম ওরফে তুফান, আবদুর রহমান ওরফে আরিফ, আব্দুল লতিফ ওরফে বোমারম্ন মতিন, হাফেজ ইব্রাহিম ও জাহিদ ওরফে জাকিরের বিরম্নদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। এদের মধ্য একমাত্র জাকির পলাতক এবং হাফেজ ইব্রাহিম বাগমারার খয়রার বিলে জনতার গণপিটুনিতে নিহত হয়। ২০০৭ সালের ১ মে বগুড়ার পেরীরহাটের ফাঁসির দ-াদেশপ্রাপ্ত জঙ্গী বাংলা ভাইয়ের মেজ ভাই রফিকুল ইসলামের চালকল (চাতাল) থেকে জঙ্গী শহিদুলস্নাহ্কে পুলিশ গ্রেফতার করে। ২১ মে শহিদুলস্নাহ্কে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এর আগে ২০০৫ সালের নবেম্বরে গাজীপুরের জয়দেবপুরে বোমা হামলার ঘটনায় রাবির আরবী বিভাগের শিক ড. আসাদুলস্নাহ আল গালিবের নাতি শফিউলস্নাহ তারেক গ্রেফতার হয়। সে ২০০৬ সালের ১৩ এপ্রিল অধ্যাপক ইউনুস হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। এ ছাড়া জঙ্গী এনামুল ও মোসত্মফা পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিলেও ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দেয়নি।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর ভোরে ফজরের নামাজ শেষে প্রাতঃভ্রমণের সময় নিজ বাসার অদূরে আহলে হাদিস জামে মসজিদের পাশে প্রফেসর ইউনুস নৃশংসভাবে খুন হন। ওই দিনই তাঁর ছোট ভাই আবদুল হালিম মতিহার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মতিহার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা এবং তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরাম হোসেনের তদনত্মে জামায়াত শিবিরচক্রের স্থানীয় ক্যাডাররা এই হত্যাকা- ঘটায় বলে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু ২০০৬ সালের ৭ মে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মামলায় জেএমবির সংশিস্নষ্টতা পাওয়া যায় এবং তখনই মামলাটি সিআইডিতে স্থানানত্মর করা হয়। মামলাটি পর্যায়ক্রমে সিআইডির এএসপি আলী আইয়ুব চৌধুরী, পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ শেখ এবং সর্বশেষ পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন তদনত্ম করেন। ৩৩ মাস পর তিনি ৮ জেএমবি ক্যাডারের বিরম্নদ্ধে আদালতে চার্জশীট দেন। ২০০৮ সালে মামলাটি রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতে স্থানানত্মর করা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ২০০৯ সালের ২৪ আগস্ট মামলাটি সর্বশেষ রাজশাহীর দ্রম্নত বিচার ট্রাইবু্যনালে স্থানানত্মরিত হয়।
দুই আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে যা ছিল
জেএমবির শীর্ষ নেতা শায়খ আব্দুর রহমানের নির্দেশে অধ্যাপক ইউনুস খুনের মিশন নিয়ে জঙ্গী শহিদুলস্নাহ্ রাজশাহী এসে বিনোদপুরের আহলে হাদিস মসজিদের ইমাম আব্দুলস্নাহ্র বাসায় সাবলেট ছিল। ড. গালিবের আহলে হাদিস যুবসংঘের নেতা, রাবি আরবী বিভাগের ছাত্র গোলাম মোসত্মফা ওরফে গোলামুর রহমান তাকে (শহিদুলস্নাহ্) দিনাজপুরের আরিফের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। আরিফ প্রথমে অধ্যাপক ইউনুসকে রাবি ক্যাম্পাসে খুনের সময় ও স্থান নির্ধারণ করে। কিন্তু ক্যাম্পাসে খুন করা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মোসত্মফার পরিকল্পনায় অধ্যাপক ইউনুসকে তার বাসার অদূরে বিনোদপুর আহলে হাদিস মসজিদের অদূরের রাসত্মায় খুন করা হয়। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে জঙ্গী আরিফ টাঙ্গাইলে পুলিশের হাতে অস্ত্র ও বিস্ফোরকসহ ধরা পড়ে। জঙ্গী শহীদুলস্নাহ্ মাহবুব, আরিফ ও মোসত্মফা ২ মাস ধরে অধ্যাপক ইউনুসের গতিবিধি পর্যবেণ করে। তিনি কখন কোথায় যান, কাদের সঙ্গে উঠবস করেন তা নজরদারি করে। তারা জেএমবির বালিয়াপুকুরের একটি মেস ঘাঁটি রবিউলের বাড়িতে বসে গোপন বৈঠক করে। হত্যাকা-ের আগের রাতে বাগমারা থেকে জেএমবির ক্যাডার মতিন ওরফে আব্দুল লতিফ, হাফেজ ইব্রাহিম ও জাকির ওরফে জাহিদ বালিয়াপুকুরের ঘাঁটিতে আসে। রাতভর গোপন বৈঠকে খুনের মিশনে ১০ জনের অংশ নেয়ার সিদ্ধানত্ম হলেও পরে ৭ জন অংশ নেয়। এরা হলো শফিউলস্নাহ তারেক, শহিদুলস্নাহ্ ওরফে মাহবুব, আবুল কাশেম ওরফে তুফান, আবু ঈসা ওরফে এনামুল, আব্দুল লতিফ ওরফে মতিন, হাফেজ ইব্রাহিম ও জাহিদ ওরফে জাকির। হত্যাকা- শেষে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেলযোগে তারা বালিয়াপুকুরের ঘাঁটিতে ফিরে মোবাইলে শায়খ আব্দুর রহমানকে ঘটনা জানায়। জঙ্গী ইব্রাহিম ২০০৫ সালের ২২ জানুয়ারি রাতে বাগমারার শ্রীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হত্যা প্রচেষ্টাকালে জনতার গণপিটুনিতে নিহত হয়। অন্যেরা বিভিন্ন সময় ধরা পড়ে।
