চট্টগ্রামে ধর্ষণের পর তরুণীকে পাহাড় থেকে নিক্ষেপ

চট্টগ্রামে এক তরুণীকে ধর্ষণের পর পাহাড় থেকে ফেলে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তরুণী পাহাড় থেকে গড়িয়ে একটি বাসার টিনের চালের ওপর পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আজ সোমবার ওই তরুণীর ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
গত শনিবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর খুলশী থানার মতিঝরনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। প্রতারক প্রেমিক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে পাহাড়ে নিয়ে তিন বন্ধুসহ পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী জানিয়েছেন।
ধর্ষণের শিকার তরুণী কালের কণ্ঠকে জানান, কুমিল্লা থেকে দুই মাস আগে তিনি চট্টগ্রামের লালখান বাজারে বড় বোনের বাসায় আসেন। এক মাস আগে নগরীর দেওয়ানহাট এলাকার পোশাক কারখানায় তিন হাজার টাকা বেতনে হেলপার হিসেবে যোগ দেন। এ সময় নিউ মার্কেট এলাকায় কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত স্বপন নামের এক যুবকের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ওই তরুণী কালের কণ্ঠকে বলেন, 'গ্রামের বাড়িতে আমার বিয়ের কথাবার্তা হচ্ছিল। এ খবর পেয়ে স্বপন গত শুক্রবার আমাকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। শনিবার বিকেলে আমি আমবাগান এলাকায় এক বান্ধবীর বাসায় যাই। সন্ধ্যায় সেখান থেকে লালখান বাজারের মতিঝরনা এলাকার বাসায় ফেরার পথে টাইগার পাস এলাকায় স্বপন পথরোধ করে। বিয়ের জন্য কাজী অফিসে নেওয়ার কথা বলে স্বপন জোর করে মতিঝরনার ছত্তারনীর পাহাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে কালাম নামের একজন আমার মুখ চেপে ধরে।' পরে বাকি চারজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারান বলে জানান। মোহাম্মদ আলম নামে লালখান বাজার এলাকার এক বাসিন্দা জানান, পাহাড় থেকে ওই তরুণী নিচে জনৈক মনিরের টিনের ঘরের চালে গিয়ে পড়েন। এরপর স্থানীয় লোকজন তাঁকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে রাত সাড়ে ১০টায় চমেক হাসপাতালে ওসিসি ওয়ার্ডে ভর্তি করে।
ওসিসির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী অধ্যাপক ডা. আবুল হোসেন শাহিন কালের কণ্ঠকে বলেন, এ ঘটনায় ওসিসি ওয়ার্ডের মাধ্যমে গতকাল খুলশী থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ধর্ষিতার ফরেনসিক পরীক্ষা করা হবে।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিয়ার রহমান জানান, এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে প্রেমিক স্বপনসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

No comments

Powered by Blogger.