চ্যানেল-২৪ এ পাঁচ পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘ভুডু’

চ্যানেল ২৪-এর জন্য নির্মিত হয়েছে পাঁচ পর্বের নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘ভুডু’। আগামী রবি থেকে বৃহস্পতিবার রাতে দেখানো হবে এই নতুন ধরনের ধারাবাহিক। চ্যানেল ২৪-এর প্রযোজনায় এই ধারাবাহিকটির মূল গল্প এবং পরিচালনা করেছেন আশিকুর রহমান। চিত্রনাট্য লিখেছেন শিমন মাহমুদ।
অভিনয় করেছেন যায়িব ইফতেখার, এলিস তাসমিয়, ইমরান হোসেন, বড়দা মিঠু, মিলন ভট্টচার্য নাইজেরিয়া এবং আফ্রিকার একদল অভিনেতা অভিনেত্রী। এই ধারাবাহিকে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মনির খান শিমুল। ধারাবাহিকটি তৈরি করা হয়েছে ফুল এইচডি ক্যামেরায়। ব্যবহার করা হয়েছে স্টেডি ক্যাম, লাইট ক্যাম এবং কার মাউন্ট। এছাড়াও রয়েছে দুর্ধর্ষ মোটর বাইক স্ট্যান্ড। ধারাবাহিকটির সম্পাদনায় ব্যবহার বিশ্বমানের গ্রাফিক্স সফট্ওয়্যার এবং এফেক্ট।
কাহিনী সংক্ষেপ : নওশাদ এক বেকার যুবক। ইট পাথরের শহরে বেকার হয়ে বেঁচে থাকা তার জন্য এক দারুণ কঠিন ব্যাপার। সে প্রতিদিন পার্কে গিয়ে বসে থাকে। সেখানে তার সাথে পরিচয় হয় এক আগন্তুকের। আগন্তুকের নাম জামান। আস্তে আস্তে অন্তরঙ্গতা তৈরি হয় তাদের মধ্যে। নওশাদ তার জীবনের গল্প বলতে শুরু করে। কিছুদিন আগে সে একটা খুব ভাল বেতনের চাকরি পেয়েছিল। নতুন অফিসে সহকর্মী রেহান আর সুন্দরী বস নীহার সাথে তার দিন ভালই কাটছিল। কিন্তু সুখ খুব বেশিদিন তার কপালে সয়নি। হঠাৎ একদিন রাস্তায় খুন হয়ে যায় বন্ধু রেহান। এক রহস্যময় আগন্তুক সর্বক্ষণিক ফলো করতে থাকে। একদিন আগন্তুকের মুখোমুখি হয় নওশাদ। আগন্তুকের নাম জামিল আরফান। জামিল তাকে জানায়, যে অফিসে নওশাদ কাজ করে সেটা আসলে একটা আফ্রিকান কোম্পানি। মাল্টিন্যাশনাল কার্যক্রমের আড়ালে তারা আসলে একটা জঘন্য কাজ করছে। তারা আফ্রিকান ‘ভুডু‘ যা কিনা এক ধরনের ভেষজ কৌশল তা তাদের কর্মীদের ওপর পরীক্ষা চালাচ্ছে। এর ফলে মানুষদের যন্ত্রে পরিণত হয়। তার ক্ষুধা, তৃষ্ণা লোপ পায়। সে শুধু কাজ করে যায়। এক সময় কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে আত্মহত্যা করে। জামিল এসব জানে কারণ সে এই একই কোম্পানির আইটি এক্সপার্ট ছিল। তার উপরে দুই ডোজ পরীক্ষা চালানোর পর সে পালিয়ে যায়। এরপর দুই বছর ধরে সে কোম্পানির এজেন্টদের কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। জামিল আরো জানায় যে নওশাদের সুন্দরী বস নীহা আসলে কোম্পানির এজেন্ট। সে নওশাদের সাথে প্রেমের অভিনয় করছে। কৌশলে তাকে ভুডু বানাবে। ন্ওশাদ আর জামিল কোম্পানির হাত থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ইনট্রাক ইনকর্পোরেশন খুবই শক্তিশালী কোম্পানি। এদের হাত থেকে পালানো অসম্ভব। শুরু হয় বুদ্ধির লড়াই। জামিল ছক কষতে শুরু করে। নওশাদকে নিয়ে হানা দেয় কোম্পানির মেইন সার্ভারে। হ্যাক করে মেইন সার্ভার থেকে সব ডাটা চুরি করে। পালানোর সময় পিছু নেয় কোম্পানির এজেন্টরা। শুরু হয় লড়াই। নীহাকে নিয়ে শেষমেশ কোম্পানির হাত থেকে কৌশলে বেঁচে যায় জামিল আর নওশাদ। কোম্পানিকে তারা কৌশলে বোঝাতে সক্ষম হয় যে তারা মৃত। ধারাবাহিকটিতে ‘তুমি কি আসতে পার এই স্বপ্ন নীড়ে?’ শিরোনামে একটি মনোজ্ঞ গান রয়েছে যেটির শুটিং হয়েছে পানাম সিটিতে। গানটির সুর ও সঙ্গীত আয়োজন করেছেন আনান।
এই ধারাবাহিকের পরিচালক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র অধ্যয়ন বিভাগের ছাত্র আশিকুর রহমান জানান, “আমার ধ্যান-জ্ঞানই সিনেমা। যদিও এটা একটা ধারাবাহিক নাটক তবে আমি পুরো প্রজেক্টটিকে একটা সিনেমা হিসেবেই দেখেছি। এখানে বাণিজ্যিক সিনেমার সব উপাদান গান, নাচ, এ্যাকশান, সাসপেন্স সবই রয়েছে। নতুনদের এক্সপেরিমেন্টাল কাজের এই সুযোগ দেয়ার জন্য চ্যানেল ২৪ কে ধন্যবাদ। এখানে স্পেশাল টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। তরুণ নির্মাতাদের জন্য এটা দারুণ একটা প্লাটফর্ম।” ধারাবাহিকটি শুটিং হয়েছে ঢাকা এবং এর আশপাশের বেশ কয়েকটি মনোরম লোকেশনে।
রাশেদ রাসেল

No comments

Powered by Blogger.