মওদুদের সংশয় ইসলামী দলগুলো আন্ডার গ্রাউন্ডে যাবে ?- পঞ্চম সংশোধনী মামলা

 পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে ইসলামী দলগুলো রাজনৈতিক শক্তি হারাবে, এতে করে তারা আন্ডার গ্রাউন্ডে গিয়ে জঙ্গীবাদের সৃষ্টি করতে পারে। সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেয়া হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এবং তিন আইনজীবীর আবেদনের ওপর শুনানিতে তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ একথা বলেছেন।
আপীল বিভাগে প্রথম দিনে শুনানি শেষে রবিবার পর্যনত্ম মুলতবি করা হয়েছে। ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ শুনানিতে অংশ নিয়ে আদালতকে বলেন, সমাজের সম্পৃক্তি না করে জাতীয় স্বার্থে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বহাল রাখা দরকার। মুসলিম রাষ্ট্র হিসেবে ইসলামকে স্বীকৃতি দেয়া হলেও এখন কেন ধর্মনিপেৰতা টেনে নেয়া হচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিদ্বেষী হয়ে করা হয়েছিল বলে মনে করি। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল হলে ইসলামী দলগুলো জঙ্গীবাদের দিকে চলে যাবে। তখন দেশে শানত্মি এবং অরাজকতার সৃষ্টি হতে পারে। বর্তমান সরকার ৰমতায় আসার পূর্বে ইসলামের দোহাই দিয়েই ৰমতায় এসেছে। এখন কেন তারা ৫ম সংশোধনী বাতিল করে ইসলামকে মুছে ফেলার চেষ্টা করছে? সারাদেশের মানুষকে সংবিধানের মধ্যে ঐক্যবদ্ধ রাখতেই ৫ম সংশোধনী বহাল দরকার।
তিনি আদালতকে বলেন, সামরিক শাসন আমাদের দেশে অধিকাংশ সময় গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। সুতরাং সামরিক শাসনকে চিরতরে বন্ধ করে দেয়া হোক। এ সময় আদালত জানায়, সেটা তো আমরাও চাই। সংবিধানের সংশোধনীর ব্যাপারে লিড না দিয়ে শুনানিতে অংশ নিলে দেশের মানুষ বিচারপতিদের ভুল বুঝবে।
সামরিক সরকারকে বৈধতা দিয়ে ১৯৭৭ সালের ৭ নবেম্বর মার্শাল ল রেগুলেশন (এমএলআর) চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা একটি রিট আবেদনের পরিপ্রেৰিতে হাইকোর্ট ২০০৫ সালের ২৯ আগস্ট পঞ্চম সংশোধনী অবৈধ বলে রায় দেয়। সে দিনই রায় স্থগিতের আবেদন জানায় তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার। হাইকার্টের রায়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যনত্ম খন্দকার মোশতাক, আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম এবং জিয়াউর রহমানের শাসনকে বেআইনী ঘোষণা করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগ পর্যনত্ম সরকারের পরিবর্তন সংবিধান সম্মতভাবে হয়নি বলে হাইকোর্টের ঐ রায়ের অভিমতে বলা হয়।
বর্তমান সরকার আপীলের আবেদন প্রত্যাহার করায় বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন এবং জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক তিন আইনজীবী আপীলের আবেদন করেন। তার ওপর শুনানি চলছে।

No comments

Powered by Blogger.