ব্যাংকের পরিচালক হতে হলে সিআইবি'র রিপোর্ট উপস্থাপন করতে হবে


অর্থনৈতিক রিপোর্টার ব্যাংকের পরিচালক হতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন বু্যরোর (সিআইবি) হালনাগাদ রিপোর্ট উপস্থাপন করতে হবে।
একই সঙ্গে ঘোষণাপত্রের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কতর্ৃক সত্যায়িত হালনাগাদ সিআইবি রিপোর্ট থাকতে হবে। কারণ সিআইবি রিপোর্টই নির্ধারণ করবে কোন্ ব্যক্তি ঋণখেলাপী আর কোন্ ব্যক্তি ঋণখেলাপী নয়। এই প্রথমবারের মতো পরিচালক নিয়োগের ৰেত্রে এ ধরনের কঠোর নীতি চালু করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পরিচালক নিয়োগের যোগ্যতা ও উপযুক্ততা বিষয়ে ২০০৭ সালের ৫ নবেম্বর বিআরপিডি সাকর্ুলার নং-১১-এর (চ) ধারা অনুযায়ী কোন ব্যক্তির কাছে কিংবা তার স্বার্থসংশিস্নষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে কোন ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে গৃহীত ঋণখেলাপী নয় এ ধারাসহ আটটি ধারা বাধ্যতামূলক থাকবে। ওই সাকর্ুলার অনুযায়ী কোন খেলাপী ঋণগ্রহীতা ব্যাংকের পরিচালক নিযুক্ত হওয়ার যোগ্য নন। কিন্তু কোন কোন ঋণখেলাপী তথ্য গোপন করে এবং অসত্য ঘোষণা প্রদান করে ব্যাংকের পরিচালক নিযুক্ত হয়েছেন, যা ব্যাংক-কোম্পানি আইনের পরিপন্থী। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এসব অনিয়ম খতিয়ে দেখেই ব্যাংকের পরিচালক পদে নিয়োগের ৰেত্রে কঠোর নির্দেশ জারি করেছে। এ লৰ্যে বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক সাকর্ুলার জারি করে সংশিস্নষ্ট ব্যাংকগুলোকে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
সাকর্ুলারে বলা হয়েছে, বিআরপিডি সাকর্ুলার নং-১১/২০০৭-এ বর্ণিত পরিচালক নিয়োগের যোগ্যতা ও উপযুক্ততা নিশ্চিতকল্পে পরিচালক নিয়োগ/পুনর্নিয়োগের আগে মনোনীত ব্যক্তি ঋণখেলাপী কি না তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবির হালনাগাদ রিপোর্টের মাধ্যমে যাচাই করতে হবে। উলিস্নখিত সাকর্ুলারের 'পরিশিষ্ট-ক' অনুযায়ী প্রদত্ত ঘোষণাপত্রের সঙ্গে পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান কতর্ৃক সত্যায়িত হালনাগাদ সিআইবি রিপোর্ট এবং পরিচালকদের হালনাগাদ তালিকাও সংযুক্ত করার জন্য ব্যাংকসমূহকে বলা হয়েছে। এ নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর করা হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি কিছু কিছু ব্যাংকের পরিচালকরা বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন অমান্য করে পরিচালক হয়েছেন। তবে এ সব বিষয় খতিয়ে দেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সংশিস্নষ্ট ব্যাংকের পরিচালকদের চিঠি দিয়েছে। ওই চিঠির পর অধিকাংশ অভিযুক্ত স্বেচ্চায় পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগও করেছেন। তবে এনসিসিবিএলের পরিচালক হারম্নন উর রশিদ, মোসত্মাফিজুর রহমান এবং ইয়াসমিন কামাল খান বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠির বিরম্নদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেছেন। এর প্রেৰিতে বাংলাদেশ ব্যাংক পুনরায় পরিচালক হওয়ার বিষয়ে কঠোর বিধি জারি করেছে। যাতে করে পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে কোন ধরনের ফাঁকফোকর না থাকে।

No comments

Powered by Blogger.