গত বছর ৫ হাজার কোটি বোনাস শেয়ার ইস্যু

গত বছর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মোট ১৬৫ কোম্পানি বোনাস শেয়ারের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ হাজার কোটি টাকা মূলধন বৃদ্ধি করেছে। গত বছর বেশিরভাগ কোম্পানির সার্বিক অবস্থা ভাল না থাকায় বোনাস শেয়ার ইস্যু করার প্রবণতা ছিল বেশি। এতে বাজারে শেয়ারের যোগান বেড়েছে। তবে সেই হারে বাজারে সূচক ও বাজার মূলধন বাড়েনি।
ডিএসই থেকে পাওয়া তথ্য মতে, ২০১২ সালে ডিএসইর তালিকাভুক্ত মোট ৩০টি ব্যাংকের মধ্যে বোনাস শেয়ার ইস্যু করেছে ২৬টি। একইভাবে শেয়ার ইস্যু করেছে আর্থিক খাতের ২টি কোম্পানি। এছাড়া প্রকৌশল খাতের ১০টি কোম্পানি, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১১টি কোম্পানি, জ্বালানি ও শক্তি খাতের ১১টি এবং টেক্সটাইল খাতের ১৮ কোম্পানি বোনাস শেয়ার ইস্যু করেছে। একই সঙ্গে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ছয়টি কোম্পানি ও রিয়েল এসেস্ট খাতের ৪ কোম্পানি একই প্রক্রিয়ায় মূলধন বাড়িয়েছে। এই তালিকায় আরও রয়েছে আইটি খাতের ৫টি, সিমেন্ট খাতের ৩টি, সিরামিক খাতের ৩টি, টেনারি খাতের ১টি প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে তালিকাভুক্ত ৪৫ বীমা কোম্পানির মধ্যে ৩৮টি কোম্পানি বোনাস শেয়ার দিয়ে মূলধন বৃদ্ধি করে। এছাড়া ভ্রমণ খাতের ৩টি ও বিবিধ খাতের ৪টি কোম্পানি একই প্রক্রিয়ায় মুলধন বৃদ্ধি করে। ডিএসইর কোম্পানিগুলো বোনাস শেয়ার ইস্যু করে ২০১২ সালে মোট শেয়ার ছাড়ে ৪৭১ কোটি ৮৪ লাখ ২৬ হাজার ৮০৭টি। বোনাস শেয়ারগুলোর বাজার দর চার হাজার ৭৯৭ কোটি ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার ৩৭৭ টাকা।
এর আগে ২০১১ সালে একই মূলধন বাড়ায় তালিকাভুক্ত ১৬১ কোম্পানি। এ বছর বাজারে অবমুক্ত করা হয় মোট ৩৩৬ কোটি ৯৮ লাখ ৭৯ হাজার ৪৫৭টি। এসব শেয়ারের বাজার মূল্য ছিল ৫১০৯ কোটি ৭০ লাখ ৭৮ হাজার ৯৫০ টাকা। এদিকে বছর জুড়ে নতুন কোম্পানি শেয়ার, রাইট শেয়ার, বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাজারে শেয়ার সংখ্যা বাড়লেও সূচক ছিল তুলনামূলকভাবে ভারসাম্যহীন। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ডিএসইর সাধারণ সূচক ছিল ৫২৫৭ পয়েন্ট। আর ১ বছরের মধ্যে বাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে মিউচ্যুয়াল ফান্ড ও কোম্পানি দিয়ে মোট ১৪টি প্রতিষ্ঠান। রয়েছে রাইট, প্রি-আইপিও এবং বোনাস শেয়ার।

No comments

Powered by Blogger.