সম্পাদক সমীপে- পোশাকশিল্পে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা

পোশাকশিল্প কারখানায় হরহামেশায় অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে হতাহতের ঘটনা। নিহত আহত শ্রমিকদের আত্মীয়স্বজনের করুণ আর্তিতে বেশ ক’দিন সবার মন ভারাক্রান্ত হয়ে থাকলেও এর কোন সঠিক প্রতিকার মিলছে না।
পোশাক শ্রমিকদের জীবনের মূল্য কি এতই কম তাদের জন্য কি পোশাক কারখানাগুলোতে কাজের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে না? এক্ষেত্রে আমাদের সবার এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিটি পোশাক শিল্প কারখানা শ্রমিকদের জন্য কর্মপরিবেশ উপযোগী হতে হবে। অগ্নিনির্বাপণের যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। প্রয়োজনে টাস্কফোর্সের মাধ্যমে প্রতিনিয়ত এসব মনিটরিং করতে হবে। তাছাড়া ভবনের প্রবেশ ও নির্গমন পথ ঠিক আছে কিনা বা জাতীয় ভবন নির্মাণ বিধি মানা হয়েছে কিনা তা খুঁটিয়ে দেখা দরকার। আগামীতে যাতে আর কোন প্রাণহানী দেখতে না হয়, সে জন্য পোশাক কারখানার মালিকদের ইতিবাচক সব সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিতে হবে। পোশাকশিল্পে স্থিতিশীলতা বিরাজ করলে প্রচুর সম্ভাবনার এই শিল্পের মাধ্যমে আমাদের অর্থনীতির চাকা আরও গতিশীল হবে।

জাহেদুর রহমান ইকবাল
পুরানা পল্টন, ঢাকা

সরিষা ক্ষেতে মধু সংগ্রহ
এখন শীত কাল। কৃষিপ্রধান চলন বিলের মাঠে-মাঠে হলুদ সরিষা ফুলের সমারোহ। যেদিকে তাকানো যায় শুধু হলুদ আর হলুদ। হেমন্ত ও শীত ঋতুর এ হলুদ সরিষা ফুলের দৃষ্টি কাড়া সৌন্দর্য যে কোন মানুষকে মুগ্ধ করে। এ সময় আমরা প্রকৃতির এক অন্য রকম সৌন্দর্য অনুভব করি। সরিষা শুধু শীতকালের অর্থকরী সফলই নয়; বর্তমান এ ফুলের সংগৃহীত মধু আমাদের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কৃষিপ্রধান চলন বিলের সরিষা ক্ষেতে মৌ বাক্স বসিয়ে প্রতি বছর প্রচুর মধু সংগ্রহ করা হয়। এ সময় খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, নাটোর, সিরাজগঞ্জসহ দেশের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন জেলা থেকে মধু সংগ্রহে আসেন শত শত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মৌ চাষীর দল। সরিষা ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে মৌ বাক্স বসিয়ে শুরু করেন শুধু সংগ্রহ। কার্তিক থেকে মাঘ পর্যন্ত চলে এ মধু সংগ্রহ। সংশ্লিষ্ট কৃষি সূত্র মতে-চলতি বছর চলন বিলের ৯ উপজেলার সরিষা চাষের পরিমাণ প্রায় ৩৫ হাজার হেক্টর জমি। এ সকল ক্ষেত থেকে প্রায় ১ হাজার থেকে ১২শ’ টন মধু সংগ্রহের সম্ভাবনা রয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়-চাহিদা অনুযায়ী রিফাইনিং মেশিন সঙ্কট ও উদ্যোক্তার অভাবে দেশের সম্ভাবনাময় এ মধু শিল্প সঠিক বাজার পাচ্ছে না। সার্বিক সহযোগিতা পেলে-মৌ চাষীদের পক্ষে দি-গুণ পরিমাণ মধু সংগ্রহ করা সম্ভব। মূলত ওষুধ ও অন্যান্য শিল্পের জন্য মধুর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা পূরণে চলনবিলসহ দেশের কৃষি প্রধান অঞ্চলগুলোতে সরিষার চাষ বৃদ্ধি করতে হবে এবং সেই সঙ্গে কৃষকদের মৌ চাষ সর্ম্পকে ব্যাপক সচেতন করে তুলতে হবে যাতে তারা মৌ চাষে উৎসাহিত হয়। এ ব্যাপারে সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে উদ্যোক্তা হিসেবে এগিয়ে আসতে হবে এবং তা যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। আর এ সব করতে পারলে দেশের চাহিদা পূরণ করে এই মধু শিল্প বিদেশেও রফতানি করা সম্ভব হবে। তাই আসুন শীতকালের অলঙ্কার সরিষার চাষ বৃদ্ধির পাশাপাশি মৌ চাষে মধু সংগ্রহে সকলেই এগিয়ে আসি এবং সংসারের বাড়তি আয় করি।
সৌরভ সোহরাব
সিংড়া, নাটোর

