হাইকোর্টের রুল-শিশুদের অঙ্গহানি ঘটিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা বন্ধে কেন নির্দেশ নয়

শিশুদের অঙ্গহানি ঘটিয়ে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা বন্ধে কেন কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে না, তার কারণ জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল রবিবার বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি মো. জাকির হোসেনের বেঞ্চ স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশ অধ্যাদেশে ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধের যে বিধান রয়েছে, তা কার্যকর করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, র‌্যাবের মহাপরিচালক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও উপকমিশনার (পশ্চিম) এবং কামরাঙ্গীরচর ও কদমতলী থানার ওসি ও এক উপপরিদর্শককে (এসআই) রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সংবাদপত্রে প্রকাশিত প্রতিবেদন দেখে আদালত এ আদেশ দেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী অ্যাডভোকেট এলিনা খান গত ৩০ ডিসেম্বর কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের সামনে তুলে ধরেন। ওইসব প্রতিবেদনে নেয়ামুল নামের সাত বছরের শিশু উদ্ধারের কাহিনী রয়েছে। নেয়ামুলকে অপহরণ করে তার অঙ্গহানি করে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করার নির্মম কাহিনীও ওই প্রতিবেদনে ছিল। শিশু অপহরণের সঙ্গে কোরবান আলী নামের একজন জড়িত থাকায় তাকেও গ্রেপ্তার করা হয় বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। শিশুটিকে কামরাঙ্গীরচর থানা থেকে অপহরণ করে তার দেহের বিভিন্ন অঙ্গ ক্ষত-বিক্ষত করে কদমতলী থানা এলাকায় ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করা হয়।
শিশু নেয়ামুল অপহরণ ও তাকে ভিক্ষাবৃত্তিতে বাধ্য করার বিষয়ে ব্যাখ্যা নিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (পশ্চিম) এবং কামরাঙ্গীরচর ও কদমতলী থানার দুটি ঘটনার বিষয়ে ব্যাখ্যা নিয়ে আগামী ৫ জানুয়ারি হাজির হতে বলেছেন হাইকোর্ট। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আসামি রবিউল ও ওমর ফারুকসহ চারজনকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি বা এ মামলার অগ্রগতিও ওই দিন পুলিশ কর্মকর্তাদের জানাতে বলা হয়েছে।

No comments

Powered by Blogger.