সম্পাদক সমীপে

উত্তরাঞ্চলে রেলে বেহাল অবস্থা বিগত ৪ দলীয় জোট সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পরই এ জেলার একমাত্র রেলপথে (তিস্তা-রমনা বাজার) রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয়া হয়।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোট সরকার এ দেশ পরিচালনা গ্রহণের পর পরই আমরা এ জেলার কতিপয় সচেতন ব্যক্তিত্ব জেলার একমাত্র রেলপথে ট্রেন চলাচল ব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে মাননীয় সংসদ সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতায় সাংবাদিক সম্মেলন, বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার, লালমনিরহাট মহোদয়ের সঙ্গে মতবিনিময় সভা (৩বার)সহ নানামুখী কর্মসূচী পালন করে আসছি। এর ফলশ্রুতিতে গত মধ্য জুলাই/১১ থেকে ২টি জরাজীর্ণ বগির সমন্বয়ে রমনা বাজার-পার্বতীপুর ট্রেনটি চলাচল শুরু করলে জেলাবাসীর প্রতিবাদের মুখে গত মার্চ/১২ থেকে ট্রেনটিতে আরও ২টি বগি সংযোজন এবং তিস্তা থেকে পুনরায় রমনা বাজার অভিমুখে প্রত্যাবর্তনের ব্যবস্থা করে দিনে এ জেলায় ২ বার ট্রেন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়েছে যা জেলাবাসীর চাহিদার তুলনায় অন্ত্যন্ত অপ্রতুল। উল্লেখ্য যে, ট্রেনের এই বেহাল অবস্থার কারণে এ জেলাবাসীকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়কপথে চলাচল করতে হয়। যে কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হয়ে জীবনহানি এবং অনেককে পঙ্গুত্ব বরণ করতে হচ্ছে। সম্প্রতি একটি মেডিক্যাল কলেজ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আপনি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সমগ্র দেশবাসীর মতো আমরা কুড়িগ্রাম জেলাবাসীও সেই প্রত্যাশিত দিনটির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি এবং সেই সঙ্গে প্রত্যাশা করছি, আমাদের এই জেলার মাটি ও মানুষের স্বার্থে নিম্নলিখিত ব্যবস্থাদির আশু বাস্তবায়ন।
ব্যবস্থাদি : ১। চিলমারী-ঢাকা আন্তঃনগর ট্রেন (কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস) চালুর ব্যবস্থা গ্রহণ, ২। রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটির সঙ্গে এ জেলার যাত্রী সাধারণের জন্য সংযোগের ব্যবস্থা গ্রহণ, ৩। খুলনা থেকে পার্বতীপুরগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটির সঙ্গে সমন্বয় করে রমনা-পাবর্তীপুর ট্রেনটির সময়সূচী নির্ধারণ এবং ট্রেনটির কুড়িগ্রাম অভিমুখে প্রত্যাবর্তন স্থল তিস্তার পরিবর্তে রংপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ, ৪। রংপুর-রমনা বাজার রুটে এক সময়ের সান্ধ্যকালীন ট্রেনটি (লালমনিরহাট-রংপুর-রমনা বাজার) পুনর্বহালের ব্যবস্থা গ্রহণ, ৫। কুড়িগ্রাম জেলা শহরে পরিত্যক্ত পুরনো রেল স্টেশনটি জনস্বার্থে ব্যবহারের জন্য রেলওয়ে মার্কেট নির্মাণ ও আন্তঃনগর বাসটার্মিনাল স্থাপনের ব্যবস্থা গ্রহণ।

অধ্যাপক (অব) শিবপ্রসাদ চক্রবর্তী;
অধ্যাপক (অব) শামসুল আলম খন্দকার;
নাগরিক সমাজের পক্ষে
কুড়িগ্রাম।

অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত
অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন, ২০০১ (সংশোধিত ২০১১) অনুযায়ী সরকার অর্পিত সম্পত্তি সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়াদি সুরাহা করার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের কর্মচারীগণের অসাধু কার্যকলাপের ফলে তা জনগণের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১ (সংশোধিত ২০১১) এর ৬ ধারা অনুযায়ী যে সব সম্পত্তি প্রত্যর্পণযোগ্য সম্পত্তির তালিকায় অন্তর্ভুক্ত নিষিদ্ধ তার বিবরণী রয়েছে, কিন্তু ভূমি অফিসের কর্মকর্তা/ কর্মচারীগণ তা না মেনে যেসব সম্পত্তি বর্ণিত আইন প্রবর্তনের পূর্বে উক্ত আইনের ৬ ধারায় উল্লেখিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবমুক্ত করা হয়েছে এবং নামজারিক্রমে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির খাজনা নেয়া হয়েছে এবং তৎমূলে খাজনা আদায় করা হয়েছে, সে সব সম্পত্তি সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ গেজেটে অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। অবশ্য ওই আইনের ১০(৪) ধারায় এ সংক্রান্তে প্রতিকার চাওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো সেখানে আইনের ৬ ধারা অনুযায়ী আইনটি প্রবর্তনের পূর্বে যে সব সম্পত্তি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবমুক্ত করা হয়েছে তা কেন পুনরায় অর্পিত সম্পত্তি হিসাবে গেজেটে প্রকাশিত হলো? একটি বিষয়ে দু’বার বিচার হতে পারে না, তা আইনপরিপন্থী। এমতাবস্থায় ন্যায়বিচারের স্বার্থে এবং জনগণ যাতে হয়রানি ও খরচান্ত হওয়া পরিত্রাণ পেতে পারে তৎমর্মে অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন ২০০১ (সংশোধিত ২০১১) প্রবর্তনে পূর্বে যে সব সম্পত্তি বর্ণিত আইনের ৬ ধারা তোমাবেক বর্ণিত ধারায় উল্লেখিত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অবমুক্ত করা হয়েছে সেসব অবমুক্তকৃত সম্পত্তি সংক্রান্তে বাংলাদেশ গেজেটে সংশোধনী প্রকাশের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং ভূমিমন্ত্রী মহোদয় ও ভূমি মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ পূর্বক বিনীত নিবেদন, জনগণকে হয়রানি ও খরচান্ত হওয়া হতে পরিত্রাণ দিন।
আলী মনসুর
দামোদরপুর, নোয়াখালী।

No comments

Powered by Blogger.