শেখ হাসিনাকে তারেক রহমানের উকিল নোটিস- বিদেশে অর্থপাচার

 বিদেশে অর্থপাচার সংক্রান্ত বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্য অসত্য দাবি করে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উকিল নোটিস পাঠিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
২৮ দিনের মধ্যে ক্ষমা চেয়ে বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারেক রহমানের আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। তিনি জানান, বুধবার দুপুরে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে ও কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তারেক রহমানের পক্ষে তেজগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঠিকানায় উকিল নোটিসটি পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা চলছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনের স্বাক্ষরে এবং তার চেম্বারের প্যাডে তারেক রহমানের নামে এই নোটিসটি লেখা হয়েছে।
নোটিসে বলা হয়, ২৮ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীকে ওই বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে ‘যথাযথ আদালতে’ দেওয়ানি বা ফৌজদারি কার্যবিধিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। নোটিসে আরও বলা হয়, গত ১ ডিসেম্বর মৌলভীবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ‘খালেদা জিয়া তাঁর ছেলেরা নাকি সৎ জীবনযাপন করে বলেছেন। যেদিন তিনি এ কথা বললেন, সেদিনই তাঁর ছেলেদের মানিলন্ডারিংয়ের টাকা দেশে ফেরত এসেছে। এ মামলা আওয়ামী লীগ সরকার করেনি। মামলা হয়েছে আমেরিকার কোর্টে। এই এলাকার অনেকেই প্রবাসে থাকেন। আপনারা একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন, তাঁর ছেলে লন্ডনের কোন এলাকায় থাকে। কি গাড়ি ব্যবহার করে। কি রকম বিলাসবহুল জীবন যাপন করছে। কোথা থেকে এ টাকা আসে। দুর্নীতি ছাড়া এত টাকা কোথা থেকে আসবে। তাঁর ছেলেরা বিদেশে রেস্টুরেন্ট করেছে। বাড়ি করছে। দামী গাড়ি কিনছে। ভাঙ্গা সুটকেস থেকে কি এসব টাকা বের হচ্ছে? বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে মানিলন্ডারিং করে এসব টাকা পাচার করে এখন লন্ডনে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছে তারেক।’
নোটিসে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্য গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে। এসব প্রতিবেদন পড়ে মনে হয়েছে, আপনি (শেখ হাসিনা) আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে মানহানিমূলক বক্তব্য এবং অবমাননাকর মন্তব্য করেছেন। তাঁর সুনাম ক্ষুণেœর উদ্দেশ্যে এই বক্তব্য দিয়েছেন।’ নোটিসে আরও বলা হয়, তারেক অর্থ পাচার বা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছেন। বাংলাদেশ ব্যাংক তাঁর কোন টাকা ফেরত আনেনি। যুক্তরাষ্ট্রেও তাঁর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগে কোন মামলা হয়নি। আর লন্ডনে তাঁর কোন রেস্তরাঁ বা বাড়ি নেই। কেবল চিকিৎসার জন্যই তিনি সেখানে অবস্থান করছেন এবং খুবই সাধারণ জীবন যাপন করছেন।

No comments

Powered by Blogger.