জবানবন্দী মতে, প্রাতঃভ্রমণে বের হয়ে অধ্যাপক ইউনুস বিনোদপুরে আহলে হাদিস মসজিদ অতিক্রমকালে হাফেজ ইব্রাহিম প্রথমে লোহার রড দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে। জাহিদ, বোমারম্ন মতিন ও তুফান তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। শহীদুলস্নাহ্ মাহবুব, শফিউলস্নাহ তারেক, আবু ঈসা এনামুল ও মোসত্মফা তাদের সহায়তা করে।
যেভাবে স্থানীয় জামায়াত, শিবিরের, ক্যাডারদের নিরাপদ করা হয়
এদিকে সিআইডির চার্জশীটের ফলে এই মামলার আগের তদনত্ম (মতিহার থানার) নিষ্ক্রিয় এবং জামায়াত-শিবির চক্রের স্থানীয় তিন দুর্ধর্ষ ক্যাডার আলী জাফর বাবু, জিলস্নুর রহমান ও সালেকীন নিরাপদ হয়ে যায়। এই তিনজনসহ ইতোপূর্বে পুলিশকে স্বীকারোক্তি দেয়া পাঁচ আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করেন তদনত্ম কর্মকর্তা। অথচ চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলার আগের তদনত্মে স্থানীয় জামায়াত-শিবির চক্রের আর্মস ক্যাডার, পুলিশের তালিকাভুক্ত দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জাফর বাবু, সালেকীন ও জিলস্নুর রহমানকে চিহ্নিত করে। তাদের চিহ্নিত করার স্প েকয়েকজন প্রত্যদর্শী সাীর জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। তদনত্মের অগ্রগতিসাপে েআদালতের নির্দেশক্রমে পুলিশ আসামি জাফর বাবুর বাসার মালামাল ক্রোক করে। জিলস্নুরকে কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু জামায়াত-শিবির চক্রের আইনী কৌশলের কারণে সালেকীনকে পুলিশ রিমান্ডে নিতে পারেনি। জামিনের ছাড়া পাবার পর থেকে জাফর বাবুসহ সকলেই পলাতক।
রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন রাবি শিকরা
অন্যদিকে জনকণ্ঠের রাবি সংবাদদাতা শহীদুল ইসলাম জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তারা দ্রম্নত রায় কার্যকরের দাবি জানান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. শাহ নওয়াজ আলী রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ড. ইউনুস মুক্তিযোদ্ধাদের অন্যতম সংগঠক এবং খুবই উঁচু মনের মানুষ ছিলেন। রাতের আধারে যারা তাঁকে হত্যা করেছে তারা পশুর সমতুল্য। খুনীদের শাসত্মি হয়েছে শুনে তিনি সনত্মোষ প্রকাশ করেন। আইবিএসর পরিচালক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, আমি খুবই আনন্দিত কারণ আমাদের প্রগতিশীল এক সহযোদ্ধা হত্যার রায় হয়েছে। রাবি শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক মোখলেসুর রহমান বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলো। ভবিষ্যতে যেন আর কোন শিককে এভাবে খুন হতে না হয় সে ব্যাপারে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। অনেক পর হলেও এই রায় আমাদের জন্য স্বসত্মিকর উলেস্ন-খ করে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ড. ইউনূস ছিলেন প্রগতিশীল শিকদের অভিভাবকতুল্য ব্যক্তিত্ব। তাঁকে হত্যা করার পর থেকে আমরাও হুমকির মুখে ছিলাম। এই রায়ের মাধ্যমে বোঝা গেল অন্যায় করলে তার শাসত্মি পেতেই হবে। এতদিন আমাদের মধ্যে বিচার না হওয়ার যে সংস্কৃতি ছিল তা দূর হয়েছে। এখন আমরা সবাই মাথা উঁচু করে সত্য কথাটি বলতে পারব। নাট্যকলা ও সঙ্গীত বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মলয় ভৌমিক বলেন, আরও একবার প্রমাণিত হলো দেশে আইন বলে কিছু আছে। ড. ইউনূসের মেয়ে সারা দ্রম্নত রায় কার্যকর করার দাবি জানান। রাবি শাখা ছাত্রলীগের নব-মনোনীত সভাপতি আওয়াল কবির জয় বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা জাতি একটু হলেও দায়মুক্ত হলো। এ ছাড়া রাবি শাখা মুক্তিযোদ্ধা সনত্মান কমান্ড, কেন্দ্রীয় সাংস্কৃতিক জোট, ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠন পৃথক বিবৃতিতে ড. ইউনূস হত্যার রায়কে স্বাগত জানিয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.