রেলে ছিনতাই
রেলপথ আমাদের দেশে সবচেয়ে নিরাপদ পরিবহন মাধ্যম। কিন্তু এই ধারণা ধিরে ধিরে পাল্টে যাচ্ছে। রেল ভ্রমণ যাত্রীদের কাছে ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে। সর্বশেষ কয়েকজন ছিনতাইকারী দুজন প্রকৌশলীকে ছিনতাইয়ের পর ট্রেন থেকে ফেরে দেয়। আমরা যারা নিয়মিত রেলভ্রমণ করি, এই ঘটনা আমাদের কাছে অশুভ বার্তা। ট্রেনে আগেও ছিনতাই বা ডাকাতি হয়েছে। তবে ইদানিং সংঘবদ্ধ একদল সন্ত্রাসীর আবির্ভাব হয়েছে, যারা যাত্রী সেজে ট্রেনে উঠে পরে সুযোগমতো অস্ত্র ঠেকিয়ে মালপত্র লুট করছে। রেলে যেভাবে সন্ত্রাসী তৎপরতা শুরু হয়েছে তাতে করে অনেকেই লেভ্রমণে আগ্রহ হারাচ্ছে। অন্যসব পরবিহণের চেয়ে রলেভ্রমণ অনেক নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন। দেশের অস্যখ্য মধ্যবিত্ত ও সাধারণ মানুষ ভ্রমণের জন্য রেলকে প্রাধান্য দেন। রেলবাড়া বেড়েছে কিন্তু সেবার মান বাড়েনি। তাছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত হয়নি। রেলের উন্নয়নের পাশাপাশি এর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। প্রােজনে যাত্রীবাহী ট্রেনের বগিতে পুলিশি পাহারার ব্যবস্থা করতে হবে। তাই যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেয়া দরকার।
হামিদুল হক ও মোঃ ফারুক
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা

মা ও শিশুর চিকিৎসা
পৃথিবীর প্রত্যেকটি মা-ই চায় তার কোল জুড়ে আসুক ফুটফুটে শিশু, ডাকুক মা বলে। কিন্তু মা ডাক শুনা হলো না সাথী নামের মেয়েটির। ইউনিয় স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রসূতির ডেলিভারী করে আয়া, নেই পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা অথচ তাদের হাতেই নিরাপদ প্রসূতি মা ও শিশুর জীবন। দু বছর আগে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নিয়োগ করে পাঠানো হয় ট্রেনিং এর জন্য। বিপুল অর্থ খরচ করে দীর্ঘ ১৮ মাস পর তাদের ট্রেনিং শেষ হয়। কিন্তু এখনও নিয়োগ পায়নি তারা। তারা চাকুরিতে এসে চেড়ে এসেছে কলেজ, ইউনিভার্সিটি যা ১৮ মাস পর সেখানে ফিরে যাওয়া সম্ভব নয়। তাই তারা ভুগছে হতাশায় এবং থমকে গেছে জীবেনর সব ভবিষ্যত। দেশে বিনা চিকিৎসায় মরছে শিশু অথচ তাদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপকষ কি পারবে তাদের জীবনের দাম দিতে? কিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তাদের জীবনের? এই প্রম্ন অভিভাবকসহ সকলের। অথচ লাগামহীন জনসংখ্যার গতি তারাই ধরবে টেনে। তারাই বাস্তবায়ন করবে সেøাগান “দুটি সন্তানের বেশি নয়; একটি হলে ভাল হয়”। আমরাও অনুপ্রাণিত হবো তাদের গানে কণ্ঠ মিলিয়ে। ১৮ মাস ট্রেনিং শেষে তারা ডেভিভারীসহ প্রসূতি মা ও শিশুর চিকিৎসা দিতেও পারদর্শী। তাদের হাতের ছোঁয়াতেই শিশু মা বলে ডেকে উঠবে মাকে। তাদের হাতেই নিরাপদ প্রসূতি মা ও শিশুর জীবন। তাই তাদের জীবনের মূল্য হিসেব না করলেও মা ও শিশুর জীবনের কথা ভেবে হলেও তাদের নিয়োগ দেয়া জরুরী।
মিজান
মুলাডুলি, পাবনা

No comments

Powered by Blogger.