নীলফামারীতে বিয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ- ফরিদপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষিত

 নীলফামারীতে শুক্রবার রাতে বিয়েবাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ১২ বছরের এক কিশোরীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করেছে দুই বখাটে। ওই কিশোরীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে নীলফামারী সদর হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে ফরিদপুরের সালথায় বৃহস্পতিবার রাতে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা হলে পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। খবর নিজস্ব সংবাদদাতাদের। নিজস্ব সংবাদদাতা, নীলফামারী থেকে জানিয়েছেন, নীলফামারী জেলা সদরের চড়াইখোলা বসুনিয়াপাড়া গ্রামে শফিকুল ইসলামের মেয়ে তানজিলার বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। তার এক চাচাত বোন বিয়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল। রাত সাড়ে আটটার দিকে বিদ্যুৎ চলে গেলে তানজিলার বোন ওই কিশোরী বাইরে এলে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বখাটে আবু সাঈদ (২০) ও কালু মাহমুদের ছেলে বখাটে মুকুল হোসেন (২১) তার মুখ চেপে গ্রামের অদূরে একটি ব্রিজের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে দুই বখাটে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং সেখানে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে গ্রামের লোকজন কিশোরীকে ব্রিজের উপর রক্তাত্ব ও বিবস্ত্র অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পরিবারের লোকদের খবর দেয়। রাত ১০ টায় তাকে প্রথমে নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এখানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে রাতেই তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতারের দাবিতে এলাকাবাসী সন্ধ্যায় বিক্ষোভ করে।
গণধর্ষণের শিকার কিশোরীর চাচাত ভাই আশিকুর রহমান শনিবার বিকেলে নীলফামারী থানায় মামলা দায়ের করেন। নীলফামারী থানার ওসি আবু আক্কাস জানান, আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে।
নিজস্ব সংবাদদাতা, ফরিদপুর থেকে জানিয়েছেন, সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামে ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী (১২) মামা বাড়িতে অবস্থান করে লেখাপড়া করত। সে পুটিয়া স্যাটেলাইট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী । বৃহস্পতিবার রাতে একই গ্রামের আদেল মাতুব্বরের ছেলে বখাটে হোসেন মাতুব্বর (২২) মেয়েটির ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে। এ ব্যাপারে সালথা থানায় মামলা হলে পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতার করে।

No comments

Powered by Blogger.